২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বলা হলো কোহলিদের

কোহলি কি চ্যাপেলের কথা শুনবেন?ছবি: এএফপি

ঠোঁটকাটা বলে বেশ পরিচিত ইয়ান চ্যাপেল। নিজের মতামত জানাতে কখনো দ্বিধা করেন না। সে মতামত যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে যাবে, সে নিশ্চয়তাও কেউ দিতে পারেন না; বরং অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের সমস্যা নিয়েই বেশি মুখ খুলতে দেখা যায় তাঁকে। চলমান অস্ট্রেলিয়া-ভারত ওয়ানডে সিরিজের দুই ম্যাচ না যেতেই যেমন আবার বোমা ফাটালেন চ্যাপেল। অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের একটি কৌশল একদমই সহ্য হচ্ছে না তাঁর।

ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই রান–ফোয়ারা বয়েছে। প্রথমে ব্যাট করে প্রায় চার শ ছুঁয়েছে অস্ট্রেলিয়া। পরে ব্যাট করে তিন শ পেরিয়েছে ভারত। এই রান–ফোয়ারার মধ্যেও আলাদাভাবে চ্যাপেলের নজরে পড়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। দুজনই বেশি যখনই সুযোগ পেয়েছেন রিভার্স শট বা সুইচ হিট খেলেছেন। এভাবে ডানহাতি থেকে বাঁহাতি বা উল্টোটা বনে যাওয়া একদম অন্যায় মনে হয় তাঁর। তাই কোহলিদের বলেছেন আইন নিজেদের হাতে তুলে নিতে।

মুহূর্তের মধ্যে পায়ের অবস্থান বদলে গ্রিপ পরিবর্তন না করে শট নেওয়া সহজ নয়। বহুদিনের অনুশীলনেই শুধু এটা রপ্ত করা যায়। ইয়ান চ্যাপেলের চোখে এটা ‘দারুণ দক্ষতা।’ কিন্তু এ দক্ষতার সাহায্যে বোলারদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে বলেই মনে করেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার, ‘কীভাবে খেলার একদিক অর্থাৎ বোলারদের আম্পায়ারের কাছে জানাতে হয় কীভাবে তারা বল করবে, কিন্তু ব্যাটসম্যান ডান হাতে দাঁড়াচ্ছে, আমি ফিল্ডিং দলের অধিনায়ক, আমি ডানহাতি ব্যাটসম্যানের জন্য ফিল্ডিং সাজালাম এবং বল পৌঁছানোর আগে ব্যাটসম্যান বাঁহাতি হয়ে গেল! সে বাঁহাতি হয়ে যাচ্ছে, এর পেছনে মূল কারণ হলো সে ওই ফিল্ডিংয়ের (ডানহাতির জন্য সাজানো) সুযোগ নিতে চায়। যে প্রশাসকেরা এসব আইন তৈরি করেন, তাঁরা একটু বলবেন কীভাবে এটা অন্যায় না? ব্যাখ্যাটি শুনতে খুব ভালো লাগবে আমার।’

নিমেষেই বাঁহাতি হয়ে যান ম্যাক্সওয়েল।
ছবি: এএফপি

নাইন ডট কমের সঙ্গে কথোপকথনে তাই কোহলিদের এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বলেছেন। অন্যায়ের প্রতিবাদ অন্যায় দিয়েই করা উচিত বলে মনে করেন চ্যাপেল, ‘আমার বিশ্বাসই হয় না, খেলোয়াড়েরা এর প্রতিবাদ করছে না। আমিই যদি অধিনায়ক হতাম, তাহলে নিজে বল করতে যেতাম। আমি আম্পায়ারকে বলতাম, “আমি ডানহাতি বোলার এবং ওভার দ্য উইকেটে বল করব।” এরপর দৌড়ে গিয়ে রাউন্ড দ্য উইকেটে বল করতাম। আম্পায়ার নির্ঘাত অভিযোগ করত এবং আমি বলতাম, “তাহলে আপনি ব্যাটসম্যানের ওই অন্যায় কাজটাও থামান, আমিও অন্যায়টা করব না।” যদি প্রশাসকদের কোনো কিছু পরিবর্তন করার মতো বুদ্ধি না থাকত, তাহলে আমি বরাবরই বলেছি, “তাহলে আমি আইন নিজের হাতে তুলে নেব।”’

চোটের কারণে ছিটকে পড়া ওয়ার্নারও সুইচ হিটে দারুণ ঝামেলায় ফেলছিলেন ভারতকে।
ছবি: এএফপি

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের যুগে এখন সুইচ হিট আটকানো কঠিন। সবাই নিত্যনতুন উপায়ে রান করার সুযোগ খুঁজছেন। এ অবস্থায় এ ‘অন্যায়’ থেকে বের হওয়ার পথ বাতলে দিয়েছেন চ্যাপেল, ‘এটা খুব সহজ...আপনি (প্রশাসক) শুধু বলে দিন বোলার দৌড় দেওয়ার পর ব্যাটসম্যান যদি হাত বা পা বদলায়, তাহলে এটা বেআইনি। কিন্তু যদি কোনো ব্যাটসম্যান ডানহাতি কিন্তু বোলার দৌড় দেওয়ার আগেই বাঁ হাতে খেলতে চায়, তাহলে যেকোনো যোগ্য বোলারই বলবে, যা ইচ্ছা কর, বন্ধু। আমিও আমার সেরাটাই দেব। কিন্তু বল করার আগমুহূর্তে সম্পূর্ণ অন্য হাতের ব্যাটসম্যান হয়ে যাওয়াটা একদম ঠিক না। আমাকে ভয়ংকর বিরক্ত করে ব্যাপারটা।’