অধিনায়কের সমর্থন পেয়েই এমন তাসকিন
তাসকিন আহমেদের হাতে দুটি ট্রফি—একটি ম্যাচ সেরার, অন্যটি সিরিজ সেরার। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ধারাভাষ্যকার পমি মবঙ্গয়ার সঙ্গে যখন কথা বলছিলেন, দুটি ট্রফি সামলাতে যেন মধুর কষ্টই হচ্ছিল তাসকিনের। ট্রফি দুটির ভার তেমন কিছু নয়, হয়তো অনভ্যস্ততাই একটু ভোগাচ্ছিল তাঁকে। বাংলাদেশের হয়ে ৯০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারই যে এই প্রথম জিতলেন তিনি!
সেঞ্চুরিয়নে আজ ৩৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তাসকিন। ৩ ম্যাচের সিরিজে ৮ উইকেট পেয়ে জিতেছেন সিরিজ সেরার পুরস্কারও। একই সঙ্গে জোড়া সাফল্যে মহাখুশি বাংলাদেশের পেসার, ‘আমি খুব খুশি ও গর্বও অনুভব করছি। দক্ষিণ আফ্রিকায় আমরা এই প্রথম সিরিজ জিতলাম। এই প্রথম আমি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ম্যান অব দ্য সিরিজ হলাম। আমি খুব গর্বিত ও খুশি।’
সেঞ্চুরিয়ানে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭ ওভার বোলিং করে ৩৬ রান দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি উইকেট নিয়েছেন। কিন্তু সেই ম্যাচে ৬৪ বলে ৭৭ রান করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন সাকিব আল হাসান। জোহানেসবার্গে দ্বিতীয় ম্যাচটা ভালো কাটেনি। ৪ ওভার বোলিং করে ৪১ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। তবে আজ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে আবার জ্বলে উঠেছেন তাসকিন। বোলিংয়ে ছিল ফাস্ট বোলার সুলভ দুর্দান্ত আগ্রাসন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মবঙ্গয়া প্রশ্ন করেছেন তাঁর এই আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়েও। এর জবাবে তাসকিন বলেছেন, ‘আসলে গত দেড় বছর ধরে আমি একই প্রক্রিয়া মেনে চলেছি। আজকেও একই রকম মানসিকতা নিয়ে এসেছি। আজ ভালোভাবে সেটা কাজে লাগাতে পেরেছি, সফলও হয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও ভালো করতে পারব।’
নিজের এমন বোলিংয়ের কৃতিত্ব অধিনায়ক তামিম ইকবালকেও দিলেন তাসকিন, ‘প্রতি ম্যাচে আমাকে অধিনায়ক সমর্থন জুগিয়ে গেছেন। আমাকে সাধারণ একটা দায়িত্ব দিয়েছেন, পরিষ্কারভাবে সেই দায়িত্বের কথা বলেও দিয়েছেন। গতি থাকতে হবে এবং আক্রমণাত্মক হতে হবে। একই সঙ্গে অধিনায়ক বলেছেন, উইকেট নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আমি সেটাই অনুসরণ করেছি।’
সেঞ্চুরিয়ানের উইকেটও আজ পেসারদের সাহায্য করেছে। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পিচ নিয়ে মবঙ্গয়ার প্রশ্নের উত্তর এভাবে দিয়েছেন তাসকিন, ‘পিচ আমি অনেক উপভোগ করেছি। যখন সিরিজ খেলতে এসেছি, তখন থেকে নিজের লেংথ নিয়ে কাজ করেছি। প্রক্রিয়া মেনে চলেছি।’
সব শেষে নিজের ভবিষ্যতের একটি লক্ষ্যের কথাও জানয়েছেন তাসকিন, ‘আসলে এটা আমার জন্য দারুণ এক ব্যাপার। আমার এখনও শিখতে হবে, ব্যাটিং সহায়ক আর ধীরগতির উইকেটে কীভাবে পাঁচ উইকেট নিতে হয়! এটাই আমার পরবর্তী লক্ষ্য।