ইংল্যান্ডে ভারতের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডই ফেবারিট!
ম্যানচেস্টারে আজ বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে তিনটায় বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ভারত। বিশ্লেষকদের চোখে ফাইনালে ওঠার পথে ভারতই ফেবারিট। কিন্তু ইতিহাস চোখরাঙানি দেখাচ্ছে বিরাট কোহলির দলকে
সেমিফাইনালের নিষ্পত্তি ঘটার আগেই ভারতকে ফাইনালে দেখছেন মাইকেল ক্লার্ক। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়কের সঙ্গে বেশির ভাগ বিশ্লেষকই একমত। সম্ভবত বেশির ভাগ ক্রিকেটপ্রেমীও। হট ফেবারিট বলতে যা বোঝায়, এ বিশ্বকাপে ভারত তাই। বাজির দরেও বিরাট কোহলির দল এগিয়ে। ল্যাডব্রোকস ও বেটওয়ের মতো বেটিং প্রতিষ্ঠানে বিশ্বকাপজয়ে ভারতের পক্ষে বাজির দর ১৩ : ৮। যেখানে নিউজিল্যান্ড পিছিয়ে ৮ : ১ দরে। ভারতের তাহলে আজকের সেমিফাইনাল লড়াই নিয়ে ভাবনা কী!
লড়াইটা মাঠের বলে ভাবনা থাকবেই। নতুন ম্যাচ আর প্রতিপক্ষ দলটি বরাবরই বিশ্বকাপের ‘ডার্ক হর্স’। গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হলে তবু একটা ধারণা থাকত বিরাট কোহলির দলের। কিন্তু বৃষ্টি হানা দেওয়ায় ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ মাঠে গড়ায়নি। এতে এ বিশ্বকাপে ভারতকে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হতে হচ্ছে সেমিফাইনাল ম্যাচে। সঙ্গে যোগ করুন বৃষ্টি নামার শঙ্কা। অর্থাৎ সেটি না হলেও আকাশ তো মেঘলা থাকবে, তার মানে কিউই পেসারদের পোয়াবারো। ভারতের ফাইনালে ওঠা তাই মোটেও সহজ হওয়ার কথা নয়।
সেই ইঙ্গিত দিচ্ছে পরিসংখ্যানও। ক্রিকেট বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তেমন একটা সুখকর পারফরম্যান্স নেই ভারতের। বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত সাতবার নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয়ে চারবারই হেরেছে ভারত। আর ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে কিউইদের বিপক্ষে পারফরম্যান্স দেখলে আজকের ম্যাচে ভারত নয়, নিউজিল্যান্ড ফেবারিট! ইংল্যান্ডের মাটিতে বিশ্বকাপে তিনবার নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয়ে ভারত যে একবারও জয়ের মুখ দেখেনি!
ম্যানচেস্টারে তাই আজ ফিরতেই পারে ১৯৭৫ বিশ্বকাপের স্মৃতি। সেবার এ মাঠেই গ্রুপ পর্বের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৪ উইকেটে হেরেছিল ভারত। পরের বিশ্বকাপে (১৯৭৯) লিডসে ৮ উইকেটে হারে উপমহাদেশের দলটি। সবশেষ হার ১৯৯৯ বিশ্বকাপে, ৫ উইকেটে। এ তিন ম্যাচেই আগে ব্যাট করে একবার আড়াই শর নিচে, একবার দুই শর নিচে এবং আরেকবার ২৫১ রান তুলতে পেরেছে ভারত। আর এ তিন ম্যাচে ভারতের হারানো মোট ২৬ উইকেটের মধ্যে ২৩ উইকেটই নিয়েছেন কিউই পেসাররা। অর্থাৎ ইংল্যান্ডের মাটিতে বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের পেসাররা বরাবরই ভালো। ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, লকি ফার্গুসনদের তাই চোখ চকচক করে ওঠার কথা।