আইপিএলের আগে কিছু প্রশ্নের উত্তর চায় দলগুলো
আইপিএলের দিনক্ষণ একপ্রকার ঠিকই হয়ে গেছে। ১৯ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হবে জমকালো টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। এ নিয়ে ৮টি দলকে যথাযথ ব্যবস্থাপত্র (এসওপি) সরবরাহ করবে বিসিসিআই। তবে এত কিছু নিশ্চিতের পরও কিছু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। আইপিএলের সঙ্গে সংযুক্ত সবার জন্যই এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া জরুরি।
খেলোয়াড়দের দল পাঠানোর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে রেকি দল পাঠাবে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি, এমন ধারণা ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের। সেখানে থাকা–খাওয়া, অনুশীলনের সুবিধা, ঠিক কী রকম জৈব সুরক্ষা দেওয়া হবে সেসব বিষয়ে নিশ্চিত হতে চায় দলগুলো। কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি দল এর মধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে। এসওপিতে সেসব প্রশ্নের জবাব দিতে হবে বিসিসিআইকে।
পিটিআইয়ে প্রতিবেদনে এক অফিশিয়ালের উদ্ধৃতি প্রকাশ করা হয়, ‘স্বাভাবিক সময়ে স্ত্রী-বান্ধবী কিংবা পরিবারের লোকজন খেলোয়াড়দের সঙ্গে একটা নির্দিষ্ট সময়ে দেখা করে। কিন্তু এখনকার দৃশ্যপট সম্পুর্ণ আলাদা। পরিবার সঙ্গে থাকলে তাদের স্বাভাবিক চলাফেরা বন্ধ করে কি কামরাবন্দী রাখা হবে? কিছু খেলোয়াড়ের বাচ্চার বয়স ৩ থেকে ৫ বছরের মধ্যে। দুই মাস তাদের কামরার মধ্যে রাখবেন কীভাবে?’
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে আইপিএলের তারিখ পেছানো হয়েছে। পাল্টানো হয়েছে ভেন্যুও। আরব আমিরাতে বড় দলগুলো পাঁচ তারকা হোটেলে থাকবে। অন্যরা আসতে পারবে না শুধু খেলোয়াড়দের জন্য পাঁচ তারকা হোটেল ভাড়া করা দলগুলোর জন্য কঠিন বিষয় বলে মনে করছে সংবাদমাধ্যম।
২০১৪ আইপিএল আংশিকভাবে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সে টুর্নামেন্টের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করা এক জেষ্ঠ বিসিসিআই অফিশিয়াল জানিয়েছেন, দুবাইয়ে তিন তারকা মানের হোটেলগুলোর সুযোগ সুবিধাও প্রায় পাঁচ তারকা সমপর্যায়ের। রিসোর্ট ভাড়া করাও বেশ সহজ। তিনি বলেন,‘মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের মতো সব দল না। এই কঠিন সময়ে ওদের ম্যানেজমেন্টই সেরা। নিজেদের জেট বিমান আছে। চাইলে বিশেষায়িত হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকও নিয়ে যেতে পারে। কিন্তু বাকিদের অবস্থা বুঝে নিজেদের জন্য সেরাটা বাছতে হবে। যেমন ধরুন সৈকতের রিসোর্ট।’
আলাদা আলাদা ঘর নিয়ে রিসোর্টের কথা বুঝিয়েছেন সেই অফিশিয়াল। যেখানে কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার বাতাস পৌঁছাবে না। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা থেকে যায়। বিদেশে কোনো টুর্নামেন্টে সাধারণত বিসিসিআই এবং সেখানকার বোর্ডের তত্ত্বাবধানে পরিবহন ঠিক করা হয়। এবার আইপিএলে বিসিসিআই ও আমিরাত বোর্ডের সঙ্গে সমন্বয়ে থাকছে ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলোও। স্টেডিয়ামে যেতে স্থানীয় পরিবহন কর্তৃপক্ষ যেমন বিলাসবহুল বাসের ব্যবস্থা করবেন তারা। বাস চালকদের এ দুই মাস জৈব সুরক্ষিত পরিবেশে থাকার কথা বলা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে পরিবার ছেড়ে থাকতে হবে চালকদেরও।
একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, ‘তারা প্রতিদিন বাসায় গেলে বাইরের পরিবেশের সংস্পর্শে আসবে। কিন্তু আমাদের যতটা সম্ভব ঝুঁকি কমাতে হবে।' একই কথা দলগুলোর সঙ্গে থাকা নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গেও প্রযোজ্য। মাঠ থেকে হোটেল পর্যন্ত খেলোয়াড়দের সঙ্গেই থাকতে হবে তাদের। কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি দল এসব নিরাপত্তাকর্মীদের হোটেলে রাখার পক্ষপাতী। খেলোয়াড়দের যাঁরা খাবার সরবরাহ করবেন তাদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। চালক, নিরাপত্তা ও খাবারের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের প্রতিদিন কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। টুর্নামেন্ট ঠিক সময়ে শুরু করার আগে তাই এই বিষয়গুলোর সমাধান করতে হবে আইপিএল আয়োজকদের।