ইংল্যান্ডই জিতিয়ে দিল ভারতকে
ভুবনেশ্বর কুমারের ভাগ্যে এমন প্রশংসা সচরাচর জোটে না। সাদা বলে দুই দিকেই সুইং করাতে সিদ্ধহস্ত ভারতীয় পেসার। গতি একটু কম থাকলেও সুইংয়ে নিয়ন্ত্রণ দেখার মতো।
পুনেতে আজ ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের ভুবনেশ্বর যখন সুইংয়ে নাকানি-চুবানি খাওয়াচ্ছিলেন, মাইকেল ভনের টুইট, ‘ভুবনেশ্বর কুমার আজ যে দক্ষতা দেখিয়েছেন, সাদা বলে সিম বোলার হিসেবে সেই বিশ্বসেরা।’
কিন্তু সিরিজের প্রথম ওয়ানডের চুম্বক-কথায় ভুবনেশ্বর থাকবেন না। আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ৩১৭ রান তুলেছিল ভারত। তাড়া করতে নেমে ১৪.১ ওভারে ১৩৫ রান তুলে ফেলেছিল ইংল্যান্ড। এরপর আশ্চর্য পতন!
এখান থেকে ইংল্যান্ড অলআউট হয়েছে ৪২.১ ওভারে ২৫১ রানে—অর্থাৎ ওপেনিং জুটি ভাঙা থেকে ১১৬ রান তুলতে সবগুলো উইকেট হারিয়েছে এউইন মরগান। এভাবে আত্মসমর্পণ করলে ম্যাচের শিরোনাম আর কে দখল করতে পারেন! ৬৬ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে শুভসূচনা করল বিরাট কোহলির দল।
দুই ওপেনার জেসন রয়-জনি বেয়ারস্টো মিলে দারুণ শুরু করেছিলেন। ৩৫ বলে ৪৬ রান করা রয়কে তুলে নেন অভিষিক্ত পেসার প্রসিধ কৃষ্ণ। এই পেসার পরে বেন স্টোকস ও স্যাম বিলিংসকেও তুলে নিয়ে ইংলিশ ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন। ৮.১ ওভারে ৫৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দারুণ এক রেকর্ডও গড়েন কৃষ্ণ। ভারতের হয়ে ওয়ানডে অভিষেকে সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ড এখন তাঁর।
ওপেনারদের জুটি ভাঙার পর ইংল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডারে আর কেউ দাঁড়াতে পারেননি। ৬৬ বলে ৯৪ রান করা বেয়ারস্টো দলীয় ১৬৯ রানে আউট হওয়ায় বড় ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। মাঝে মরগান কিংবা জস বাটলাররা কেউ দাঁড়াতে পারেননি।
৩০ রান করা মঈন আলী লড়াইয়ের চেষ্টা করেছিলেন। ২২ রানে আউট হন মরগান। মূলত, ইংল্যান্ডের ইনিংসের শুরুতে রয়কে ফিরিয়ে নিজের পরের ওভারেই স্টোকসকে তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডের পতনের শুরু করেন কৃষ্ণ।
ভারতের দুই অভিষিক্ত কৃষ্ণ ও ক্রুনাল পাণ্ডিয়ার জন্য আজকের ম্যাচটা ছিল পয়া। ওয়ানডে অভিষেকেই দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েছেন ২৬ বলে ফিফটি তুলে নেওয়া ক্রুনাল।
ভারতের আরেক পেসার শার্দুল ঠাকুরও দারুণ বল করেছেন। ৬ ওভারে ৩৭ রানে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন তিনি। ৩০ রানে ২ উইকেট নেন ভুবনেশ্বর। ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হওয়া শিখর ধাওয়ান ম্যাচসেরা।