আইসিসির হল অব ফেমে জয়ার্বধনে, পোলক, ব্রিটিন
আইসিসির হল অব ফেমে যুক্ত করা হয়েছে মাহেলা জয়াবর্ধনে, শন পোলক ও জ্যানেট ব্রিটিনকে। ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে এ তিনজনকে যুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে আইসিসি।
আগামীকাল দুবাইয়ে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের ফাইনালের আগে আনুষ্ঠানিকভাবে এ তিনজনকে হল অব ফেমে যুক্ত করবেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড। ২০০৯ সালে হল অব ফেম চালু করার পর থেকে এ নিয়ে ১০৬ জন ক্রিকেটারকে অন্তর্ভুক্ত করা হলো এ তালিকায়।
সাধারণত ক্রিকেটারদের বর্ণিল ক্যারিয়ারের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁদের হল অব ফেমে যুক্ত করা হয়। আজ ঘোষিত তিনজন সব মিলিয়ে খেলেছেন ২৮৪টি টেস্ট, ৮১৪টি ওয়ানডে ও ৬৭টি টি-টোয়েন্টি।
খেলোয়াড়ি জীবনে জয়াবর্ধনে নেতৃত্ব দিয়েছেন শ্রীলঙ্কাকে। ১৯৯৭ সালে টেস্ট অভিষেক হওয়া এ ব্যাটসম্যান প্রথম শ্রীলঙ্কান হিসেবে ছুঁয়েছিলেন ১০ হাজার টেস্ট রান। শ্রীলঙ্কার হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ ৩৭৪ রানের ইনিংসের রেকর্ডও তাঁর।
সব মিলিয়ে ৫০.০৫ গড়ে ১১ হাজার ৮১৪ রান আছে জয়াবর্ধনের, ওয়ানডেতে ৩৩.৩৭ গড়ে করেছেন ১২ হাজার ৬৫০ রান। ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি, সীমিত ওভারে আরও চারটি আইসিসির বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেছেন। অবসর নেওয়ার পর এখন কোচিংয়ের সঙ্গে যুক্ত জয়াবর্ধনে, তাঁর অধীনে আইপিএলে তিনবার শিরোপা জিতেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস।
জয়াবর্ধনের মতো নিজ দেশের অধিনায়কত্ব করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার শন পোলকও। টেস্ট ও ওয়ানডে দুই সংস্করণেই ৩ হাজার রান ও ৩০০ উইকেটের ডাবল ছোঁয়া প্রথম ক্রিকেটার তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনো সর্বোচ্চ উইকেট (৮২৩) পোলকের। আইসিসির ওয়ানডে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে সব মিলিয়ে পাঁচ বছর শীর্ষে ছিলেন এ ডানহাতি।
অন্যদিকে ইংল্যান্ডের নারী দলের জ্যানেট ব্রিটিন ছিলেন ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য। ১৯৭৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষেক হওয়ার পর প্রায় ১৯ বছর ধরে টেস্ট খেলেছিলেন তিনি। ]
এ সংস্করণে ৪৯.৬১ গড়ে ১৯৩৫ রান আছে তাঁর। ৬২ ওয়ানডেতে ৪২.৪২ গড়ে করেছেন ২১২১ রান। এ সংস্করণে ৫টি সেঞ্চুরি আছে তাঁর। ২০১৭ সালে মাত্র ৫৮ বছর বয়সে মারা গেছেন ব্রিটিন।
এ তিনজনকে হল অব ফেমে যুক্ত করার পর আইসিসির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী জিওফ অ্যালারডাইস বলেছেন, ‘আমাদের খেলার কিংবদন্তিদের সম্মান জানানো ও তাঁদের ক্যারিয়ার উদ্যাপনের একটা মাধ্যম আইসিসি হল অব ফেম। এভাবে শুধুমাত্র সেরাদের সেরা খেলোয়াড়দেরই স্বীকৃতি জানানো হয়। এই বর্ণিল দলে যুক্ত হওয়ায় মাহেলা ও শনকে অভিনন্দন জানাই। একই সঙ্গে জ্যানেটের জীবন ও ক্যারিয়ার স্মরণ করার দারুণ একটা উপায় এটা।’
হল অব ফেমে যুক্ত হয়ে জয়াবর্ধনে বলেছেন, ‘কিংবদন্তি সাঙ্গা (কুমার সাঙ্গাকারা) ও মুরালির (মুত্তিয়া মুরালিধরন) সঙ্গে শ্রীলঙ্কার অনেক বড় বড় খেলোয়াড়দের পথ অনুসরণ করাটা দারুণ সম্মানের। এ স্বীকৃতি পেয়ে কৃতজ্ঞ আমি। আমার এ ভ্রমণে সহায়তা করা আমার পরিবার, বন্ধু, কোচ, সতীর্থ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শ্রীলঙ্কান সমর্থকদের সঙ্গে এ মুহূর্তটা উপভোগ করতে চাই।’ উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পোলকও, ‘আইসিসিকে আমার ক্যারিয়ারের স্বীকৃতির জন্য ধন্যবাদ। এই বর্ণিল দলে যুক্ত হওয়াটা অনেক বড় সম্মানের।’
অন্যদিকে ব্রিটিনের বন্ধু অ্যাঞ্জেলা বেইনব্রিজ জানিয়েছেন, ‘জ্যানের বাবা-মার সঙ্গে আমিও অনেক গর্বিত তাঁকে নিয়ে। এই পুরস্কার ব্যক্তি ও খেলোয়াড় হিসেবে সে যেমন ছিল, সেসবের স্বীকৃতি।’