জৈব সুরক্ষার আইপিএলেও সক্রিয় জুয়াড়িরা?
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট মানেই ম্যাচ পাতানোর শঙ্কা? এমনটাই তো মনে করেন অনেকে। এই ‘মনে করা’ অবশ্য অযৌক্তিক কিছুও না। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের চূড়ামণি আইপিএল তো কলঙ্কিত হয়েছে আগেই। ২০১৩ সালের আইপিএলে স্পট ফিক্সিংয়ের কারণে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস ও পুনে ওয়ারিয়র্স। এবারও আইপিএলে মিলেছে ম্যাচ পাতানোর গন্ধ। এক ক্রিকেটার জানিয়েছেন, তাঁকে নাকি এরই মধ্যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
ওই ক্রিকেটার এ ঘটনা জানানোর পর বিশেষ সতর্কাবস্থা জারি করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) দুর্নীতি দমন ইউনিট (এসিইউ)। এবার আইপিএল চলছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। করোনা মহামারির মধ্যে জৈব সুরক্ষা বলয়বেস্টিত হয়ে ম্যাচ খেলছেন ক্রিকেটাররা। মাঠে তাদের সঙ্গে বাইরের কারও যোগাযোগের সুযোগ খুবই কম। তবে অনলাইনে জুয়াড়িরা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ায় ম্যাচ পাতানোর হুমকি থেকেই যাচ্ছে। বিসিসিআইয়ের দুর্নীতি দমন ইউনিটের প্রধান অজিত সিং পিটিআইকে বলেছেন, ‘হ্যাঁ (একজন খেলোয়াড় প্রস্তাব পাওয়ার কথা জানিয়েছেন)।’ প্রস্তাব দেওয়া ব্যক্তিকে ধরার চেষ্টার ব্যাপারে তিনি জানান, ‘আমরা অনুসরণ করছি। সময় লাগবে।’
দুর্নীতি দমন নীতির অংশ হিসেবে পাতানো খেলার প্রস্তাব পাওয়া খেলোয়াড় এবং তিনি কোন দলের তা গোপন রাখা হয়। কাজগুলো করা হয় গোপনীয়তার ভিত্তিতে। খেলোয়াড়েরা জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থাকায় দুর্নীতি দমন ইউনিটের গোয়েন্দারা অনলাইনে ম্যাচ পাতানো বন্ধে বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন।। খেলোয়াড়েরাও অনলাইনে থাকায়, বিশেষ করে অপেক্ষাকৃত তরুণদের এ ফাঁদে পড়ার সম্ভাবনা বেশি। ভক্ত সেজে অনেক জুয়াড়ি খেলোয়াড়দের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে কাজগুলো করে থাকেন। বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা জানান, দেশি-বিদেশি সব খেলোয়াড়কে একের অধিক সংখ্যকবার দুর্নীতি দমন-সংক্রান্ত পাঠক্রমে অংশ নিতে হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিটিআইকে বিসিসিআইয়ের এক অফিশিয়াল বলেন, ‘প্রস্তাব পাওয়া খেলোয়াড়ের কাছে কিছু একটা বিষয়ে খটকা লেগেছে। সন্দেহ হওয়ায় তিনি তাৎক্ষণিকভাবে তা এসিইউকে জানান। সব খেলোয়াড়, এমনকি অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে উঠে আসারাও এসিইউ-এর নিয়মনীতি জানে।’ যুক্তরাষ্ট্রকেন্দ্রিক খেলাধুলার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান স্পোর্টসরাডার-এর সঙ্গে এবার জুটি বেঁধেছে বিসিসিআই। এ প্রতিষ্ঠানের কাজ হলো জালিয়াতি ধরার প্রযুক্তির (এফডিএস) মাধ্যমে আইপিএলে জুয়া এবং অন্যান্য দুর্নীতিমূলক কাজ বন্ধ করা।