২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

তিনে তিন করে সিরিজ জিতল বাবরের পাকিস্তান

দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচটা জিতেছে পাকিস্তানছবি: টুইটার

টম লাথাম ৪১.২ ‍ওভারে আউট হওয়ার পরই মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান, ওয়ানডে সিরিজ জয় হাতের মুঠোয়।

২৮৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪০ ওভার পর্যন্ত লক্ষ্যটা নাগালেই রেখেছিল নিউজিল্যান্ড। শেষ ১০ ওভারে দরকার ছিল ৯৭। লাথাম উইকেটে ‘সেট’, ৪২ রানে ব্যাট করছিলেন। অন্য প্রান্তে অভিষিক্ত কলি ম্যাককোকি। জিততে হলে লাথামকে থাকতে হতো। কিন্তু মোহাম্মদ ওয়াসিম তাঁকে তুলে নেওয়ার পর ধীরে ধীরে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে নিউজিল্যান্ড। ফসকে যায় সিরিজে ফেরার সুযোগও।

আরও পড়ুন

নিউজিল্যান্ড শেষ পর্যন্ত ৪৯.১ ওভারে ২৬১ রানে অলআউট হয়েছে। ২৬ রানে তৃতীয় ওয়ানডে জিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে নিজেদের করে নিল বাবর আজমের দল। ২০১১ সালের পর এই প্রথম নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতল পাকিস্তান।

লাথাম ৪৫ করে আউট হওয়ার পর ৫২ বলে ৯২ রানের দূরত্বে ছিল নিউজিল্যান্ড। হাতে ৪ উইকেট থাকলেও এক প্রান্তে লড়াই করে গেছেন ম্যাকোকি। অ্যাডাম মিলনের সঙ্গে ২১ বলে ৩১ রানের জুটির পর শিপলি ও সোধিকে নিয়েও লড়াইয়ের চেষ্টা করেন। অভিষেকেই ৪৫ বলে ৬৪ রানের ইনিংসটটা তাঁর বৃথাই গেছে। পাকিস্তানের পেসার নাসিম শাহ ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট এনে দেওয়ার পর ধীরে ধীরে রাশটা নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে পাকিস্তান।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

চতুর্থ উইকেটে ৪০ রানের জুটি গড়েন মার্ক চাপম্যান ও লাথাম। জুটিটি ভাঙতে নাসিমকে বোলিংয়ে ফেরান বাবর। ৩৫তম ওভারের প্রথম বলেই দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে চাপম্যানকে বোল্ড করেন নাসিম। নিউজিল্যান্ড তখন হাতে ৬ উইকেট রেখে ৯৫ বলে ১২০ রানের দূরত্বে। পরের ওভারে স্পিনার আঘা সালমানকে হেনরি নিকোলস বাজে শটে উইকেট দেওয়ার পর বিপদে’ পড়ে নিউজিল্যান্ড। ১ রান করা নিকোলসের ধৈর্যচ্যুতি না ঘটলে রান তাড়াটা জমজমাট হতে পারত।

এর আগে ওপেনার টম ব্লান্ডলের ৬৫ ও উইল ইয়াংয়ের ৩৩ রানে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু পাকিস্তানের তিন পেসার শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ ও মোহাম্মদ ওয়াসিম ২টি করে উইকেট নিয়ে কিউইদের ম্যাচ থেকে ছিটকে ফেলেন।

টস হেরে  আগে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তানকে শুরুতে ভালো শুরু এনে দিতে পারেনি ওপেনিং জুটি। ১৯ রান করে আউট হন আগের ম্যাচে ১৮০ রানের ইনিংস খেলা ফখর জামান। পাকিস্তানের সংগ্রহ তখন ৮.২ ওভারে ১ উইকেটে ৩৭।

বাবর ও ইমাম-উল-হকের ১০৮ রানের জুটিতে ভিত গড়ে পাকিস্তান। ৫৪ রানে আউট হওয়া বাবরের পর হাল ধরেন ইমাম। মাত্র ১০ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি। ৯০ রানে বোল্ড হন মিলনের বলে। শেষ দিকে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৩২, আগা সালমানের ৩১ রানে লড়াকু সংগ্রহ পেয়ে যায় পাকিস্তান। বাকি কাজটা সেরেছেন বোলাররা। তবে ম্যাচসেরা ইমামই। করাচিতে শুক্রবার চতুর্থ ওয়ানডে।