চোট কাটিয়ে ফিরে নাজমুলের ৮০ রান, তামিমরা জিতেছেন আবারও

রাজশাহীর হয়ে ৫৪ বলে ৮০ রান করেছেন নাজমুল হোসেনবিসিবি

কুঁচকির চোট ওয়েস্ট ইন্ডিজে যেতে দেয়নি নাজমুল হোসেনকে। বাংলাদেশ দল টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজটাও খেলতে যাচ্ছে নিয়মিত অধিনায়ককে ছাড়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজে যেতে না পারলেও মাঠে ফিরেছেন নাজমুল। জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে আজ রাজশাহীর হয়ে খেলেছেন। ৩৫ দিন পর প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেই ৮০ রানের ইনিংস খেলেছেন নাজমুল। তবে বিকেলের ম্যাচটিতে বরিশালের কাছে হেরেছে তাঁর দল। দিনের অন্য তিন ম্যাচে জিতেছে চট্টগ্রাম, ঢাকা মহানগর ও রংপুর।

নাজমুলের প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে বরিশালের প্রথম জয়

গত মাসে শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭৬ রান করার পর কুঁচকির চোট ছিটকে দেয় নাজমুলকে। এরপর ফিরেই আজ সিলেট একাডেমি মাঠে (আউটার স্টেডিয়ামে) ৫৪ বলে ৮০ রান করেছেন ৫ চার ও ৪ ছক্কায়। টি–টোয়েন্টিতে ১৮ ইনিংস পর ফিফটি করা নাজমুল হাবিবুর রহমানকে (৩৩ বলে ৪৭) নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৯.৫ ওভারে ৮৯ রান যোগ করেন। হাবিবুল মেরেছেন ৫টি ছক্কা। নাজমুল ফেরেন ১৯তম ওভারে দলকে ১৭৪ রানে রেখে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে। তাঁর দল রাজশাহী করতে পারে ৫ উইকেটে ১৮৪ রান।

৩৪ বলে ৫৬ রান করে ম্যাচসেরা বরিশালের ফজলে রাব্বি
বিসিবি

রানটা ৩ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়ে তৃতীয় ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পায় বরিশাল। আবদুল মজিদ ও ইফতিখার হোসেনের উদ্বোধনী জুটি ৮.৫ ওভারে বরিশালকে এনে দেয় ৭৯ রান। এই ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে বরিশালকে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দেন ফজলে রাব্বি। ৩৪ বলে ৩টি করে চার-ছক্কায় ৫৬ রান করেছেন রাব্বি। ওপেনার মজিদ ৩৯ বলে করেছেন ৫৩ রান। ইফতিখার ২৪ বলে করেন ৩৫ রান।
শেষ ওভারে বরিশালের দরকার ছিল ৯ রান। মঈন খান প্রথম ৩ বলেই ৪ মেরে জিতিয়ে দেন দলকে।

রংপুরের তিনে তিন

বিকেলে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ১৪.৪ ওভারে ৭১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে সিলেট। সেখান থেকে অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেট জুটিতে ৪৯ রান যোগ করে সিলেটকে ১২০ রান এনে দেন তোফায়েল আহমেদ ও আবু জায়েদ। জুটিতে জায়েদের অবদান ৪ রান। তোফায়েল ৩৮ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন।

ফিফটির পর রংপুরের নাঈম ইসলাম

১২১ রানের লক্ষ্যটা ১৫.৪ ওভারেই ৫ উইকেট হারিয়ে পেরিয়ে যায় রংপুর। নাঈম ইসলাম ৩৫ বলে ৫০ রান করে নেতৃত্ব দেন দলের টানা তৃতীয় জয়ে।

আরও পড়ুন

ঢাকা মহানগরেরও টানা তৃতীয় জয়

সকালে সিলেট আউটার স্টেডিয়ামে ১৮ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে খুলনার বিপক্ষে ৯ উইকেটে ১৪৬ রান তোলে ঢাকা মহানগর। ওপেনার ইমরানউজ্জামান ২৮ বলে করেন সর্বোচ্চ ৪৬ রান। ইনিংসে শেষ তিন বলে ৩ উইকেট হারায় দলটি, দুজন হন রানআউট। আগের ম্যাচেও বরিশালের ইনিংসের শেষ ৪ বলে ৩টি রানআউট করে অবিশ্বাস্যভাবে জিতেছিল খুলনা।

৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচেসরা মহানগরের আলিস আল ইসলাম
বিসিবি

আজ রান তাড়ায় শেষ ওভারে ২ উইকেট হাতে নিয়ে ১৮ রান দরকার ছিল খুলনার। মেহেদী রানা ও জায়েদ উল্লাহরা তুলতে পারেন ১১ রান। ৬ রানের জয়ে তিনে তিন করে ফেলে মহানগর।

আরও পড়ুন

তামিমদের সহজ জয়

সকালে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ঢাকা বিভাগকে ১০ উইকেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম। ১৬.৪ ওভারে ঢাকা অলআউট ৬৪ রানে। তাইবুর রহমান (৪৩ বলে ৩০) ছাড়া আর কেউ দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। চট্টগ্রামের ফাহাদ হোসেন ৪ ওভারে ১১ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। ঢাকার প্রথম ৪টি উইকেটই পেয়েছেন এই বাঁহাতি পেসার।

১১ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন চট্টগ্রামের পেসার ফাহাদ হোসেন

রান তাড়ায় ১১ ওভারেই বিনা উইকেটে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় চট্টগ্রাম। মাহমুদুল হাসান ৩৭ বলে ৪৪ ও তামিম ইকবাল ২৯ বলে ২১ রানে অপরাজিত ছিলেন।

আরও পড়ুন