২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

আনুশকা–আথিয়াকে নিয়ে হরভজনের বিতর্কিত মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

ক্রিকেটারদের স্ত্রীদের ফ্রেমে আছেন আনুশকা–আথিয়াটুইটার

খেলোয়াড়ি জীবনে এমনকি খেলা ছাড়ার পরও নানা কারণে বিতর্কিত ছিলেন হরভজন সিং। এবার বিশ্বকাপ ফাইনাল চলাকালে বেফাঁস মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন ভারতের সাবেক এই স্পিনার। হরভজন মন্তব্যটি করেছেন দুই ভারতীয় অভিনেত্রী আনুশকা শর্মা ও আথিয়া শেঠিকে নিয়ে।

আজ ভারত–অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে গ্যালারিতে বসেছে তারার মেলা। শাহরুখ খান, রণবীর সিং, দীপিকা পাডুকোন, আনুশকা ও আথিয়ারা গ্যালারি থেকে সমর্থন দিচ্ছেন দলকে। আনুশকা ও আথিয়ার জন্য এই ম্যাচটি আবার একটু বেশি স্মরণীয়। এই ম্যাচে তাঁদের জীবনসঙ্গী বিরাট কোহলি এবং লোকেশ রাহুল দেশকে তৃতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দিতে লড়ছেন।

আরও পড়ুন

ফাইনালের দিন গ্যালারিতে এই দুই অভিনেত্রী বসেছেনও এক জায়গায়। যেখানে তাঁদের সঙ্গে ছিলেন রোহিত শর্মা–রবীন্দ্র জাদেজাদের স্ত্রীরাও। ম্যাচের একপর্যায়ে কোহলি–রাহুল যখন দলের বিপর্যয়ের মুখে জুটি গড়ে লড়ছিলেন, তখন ক্যামেরায় ধরা পড়ে আথিয়া ও আনুশকার মুখ। সে সময় নিজেদের মধ্যে আলাপ করছিলেন আনুশকা ও আথিয়া। এ দুজনকে যখন ক্যামেরায় দেখানো হচ্ছিল, তখন হিন্দিতে ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন হরভজন। আর তখনই বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন সাবেক এই ক্রিকেটার।

হরভজনকে তখন বলতে শোনা যায়, ‘আমি এটা ভাবছি যে তারা ক্রিকেট নিয়ে কথা বলছে নাকি সিনেমা নিয়ে। কারণ, আমি জানি না তারা ক্রিকেট সম্পর্কে কতটা জানে।’ তাঁর এই মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে খুব বেশি সময় লাগেনি। আর এই কথা নিয়ে এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে জোর বিতর্কও। কেউ কেউ হরভজনের কথাটিকে ‘নারী বিদ্বেষী’ বলেও মন্তব্য করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন লিখেছেন, ‘হিন্দি ধারাভাষ্যে প্রকাশ্যে আনুশকা শর্মার ক্রিকেট জ্ঞান নিয়ে উপহাস করা হচ্ছে। আমরা কবে শোধরাব ভাই। সে শুধু আনুশকা নয়, সে বিরাট কোহলির স্ত্রী, যে কিনা সম্প্রতি ইতিহাস গড়েছে। সবার সামনে এভাবে কাউকে নিয়ে উপহাস করা খুবই বাজে ব্যাপার।’

আরও পড়ুন

আরেকজন লিখেছেন, ‘ধারাভাষ্যকার বলছে, আনুশকা ও আথিয়া ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার ফাইনালে নিশ্চয়ই চলচ্চিত্র নিয়ে কথা বলছে কারণ, “ক্রিকেট নিয়ে তাদের খুব বেশি জ্ঞান নেই”। এটা ঘৃণ্য। বিষয় যা–ই হোক, নারীবিদ্বেষ সর্বব্যাপী।’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘হরভজনকে ধারাভাষ্য থেকে বাদ দেওয়া হোক।’