এক পাইলটের ব্যাটে জিম্বাবুয়ের প্রথম ত্রিশতক
আন্তুম নাকভি, নামটা শুনেছেন কখনো? বোধ হয় না। মন খারাপ করার কিছু নেই। ক্রিকেটের আঙিনাতেও খুব পরিচিত কেউ নন তিনি। এক্সে তাঁর অনুসারী ৫৮৮ জন। ইনস্টাগ্রামে আরও কম—৫০৭।
তবে এবার তিনি যে কীর্তি গড়েছেন তাতে অনুসারীর সংখ্যা নিশ্চিতভাবেই বাড়ার কথা। পরিচিতিও। জিম্বাবুয়ের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট টুর্নামেন্ট লোগান কাপের ম্যাচে অপরাজিত ৩০০ রানের ইনিংস খেলেছেন নাকভি। যা জিম্বাবুয়ের কোনো দলের হয়ে যে কোনো ধরনের স্বীকৃত ক্রিকেটে প্রথম ত্রিশতক।
নাকভির জন্ম জিম্বাবুয়েতে নয়, বেলজিয়ামে। পড়াশোনা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। তিনি আবার বাণিজ্যিক পাইলটও। আর এই পরিচয়টা তিনি দিতেও পছন্দ করেন। সে কারণেই তো এক্স, ইনস্টাগ্রামে ক্রিকেটার পরিচয়ের সঙ্গে পাইলটও পরিচয় দেওয়া আছে। তবে ক্রিকেটটাও যে বেশ ভালোই খেলেন, সেটির অন্যতম প্রমাণ মিড ওয়েস্ট রাইনোজের অধিনায়ক তিনি।
নাকভি দ্বিতীয় প্রবাসী ক্রিকেটার যিনি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ত্রিপল সেঞ্চুরি করলেন। এর আগে ১৯৩২ সালে পানামায় জন্ম নেওয়া জর্জ হেডলি জ্যামাইকার হয়ে অপরাজিত ৩৪৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।
কাল হারারেতে লোগান কাপে মাটাবেলেল্যান্ড টাস্কার্সের বিপক্ষে মিড ওয়েস্ট রাইনোজের হয়ে যখন নাকভি তৃতীয় দিন ব্যাটিং করতে নামেন ততক্ষণে তাঁর ২৫০ রান ছাড়িয়ে গেছেন। এরপর মধ্যাহ্নভোজের আগেই তিনি ছক্কা মেরে ৩০০ রানের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন। ৪৪৪ মিনিট ক্রিজে কাটিয়ে ২৯৫ বলে ৩০০ রানের ইনিংসটিতে ছিল ৩০টি চার ও ১০ ছয়। ত্রিশতক হওয়ার পরপরই ইনিংস ঘোষণা করে দেয় মিড ওয়েস্ট রাইনোজ।
লোগান কাপে সর্বোচ্চ ২৬৫ রানের রেকর্ড ছিল সেফাস ঝুয়াওয়ের। ২০১৭-১৮ মৌসুমে এই ইনিংসটি খেলেছিলেন তিনি। জিম্বাবুয়ের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ছিল ২৭৯। ১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার কুরি কাপে অপরাজিত ইনিংসটি খেলেছেন রে গ্রিপার। প্রতিনিধিত্বমূলক ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ ইনিংসের কীর্তি ব্রায়ান ডেভিসনের ছিল ২৯৯। লোগান কাপেই ইনিংসটি তিনি খেলেছিলেন ১৯৭৩-৭৪ মৌসুমে। যদিও তখন এই টুর্নামেন্টের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা ছিল না।
নাকভি অবশ্য জিম্বাবুয়েতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ড অল্পের জন্য যদিও ছুঁতে পারেননি। ২০০০-০১ মৌসুমে জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়ে ৩০৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন নিউজিল্যান্ডের মার্ক রিচার্ডসন। সেটা হয়তো সহজেই ছাড়িয়ে যেতে পারতেন তিনি। তবে ৩ উইকেটে ৫৩৮ রান করে নাকভি নিজেই। তারা লিড নিয়েছিল ৪১০। এখন পর্যন্ত মাটাবেলেল্যান্ড টাস্কার্সের সংগ্রহ ৪ উইকেট ২০৬ রান।