আড়াই মাসের আইপিএলে আপত্তি নেই আইসিসির: বিসিসিআই সচিব
আইপিএল ১০ দলের হওয়ার পর এখন শেষ হতে দুই মাসের একটু বেশি সময় লাগে। সর্বশেষ আইপিএল যেমন গত ২৬ মার্চ শুরু হয়ে শেষ হয় ২৯ মে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, আগামী আন্তর্জাতিক সূচিতে আইপিএল অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় বাড়ানো হবে।
মোট ১০ সপ্তাহ, অর্থাৎ আড়াই মাস ধরে আইপিএল অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় টি–টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে সেরা ক্রিকেটারদের খেলার সুযোগ করে দিতেই এ সিদ্ধান্ত।
বিসিসিআই সচিব জয় শাহও রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ১০ দলের এ প্রতিযোগিতায় আরও ফ্র্যাঞ্চাইজি যোগ করার পরিকল্পনা আপাতত নেই। ভবিষ্যতে এমন কোনো সংযুক্তি আইপিএলের মান খারাপ করে দিতে পারে বলেও মনে করেন জয় শাহ।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এই সচিব বলেছেন, ‘আইপিএলের জন্য বিশেষ সময়সূচি বের করতে আইসিসি এবং অন্যান্য ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। আপনাদের একটি বিষয় নিশ্চিত করতে পারি, আইসিসির পরবর্তী ভবিষ্যৎ সফরসূচিতে (এফটিপি) আড়াই মাস সময় বরাদ্দ থাকবে (আইপিএলের জন্য), যেন বিশ্বের শীর্ষ খেলোয়াড়েরা অংশ নিতে পারে। এ টুর্নামেন্ট থেকে তো সবাই উপকৃত হচ্ছে...আইসিসি ও অন্যান্য সহযোগী বোর্ডের কাছ থেকে আমরা ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি।’
এবারই প্রথম ১০ দল নিয়ে আইপিএলের সর্বশেষ সংস্করণ শুরু হয়েছিল গত ২৬ মার্চ। ২৯ মে ফাইনালে রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি দল গুজরাট টাইটানস। আইপিএল চলার সময় বিরতি দেওয়া হয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। মৌসুমে এখন ৭৪টি করে ম্যাচ হলেও ২০২৭ সালে ম্যাচসংখ্যা ৯৪–তে উন্নীত করা হবে। ২০২৪–৩১ চক্রের ভবিষ্যৎ সফরসূচি (এফটিপি) নিয়ে আগামী মাসে আলোচনায় বসবে আইসিসি।
গত মাসে আইপিএলের সম্প্রচারস্বত্ব আগামী পাঁচ বছরের জন্য ৬ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে বিক্রি করে আইসিসি। এ টুর্নামেন্টে যোগ দিতে সম্মিলিতভাবে ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঢেলেছে নতুন দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি গুজরাট ও লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টস। জয় শাহ বলেছেন, ‘আইপিএলের পরিধি বাড়ানো অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। যেমন ধরুন, প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের তালিকাও বাড়াতে হবে, এখানে কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না। তৃণমূল পর্যায়ের ক্রিকেট শক্তিশালী করতে হবে। সঠিক অবকাঠামো তৈরি করা ছাড়াও আরও অনেক বিষয় আছে।’
বিসিসিআই সচিব মনে করেন, আইপিএলের সময় বাড়ালে ভারত জাতীয় দলের আন্তর্জাতিক সূচিতে তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না, ‘বিসিসিআই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেটি শুধু ভারত বনাম ইংল্যান্ড কিংবা ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার মতো জমকালো সিরিজের জন্য নয়। আমরা এমন একটি সূচি তৈরি করতে চাই, যেখানে নিয়মিত দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলার মাধ্যমে সহযোগী দেশগুলোকে সাহায্য করাই হবে লক্ষ্য।’