অবশেষে বাবরের প্রশংসা আকরাম–মালিকদের মুখে
বাবর আজম এবার একটু স্বস্তি পেতেই পারেন! চলতি বিশ্বকাপে সম্ভবত এবারই প্রথম ব্যাটসম্যান বাবর ওয়াসিম আকরাম-শোয়েব মালিকদের প্রশংসা পেলেন। এমনিতে তো বাবরের সমালোচনাই বেশির ভাগ সময় শোনা যায় তাঁদের মুখে। তবে গতকাল বাবরের ৬৩ বলে অপরাজিত ৬৬ রানের ইনিংসে পরিস্থিতি কিছুটা বদলেছে।
গতকাল বেঙ্গালুরুতে নিউজিল্যান্ড আগে ব্যাটিং করে তুলেছিল ৪০১ রান। সেই রান তাড়া করতে নেমে বৃষ্টিতে খেলা বন্ধের আগে পর্যন্ত পাকিস্তান ২৫.৩ ওভারে ১ উইকেটে তোলে ২০০ রান। এর মধ্যে ৮১ বলে ১২৬ রানই তোলেন ফখর। ৩৩ বছর বয়সী এই বাঁহাতির ইনিংসে ছিল ১১টি ছয় ও ৮টি চার। তাই গতকালে পাকিস্তানের জয়ে মূল চরিত্র এই ফখরই ছিলেন। তাহলে বাবর কী করেছেন?
পাকিস্তান অধিনায়ক ফখরকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন। প্রয়োজন অনুযায়ী সিঙ্গেল নিয়ে ফখরকে স্ট্রাইকে দিয়েছেন। নিজেও সুযোগ পেলেই মেরেছেন বাউন্ডারি। ১৯৪ রানের এই অবিচ্ছিন্ন জুটিতে বাবর যোগ্য সঙ্গ দেওয়াতেই তাঁর প্রশংসা করেছেন আকরাম-মালিকরা।
এ স্পোর্টসের প্যাভিলিয়ন অনুষ্ঠানে আকরাম বলেছেন, ‘বাবর সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। প্রতিপক্ষ ৪০০ রান করার পরও সাহস হারায়নি। সাধারণত ৪০০ রানের টার্গেটে ব্যাটিং করতে নামা দল মানসিকভাবে ও শারীরিকভাবে ভেঙে পড়ে। এরপরও বাবরের ব্যাটিং ফখরকে খুব দারুণভাবে সহযোগিতা করেছে।’
মালিক বলেছেন, ‘বাবর তুলনামূলকভাবে স্পিনের চেয়ে পেসটা খুব ভালো খেলে। ব্যাপারটা এমন নয় যে স্পিন বাবর খেলতে পারেন না। এরপরও সব ব্যাটসম্যানের কিছুটা দুর্বলতা থাকে। কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসার প্রয়োজন হয়। আমি নিশ্চিত, বাবর সেটা করেছে। যে কারণে যেসব বোলিংয়ে তাঁর সমস্যা হচ্ছিল, সেগুলো এদিন সে ছক্কা মেরেছে।’
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক অযথা আক্রমণাত্মক শট না খেলায় বাবরের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘অনেক সময় ব্যাটসম্যানেরা স্রোতে গা ভাসায়। সঙ্গের ব্যাটসম্যানের শট দেখে নিজেও এমন শট খেলতে যায় যে তাতে আউট হয়ে যায়। তাতে পুরোপুরি ছন্দটা ভেঙে যায়। সবচেয়ে ভালো বিষয় হচ্ছে, ফখরকে সঙ্গ দিয়েছে, আর নিজে যখন সুযোগ পেয়েছে, বাউন্ডারি মেরেছে।’