আইসিসিতে জয় শাহ, বিসিসিআইয়ে কে
মাত্র ৩৫ বছর বয়সে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আইসিসির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ভারতের জয় শাহ। আইসিসির ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন তিনি। এ মুহূর্তে বিসিসিআইয়ের সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা জয় আইসিসির দায়িত্ব পালন শুরু করবেন ১ ডিসেম্বর। ফলে জয় চলে গেলে বিসিসিআইয়ের সেক্রেটারির পদটি শূন্য হয়ে যাবে।
২০০৯ সালে গুজরাটে ক্রিকেট সংগঠক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করা জয় বিসিসিআইয়ের সেক্রেটারি হিসেবে আছেন ২০১৯ সাল থেকে। ২০২২ সালে এ পদে পুনরায় নির্বাচিত হন তিনি। ২০২৫ সাল পর্যন্ত পদটিতে থাকার কথা ছিল তাঁর। তবে আইসিসির দায়িত্ব নিলে বিসিসিআইয়ের পদ ছাড়তে হবে তাঁকে। ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেছেন জয়।
জয় আইসিসিতে চলে গেলে বিসিসিআইয়ে তাঁর পদে কে আসবেন, এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলোতে। সেখানে এসেছে দিল্লি ও জেলা ক্রিকেট সংস্থার প্রেসিডেন্ট রোহান জেটলির নাম। তবে তিনি নিজে এমন সংবাদ উড়িয়ে দিয়েছেন।
আইসিসির চেয়ারম্যান পদে পঞ্চম ভারতীয় হতে যাচ্ছেন জয়। তাঁর আগে এ দায়িত্ব পালন করেছেন জগমোহন ডালমিয়া, শারদ পাওয়ার, এন শ্রীনিবাসন ও শশাঙ্ক মনোহর। ডালমিয়ার আমলে বাংলাদেশ টেস্ট মর্যাদা পেয়েছিল।
জয় এবার আইসিসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেবেন গ্রেগ বার্কলের জায়গায়। ২০২০ সাল থেকে আইসিসির প্রধানের ভূমিকায় ছিলেন নিউজিল্যান্ড-কানাডিয়ান বার্কলে। ২০২২ সালে এ পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তবে সম্প্রতি বার্কলে জানান, তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালনে তিনি ইচ্ছুক নন। ২০২২ সাল থেকে বার্কলের অধীন আইসিসির গুরুত্বপূর্ণ ফিন্যান্স অ্যান্ড কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার্স কমিটিতে ছিলেন জয়।
বার্কলে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পরপরই ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমে প্রশ্ন তোলা হয়। তারা দাবি করে, বার্কলেকে আর নির্বাচন না করতে বিসিসিআইয়ের সেক্রেটারি জয় শাহ চাপ দিয়েছেন।
আজ ২৭ আগস্ট পর্যন্ত আইসিসির চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় ছিল। তবে জয় ছাড়া সেটি কেউ দেননি। ফলে এখন আর আনুষ্ঠানিক নির্বাচনের প্রয়োজন হবে না।
নির্বাচিত হওয়ার পর এক বিবৃতিতে জয় বলেছেন, ‘আইসিসির চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনয়ন পেয়ে আমি বেশ বিনীত বোধ করছি। আইসিসির দল ও আমাদের সদস্য জাতিগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে ক্রিকেটের আরও বৈশ্বিকীকরণে কাজ করতে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। একাধিক সংস্করণের সহাবস্থানের ভারসাম্য আনা, অগ্রসর প্রযুক্তির আয়ত্তকরণের প্রচার ও নতুন বৈশ্বিক বাজারে আমাদের মূল টুর্নামেন্টগুলোর পরিচিতি তুলে ধরতে আমরা একটা গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ক্রিকেটকে আরও উন্মুক্ত ও যেকোনো সময়ের চেয়ে আরও জনপ্রিয় করা।’