ম্যাচ জেতানোর বিশ্বাস ছিল নাজমুলের
ঠিকমতো কথা বলতে পারছিলেন না। সতীর্থদের সঙ্গে উল্লাস করতে গিয়ে গলা ভেঙে গেছে নাজমুল হোসেনের।
এ ভাঙা গলায়ই এই বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান বললেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রান তাড়া করার কথা। ইংল্যান্ডের ছুড়ে দেওয়া ১১৭ রানের ছোট্ট লক্ষ্যের পেছনে ছুটতে গিয়ে যে স্নায়ুচাপ অনুভব করেছেন, সে কথা।
তবে নিজের সামর্থ্যে বিশ্বাস ছিল নাজমুলের। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে টিভি সম্প্রচারকদের তিনি বলছিলেন, ‘একটু দুশ্চিন্তা ছিল। তবে এখান থেকে আমি ম্যাচটা জেতাতে পারব, এই বিশ্বাস ছিল। যেমন ব্যাটিং করছিলাম, অনেকক্ষণ উইকেটে ছিলাম, আমার মনে হচ্ছিল, যেকোনো অবস্থা থেকে আমি জেতাতে পারব।’
রান তাড়ায় সতীর্থ মেহেদী হাসান মিরাজের প্রশংসাও শোনা গেল নাজমুলের কথায়, ‘মিরাজ তো খুবই ভালো বোলিং করেছে। ব্যাটিংয়ে ওর ২০ রানের ইনিংসটা অনেক সাহায্য করেছে। ওর ওই দুইটা ছয়, আমার কাজটা সহজ করে দিয়েছে।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন নাজমুল। টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেও নাজমুলই ছিলেন জয়ের নায়ক। তবে সেদিন রান তাড়ায় ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেননি এই বাঁহাতি। এ নিয়ে কিছুটা আক্ষেপ ছিল। আজ দলকে জয়ের দুয়ারে পৌঁছে দিয়েছেন নিজে অপরাজিত থেকে।
নিজের ব্যাটিং প্রসঙ্গে নাজমুলের বক্তব্য, ‘খেলোয়াড় হিসেবে আমার দায়িত্ব নিয়মিত রান করা। ক্রিকেট এমন একটা খেলা, যেখানে প্রতিদিনই ব্যাটসম্যানের চ্যালেঞ্জ থাকে। আমিও সে অনুযায়ী অনুশীলন করি, ম্যাচে চেষ্টা করি ভালো করার।’
টি-টোয়েন্টি ছিল বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে দুর্বলতম সংস্করণ। সেই সংস্করণেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। এর আগেও তারা বড় দলের বিপক্ষে জিতেছে। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ে ২০ ওভারের ক্রিকেটে দলের উন্নতির ছাপ দেখা গেছে।
যদিও নাজমুল বলছেন, সিরিজ জিতলেও টি-টোয়েন্টিতে আরও অনেক উন্নতির সুযোগ আছে বাংলাদেশের। তাঁর কথা, ‘আমরা ভালো একটা দলের বিপক্ষে সিরিজ জিতলাম। এটা আমাদের আত্মবিশ্বাস দেবে, সামনের সিরিজগুলোতে অনেক সাহস দেবে। তবে উন্নতির অনেক জায়গা আছে।’