আবার ফাঁদ আছে জেনেও পা দিচ্ছেন কোহলি
বিরাট কোহলির সময়টা ভালো যাচ্ছে না। ২০ মাস ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরি নেই তাঁর। দলের সাফল্যের কারণে মাঝেমধ্যে এ ব্যর্থতা আড়ালে চলে যায়। কিন্তু যেদিন দল ব্যর্থ হয়, তখন পঞ্চাশের বেশি ইনিংস ধরে কোহলির সেঞ্চুরি না পাওয়ার পরিসংখ্যান অনেক বড় হয়ে দেখা দেয়।
হেডিংলি টেস্টের দুই ইনিংসেই এক শর নিচে আউট হয়েছেন কোহলি। এর মধ্যে প্রথম ইনিংসে তো দুই অঙ্কও পেরোতে পারেননি ভারত অধিনায়ক। যেভাবে আউট হয়েছেন, সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেলের ধারণা, জেমস অ্যান্ডারসনের সঙ্গে পেরে উঠছেন না কোহলি। ইংলিশ পেসারের দক্ষতার কারণে, ফাঁদ পাতা আছে এটা জানার পরও পা দিতে বাধ্য হচ্ছেন কোহলি।
৩৯ পেরিয়ে যাওয়া অ্যান্ডারসন এখনো যেন ক্যারিয়ারের মধ্য গগনে। ভারতের বিপক্ষে সিরিজে তিন ম্যাচে ১৩ উইকেট পেয়েছেন। হেডিংলি টেস্টে কোহলিকে প্রথম ইনিংসে যেভাবে আউট করেছেন, সেটা তাঁর দক্ষতা আর চিন্তাশক্তির বড় প্রকাশ। ইএসপিএন ক্রিকইনফোতে নিজের কলামে ইয়ান চ্যাপেল অ্যান্ডারসনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন, ‘হেডিংলির ব্যাটিং–ধস তার দক্ষতার কারণে হয়েছে। জেমস অ্যান্ডারসনের শিল্পের সর্বোচ্চটা ছিল; দুই দিকেই সুইংয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ ও দক্ষতার সঙ্গে নিজের ইচ্ছা লুকাতে পারা।’
সেই সঙ্গে অ্যান্ডারসনের ফাঁদ পাতার ক্ষমতারও প্রশংসা করেছেন চ্যাপেল, ‘একজন ঝানু পুলিশ কর্মকর্তার মতো সে যেভাবে ব্যাটসম্যানদের জন্য নির্দয়ভাবে ফাঁদ পাতে, নিজের দিনে ওকে থামানো অসম্ভব। ওর দীর্ঘস্থায়িত্ব এবং সে নিজের মূল বলগুলো না হারিয়েই মুভমেন্ট আদায় করতে পারে, এটা ওকে সুইং বোলারদের মধ্যেও আলাদা করে দেয়।’
এরপরই কোহলির ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলেছেন চ্যাপেল। অ্যান্ডারসনের বলে ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ সাতবার আউট হয়েছেন কোহলি। এই সিরিজেই দুবার আউট হয়েছেন কোহলি। এ নিয়ে চ্যাপেল বলেছেন, ‘ভারতের টপ অর্ডার ৩৯ বছর বয়সীর কাছে অপমানিত হচ্ছে। কিন্তু একজন বিজয়ীর কাছ থেকে এমন কিছু মেনে নেওয়া যায়। ভারতকে তার তোপের মুখে ফেলে দিয়েছে তাদের অধিনায়কের উইকেট। এ নিয়ে টেস্টে কোহলিকে সাতবার আউট করেছে অ্যান্ডারসন, আর তার জন্য ফাঁদ পাতা আছে, এটা জানার পরও কোহলি দারুণভাবে পাতা সে ফাঁদ এড়াতে পারেনি।’
পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা চলছে। সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ হবে কেনিংটন ওভালে। ২ সেপ্টেম্বর শুরু হচ্ছে সে ম্যাচ।