সেমিফাইনালে যেতে ১১৫ রান যত ওভারে টপকাতে হবে বাংলাদেশকে

৩ উইকেট পেয়েছেন রিশাদবিসিবি

কাজটা খুব কঠিন, তবে ভালো কিছু পেতে হলে কঠিন পথই তো পেরোতে হবে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে উঠতে হলে বাংলাদেশের সামনেও কঠিন পথ। সেই পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ কি পারবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের সেরা সাফল্য পেতে?

কঠিন সেই পথটা কী? টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে আফগানিস্তান দল নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে তুলেছে ১১৫ রান। সেমিফাইনালে যেতে হলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এই ম্যাচ জিতলেই শুধু চলবে না বাংলাদেশকে। আফগানিস্তানের দেওয়া লক্ষ্য পেরিয়ে যেতে হবে ১২.১ ওভারে।

সেমিফাইনালে যাওয়ার জন্য অবশ্য ১২.৫ ওভারে এই রান টপকালেও চলবে বাংলাদেশকে। সে ক্ষেত্রে স্কোর সমান হওয়ার পর একটি ছয় মারতে হবে। অর্থাৎ ১২.৫ ওভারে বাংলাদেশকে করতে হবে ১২১ রান। আবার ১২.৩ ওভারে আফগানিস্তানকে টপকাতে পারলেও সেমিফাইনালে যাবে বাংলাদেশ। সে ক্ষেত্রে ১২,৩ ওভারে করতে হবে ১১৯ রান।

যা করার, বাংলাদেশকে তা করতে হবে ১৩ ওভারের মধ্যেই। ১২.১ ওভারে জিতলে তো কথাই নেই, ১২.২ ওভারে জিতলে করতে হবে ১১৮। ১২.৩ ওভারে জিতলে ১১৯, ১২.৪ ওভারে ১২০ আর ১২.৫ ওভারে ১২১ রান করতে হবে।

৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান খরচ করেছেন মোস্তাফিজ
এএফপি

সেমিফাইনালে যাওয়ার লক্ষ্যে ম্যাচের শুরুটা বাংলাদেশ করেছিল দারুণভাবে। শুরু থেকেই আঁটসাঁট বোলিং করেন তানজিম হাসান, তাসকিন আহমেদ ও সাকিব আল হাসান। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে তাঁরা দিয়েছেন মাত্র ২৭ রান। তবে কোনো উইকেট পাননি।

আরও পড়ুন

ইব্রাহিম জাদরান জীবন না পেলে সেটাও পেয়ে যেতে পারত বাংলাদেশ। দুই প্রান্তে দুই পেসার ২ ওভার করে করার পর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন পঞ্চম ওভারে আনেন স্পিনার। এলেন সাকিব আল হাসান। তৃতীয় বলে তৈরি করলেন সুযোগ। শর্ট লেংথের বলে টেনে মেরেছিলেন ইব্রাহিম। তবে এক্সট্রা কাভারে একটু লাফ দিয়ে নাগালে পেলেও ক্যাচ রাখতে পারেননি তাওহিদ হৃদয়।

সুযোগ পেয়েও খুব বেশি কিছু করতে পারেননি ইব্রাহিম। রিশাদ হোসেনের বলে তানজিমের ক্যাচ হওয়ার আগে ২৯ বলে ১ চারে করেছেন ১৮ রান। তাঁর আউটে ভাঙে ৫৯ রানের উদ্বোধনী জুটি। এমনিতেই শ্লথ গতিতে রান তুলতে থাকা আফগানরা এই আউটে আরও যেন থমকে গিয়েছিল। রিশাদের উইকেট পাওয়ার ওভারে আসে ১ রান। তাসকিন পরেরটি করেছেন মেডেন। ১৩তম ওভারে এসে সাকিব দিয়েছেন ৩ রান

রান কমে যাওয়ার এই চাপে পড়ে দ্রুত আরও ৪ উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ১১৫ রানে থামে আফগানদের ইনিংস। আফগানিস্তানের পক্ষে ৫৫ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেছেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। বাংলাদেশের পক্ষে ২৬ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন রিশাদ।

আরও পড়ুন