অস্ট্রেলিয়ার লজ্জা উদ্যাপন করছেন মাইকেল ভন
১৪৪ বছরে এমন হয়নি। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ১৪৪ বছরের পুরোনো। গতকাল বাংলাদেশের কাছে সিরিজের শেষ টি–টোয়েন্টিতে ৬২ রানে গুটিয়ে গিয়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেট সর্বনিম্ন সংগ্রহের ইতিহাস গড়েছে তারা। ১৩.৪ ওভারে অলআউট হয়েও গড়েছে লজ্জার ইতিহাস। এত কম সময়ের মধ্যে যে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস আর কখনোই গুটিয়ে যায়নি।
ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ইংল্যান্ডের দ্বৈরথটা অনেক পুরোনো। এ দুই দেশের টেস্ট সিরিজ ‘অ্যাশেজ’–এর মর্যাদা দুই দলের কাছে অন্য মাত্রার। অনেক সময় বিশ্বকাপও গৌণ হয়ে যায় এই দুই দলের টেস্ট লড়াইয়ের কাছে। একটা অ্যাশেজে হার কিংবা জিত অনেক বড় হয়েই দেখা দেয় ইংলিশ বা অস্ট্রেলীয়দের কাছে। অ্যাশেজের বাইরেও ক্রিকেট মাঠে চিরশত্রুদের অসহায়ত্বও উপভোগ্য ইংলিশ কিংবা অস্ট্রেলিয়ানদের কাছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্যকে খোঁচাতে জুড়ি নেই সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল ভনের। ২০০৫ সালে দীর্ঘদিন পর ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে অ্যাশেজ জিতেছিল এই ভনের নেতৃত্বেই। টুইটার বা ইনস্টাগ্রামে তিনি সরব বিভিন্ন ইস্যুতে। বাংলাদেশের মাটিতে টি–টোয়েন্টি সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার করুণ দশাও চোখ এড়ায়নি তাঁর। কাল অস্ট্রেলিয়া ৬২ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক খোঁচা দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়াকে। তিনি যা লিখেছেন, তার অর্থ দুভাবেই করা যায়। অস্ট্রেলীয়দের দৃষ্টিকোণ থেকে সময়টা হচ্ছে নিদারুণ হতাশার। এতটাই যে তাদের কেউ যদি দেবদাস হয়ে যায়, বলার কিছু নেই। আর অস্ট্রেলিয়াকে যাঁরা ক্রিকেটে সমর্থন করেন না, তাঁদের জন্য সময়টা উদ্যাপনের। সেটি যদি পানীয় দিয়ে গলা ভিজিয়েও হয়, তাই–ই।
ভন লিখেছেন, ‘৬২ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। গলা ভিজিয়ে নেওয়ার সময় এসেছে!’
ভন এমনই, ছোটখাট বাক্যে তিনি অনেক কিছুই বলে দেন। অস্ট্রেলিয়ার ৬২ রানে গুটিয়ে যাওয়াতে যে তিনি দারুণ খুশি, তাঁর এ টুইটে সেটি লুকাননি তিনি। চিরশত্রুদের এমন করুণ অবস্থা উপভোগের এ সুযোগ তিনি ছাড়বেন কেন!