আহত হয়েও রেকর্ড বইয়ে লুইস
যখন মনে হচ্ছিল এভিন লুইসের ডাবল সেঞ্চুরি হয়ে যাওয়া শুধু সময়ের ব্যাপার, তখনই কিনা পায়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেন! জ্যাক বলের ইয়র্কারটা লেগ সাইডে মারতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ব্যাটে লেগেই বল পড়ল লুইসের পায়ের গোড়ালিতে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসে তখনো ২২ বল বাকি, লুইসের রান ১৭৬!
ওয়ানডে ইতিহাসে যা হতে পারত সপ্তম ডাবল সেঞ্চুরি, ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথম, সেটি হতে হতেও হলো না। স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়া লুইসের ডাবল সেঞ্চুরি না হলেও একটা রেকর্ড ঠিকই হয়েছে ক্যারিবীয় ওপেনারের। আহত অবসরে যাওয়ার আগে ওয়ানেডেতে কোনো ব্যাটসম্যানের এটাই সর্বোচ্চ।
৭ ওভারে ৩৩ রানে ৩ উইকেট নেই, সেখান থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যে কাল সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডকে ৩৫৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে, তা তো এই বাঁহাতি ওপেনারের সৌজন্যেই। লুইসের পাশাপাশি দুই জেসন-অধিনায়ক হোল্ডার ও মোহাম্মদের ৭৭ ও ৪৬ রানের ইনিংসও পাবে বিশেষ কৃতিত্ব।
ইংলিশ পেসার ক্রিস ওকস শুরুতেই তিন ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দেন। তারপর শুরু মোহাম্মদকে নিয়ে লুইসের ইনিংস গড়ার কাজ। দলীয় ১৫০ রানে ফেরেন মোহাম্মদ। চতুর্থ উইকেটে দুজনের ১১৩ রানের ভিত্তিতে দাঁড়িয়েই অধিনায়ক হোল্ডারকে নিয়ে শেষ দিকে ঝড় তোলেন লুইস। শেষ ১০ ওভারে এসেছে ১৩১ রান।
অথচ ৩৯ ওভার পর্যন্ত একটা ছক্কাও ছিল না ক্যারিবীয় ইনিংসে। লুইসও ততক্ষণে সেঞ্চুরি পেরিয়ে গেছেন কোনো ছক্কা ছাড়াই! শেষ পর্যন্ত ক্যারিবীয় ইনিংস ছক্কা দেখেছে ১৩টি! যার মধ্যে লুইসেরই ৭টি, হোল্ডারের ৪টি। লুইস-হোল্ডারের ১৬৮ রানের জুটিও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইতিহাসে পঞ্চম উইকেটে সর্বোচ্চ।
৩৫৬ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ডের শুরুটা হয়েছে ভালো। জেসন রয়-জনি বেয়ারেস্টোর ওপেনিং জুটিতে এসেছে ১২৬ রান। এই জুটি ভেঙেছেন জোসেপ। সূত্র: ক্রিকইনফো, স্টার স্পোর্টস।