সাঈদ আনোয়ারকে নিয়ে ওয়াসিম আকরামের আক্ষেপ

পাকিস্তানের সাবেক ওপেনার সাঈদ আনোয়ারছবি: টুইটার

নব্বইয়ের দশকে পাকিস্তান ক্রিকেট দল কয়েকজন তারকার জন্য দুর্দান্ত হয়ে উঠেছিল। ১৯৯২ সালে ইমরান খানের নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জেতার পর সীমিত ওভারের ক্রিকেটে পাকিস্তান হয়ে ওঠে বড় এক শক্তি।

নব্বইয়ের দশকে ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিস, সাঈদ আনোয়ার, ইনজামাম-উল-হক, ইজাজ আহমেদরা আতঙ্ক ছড়িয়েছেন ক্রিকেট দুনিয়ায়। ১৯৯৬ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিলেও ১৯৯৯ সালে কিন্তু ফাইনালে খেলেছিল পাকিস্তান।

আরও পড়ুন

এই সময় পাকিস্তান দলের বড় আকর্ষণ ছিলেন সাঈদ আনোয়ার। সে সময় পাকিস্তান দলের ব্যাটিংয়ের বড় অস্ত্রই ছিলেন তিনি। ইনজামাম, ইজাজরা থাকলেও সাঈদ আনোয়ারই ছিলেন ব্যাট হাতে পাকিস্তান দলের সবচেয়ে বড় ম্যাচ উইনার। তবে এই সাঈদ আনোয়ারের বিরুদ্ধেই বড় অনুযোগ আছে ওয়াসিম আকরামের। তিনি মনে করেন, সাঈদ আনোয়ার শচীন টেন্ডুলকার, ব্রায়ান লারাদের চেয়ে কোনো অংশে কম ছিলেন না, কিন্তু তাঁর ক্রিকেট বোধে সমস্যা ছিল।

পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম
ফাইল ছবি: এএফপি

সাঈদ আনোয়ার পাকিস্তানের হয়ে ৫৫ টেস্ট খেলেছেন। ওয়ানডে খেলেছেন ২৪৭টি। দুই সংস্করণে তাঁর রান ১২ হাজার ৮৭৬। তাঁর স্ট্রোক-প্লে ছিল মুগ্ধ হয়ে দেখার বিষয়। বাঁ–হাতি ব্যাটিংকে তিনি নিয়ে গিয়েছিলেন অন্য উচ্চতায়। ব্যাটিংয়ে নেমে দলকে দুর্দান্ত শুরু এনে দিতে সাঈদ আনোয়ারের জুড়ি ছিল না।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

নিজের আত্মজীবনী ‘সুলতান: আ মেমোয়ার’ বইতে ওয়াসিম কিছুটা আক্ষেপই করেছেন সাঈদ আনোয়ারকে নিয়ে, ‘সাঈদকে নিয়ে আমার অনুযোগ আছে। তাঁর যে প্রতিভা ছিল, সে খুব সহজেই পাকিস্তানের ব্রায়ান লারা হতে পারত। কিন্তু “নির্লিপ্ত” মনোভাব তাঁকে পিছিয়ে দিয়েছে।’

ওয়াসিম লিখেছেন, দুর্দান্ত প্রতিভা হওয়া সত্ত্বেও সাঈদ আনোয়ারের অর্জন প্রত্যাশামাফিক নয়। এর কারণ, তিনি নাকি চিন্তাভাবনায় বেশ দুর্বল ছিলেন, আচরণে ছিলেন নির্লিপ্ত। সবকিছুতে ঢিলেঢালা মনোভাবই তাঁকে পিছিয়ে দিয়েছে, ‘তাঁর নির্লিপ্ত আচরণ আমার ভালো লাগত না। সবকিছুতে ছিল ঢিলেঢালা। ফিটনেস নিয়ে যত্নশীল ছিল না। খেলাটা নিয়েও তাঁর চিন্তাভাবনা ছিল খুবই দুর্বল।’