র্যাঙ্কিংয়ে সুখবর জয়সোয়াল–গিলের
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে এখনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজ তেমন একটা শুরু হয়নি। সম্প্রতি শেষ হয়েছে ভারত-জিম্বাবুয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। চলছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ইংল্যান্ড ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। এই দুই সিরিজের প্রভাবই আছে আইসিসির হালনাগাদ র্যাঙ্কিংয়ে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জেতে ভারত। সেই সিরিজে দুর্দান্ত পারফর্ম করে আইসিসি টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে দারুণ উন্নতি করেছেন যশস্বী জয়সোয়াল ও শুবমান গিল।
বাঁহাতি জয়সোয়াল এগিয়েছেন ৪ ধাপ, আছেন ৬ নম্বরে। অন্যদিকে গিল এগিয়েছেন ৩৬ ধাপ, তাঁর বর্তমান অবস্থান ৩৭ নম্বরে। বল হাতে জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি ১১ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ৪৪ ধাপ।
জয়সোয়াল জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলেছেন মাত্র ৩টি ম্যাচ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে থাকা এই ক্রিকেটার প্রথম দুই ম্যাচে ছিলেন না। সিরিজেই তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ফিরে খেলেন ৩৬ রানের ইনিংস। চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে খেলেন অপরাজিত ৯৩ রানের ইনিংস।
বাঁহাতি এ ওপেনার সিরিজের শেষ ম্যাচে ১২ রানে আউট হলেও র্যাঙ্কিংয়ে ৪ ধাপ এগিয়েছেন। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে এটাই সর্বোচ্চ র্যাঙ্কিং। জিম্বাবুয়ে সিরিজে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক ছিলেন গিল। ৫ ম্যাচে ১৭০ রান করায় গিলের ৩৬ ধাপ উন্নতি হয়েছে। র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে এখনো আছেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ট্রাভিস হেড।
সিরিজ হারলেও মুজারাবানি পুরো সিরিজে দারুণ বোলিং করেছেন। ৫ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ৬টি, ইকনোমি রেটও ছিল দারুণ—৬.০০। সে কারণেই এই পেসারের ১১ ধাপ উন্নতি। সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেট (৮) নেওয়া মুকেশ কুমার ২১ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ৭৩ নম্বরে। স্পিনার ওয়াশিংটন সুন্দর ৩৬ ধাপ এগিয়েছেন, তাঁর বর্তমান অবস্থান ৪৬ নম্বরে। এই স্পিনারও ৫ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ৮টি। বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে আছেন ইংল্যান্ড স্পিনার আদিল রশিদ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে ইনিংস ও ১১৪ রানে জিতেছে ইংল্যান্ড। সেই টেস্টের প্রভাব আছে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে। ৩ ধাপ এগিয়ে ব্যাটসম্যানদের তালিকায় ৭ নম্বরে এখন হ্যারি ব্রুক। অভিষেক টেস্টে ১২ উইকেট নেওয়া গাস অ্যাটকিনসন এক লাফে উঠে এসেছেন ৫২ নম্বরে।