যেখানে বাংলাদেশের প্রথম মোসাদ্দেক
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আজ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়ক নুরুল হাসানের একটি সিদ্ধান্তে হয়তো অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বোলিং ওপেন করতে তিনি বল তুলে দেন মোসাদ্দেক হোসেনের হাতে! চারজন বিশেষজ্ঞ বোলার নিয়ে নেমে কেন একজন অলরাউন্ডারের হাতে ইনিংস ওপেন করার জন্য বল দিলেন নুরুল হাসান? তাও আবার যাঁর আসল কাজ ব্যাটিং।
নুরুল হাসানের এই সিদ্ধান্ত যদি কাউকে অবাক করে থাকে, মোসাদ্দেক যা করেছেন, সেটা দেখে হয়তো আরও বেশি অবাক হয়েছেন সবাই! শুরুতে টানা ৫ উইকেট নিয়ে তিনি বিপর্যস্ত করে দেন জিম্বাবুয়ের ইনিংস।
নুরুল হাসানের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করে প্রথম বলেই রেজিস চাকাভাকে ফেরান মোসাদ্দেক। প্রথম ওভারে তিনি উইকেট নেন আরও একটি, ষষ্ঠ বলে লিটন দাসের ক্যাচে পরিণত করেন ওয়েসলি মাধেভেরেকে। পরের তিন ওভারে একটি করে উইকেট নেন মোসাদ্দেক। নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে তুলে নেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেগ আরভিনকে। এরপর ফেরান শন উইলিয়ামস ও মিল্টন শুম্বাকে।
জিম্বাবুয়ের ৫ উইকেটে নিতে ২০ রান দিয়েছেন মোসাদ্দেক। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তো বটেই, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই এটা তাঁর সেরা বোলিং। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে যৌথভাবে এটা দ্বিতীয় সেরা বোলিং। তবে একটা ক্ষেত্রে মোসাদ্দেকই প্রথম। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে এর আগে বাংলাদেশের কোনো বোলার প্রতিপক্ষের প্রথম পাঁচ উইকেট নিতে পারেননি।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সেরা বোলিং ইলিয়াস সানির। বাঁহাতি এ স্পিনার ১৩ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ২০১২ সালে, বেলফাস্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। মোসাদ্দেকের সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার সাকিব আল হাসানের। ২০১৮ সালে মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি ২০ রান দিয়ে।
এই তিনজন ছাড়া আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেট পেয়েছেন বাংলাদেশের আর একজন বোলারই, তিনি মোস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতি পেসার ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কলকাতায় ২২ রানে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট।
মোসাদ্দেকের টি-টোয়েন্টি অভিষেক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে খুলনায় সেই ম্যাচে ২ ওভার বল করে ১০ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। আজ খেলছেন ২০তম ম্যাচ। আগের ১৯ ম্যাচে তাঁর উইকেট ছিল মাত্র ৭টি।