প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক ২০১৮ সালে। কিন্তু গত চার বছরে রিশাদ হোসেনের কপালে জুটেছে মাত্র ১১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ। এর মধ্যে দুবার ৫ উইকেটসহ ১৮ উইকেট নিয়েছেন এই লেগ স্পিনার। কিন্তু এখনো প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তিনি নিয়মিত হতে পারেননি।
লিস্ট ‘এ’ ও ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতেও একাদশে জায়গা হয় না রিশাদের। মাত্র ১টি লিস্ট ‘এ’ ও ১৪টি টি-টোয়েন্টি যার প্রমাণ। দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, রিশাদ বিসিবির হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দলের প্রস্তুতি ম্যাচেও একাদশে সুযোগ পান না। দেশের ক্রিকেটের সংস্কৃতিটাই এমন। লেগ স্পিনার হিসেবে একাদশে জায়গা করে নেওয়া যেন বিশাল এক চ্যালেঞ্জ।
সেই রিশাদেরই একটা অন্যরকম চাহিদা আছে। যে কারণে কদিন পরপরই রিশাদের ডাক পড়ে জাতীয় দলের নেটে। এই যেমন গত বছর মার্চে আফগানিস্তান যখন বাংলাদেশ সফরে এল, তখন নেট বোলার হিসেবে রিশাদকে উড়িয়ে নেওয়া হয় চট্টগ্রামে। রিশাদের বোলিংয়ের বিপক্ষে খেলে আফগান লেগ স্পিনারদের খেলার প্রস্তুতিটা নিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানরা।
এবারের এশিয়া কাপের আগে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। সেখানেও ডাক পড়ে রিশাদের। এই লেগ স্পিনারকে এবার বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে উড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতেও। আজ সন্ধ্যায় তাসকিন আহমেদ, এনামুল হকের সঙ্গে রিশাদও রওনা দিয়েছেন আমিরাতে।
যাওয়ার আগে তিনি বলে গেছেন, ‘আসলে আমি কোনো কিছু নেতিবাচকভাবে নিই না। যা কিছু হয় ভালোর জন্যই হয়। চেষ্টা করব এই সুযোগ যেন কাজে লাগাতে পারি। আমার কাছে এটা বড় সুযোগ, সেরাটা দিয়ে দলকে সাহায্য করতে চাইব। স্বাভাবিক, সবারই ভালো লাগা কাজ করে, আমারও লাগছে।’ জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের যেন প্রস্তুতিটা ভালো মতো হয়, সেই চেষ্টার কথাও বলছিলেন তিনি, ‘যেহেতু বড় বড় লেগ স্পিনারের বিপক্ষে খেলবে। আমার চেষ্টা থাকবে ব্যাটসম্যানদের সম্ভাব্য সেরাটা (চ্যালেঞ্জটা) দেওয়া।’
এশিয়া কাপের মতো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টকে শেখার মঞ্চ হিসেবেও দেখছেন রিশাদ, ‘এত বড় মঞ্চে যাচ্ছি। আফগানিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কা—অনেক বড় বড় ক্রিকেটাররা থাকবেন, চেষ্টা করব তাদের কাছ থেকে কিছু নেওয়ার। বাংলাদেশ দলের কোচ হেরাথ আছেন, ভারতীয় কোচ (শ্রীরাম) আছেন। আমি চেষ্টা করব দুইজনের কাছ থেকে শেখার।’