ডিএলএস পদ্ধতিতে ৭ রানে হার কলকাতার
চ্যালেঞ্জিং, তবে অসম্ভব ছিল না। ৪ ওভারে ৪৬ রান-আইপিএলে এমন সমীকরণ তো অনেক সময়েই মিলিয়ে ফেলেন ব্যাটসম্যানরা। যদিও আজকের ম্যাচে কলকাতার হয়ে এই কাজটা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যান কেউ ছিলেন না।
আবার সুনীল নারাইন ও শার্দুল ঠাকুর ক্রিজে থাকলে কাজটা একেবারে অসম্ভবও ছিল না। তবে এমন সমীকরণের ম্যাচে জল ঢেলে দিয়েছে মোহালির বৃষ্টি। যেখানে বৃষ্টি আইনে শেষ পর্যন্ত হারটা হয়েছে নিতীশ রানার কলকাতার। শিখর ধাওয়ানের পাঞ্জাবের কাছে ডিএলএস পদ্ধতিতে তারা হেরেছে ৭ রানে।
আগে ব্যাট করে ভানুকা রাজাপক্ষের ফিফটি ও অন্য ব্যাটসম্যানদের ছোট ছোট কার্যকরী ইনিংসে ১৯১ রান তোলে পাঞ্জাব। যার জবাবে আন্দ্রে রাসেল ও ভেঙ্কটেস আইয়ারের ত্রিশোর্ধ্ব রানের ইনিংসে ১৬ ওভারে ১৪৬ রান তোলে কলকাতা।
১৯২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই পিছিয়ে ছিল কলকাতা। আইপিএলে অভিষিক্ত রহমানউল্লাহ গুরবাজ দারুণ শুরু করলেও অন্য প্রান্তে ছিল আসা যাওয়ার মিছিল। ২২ রান করে গুরবাজ আউট হওয়ার পর ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার ভেঙ্কটেস আইয়ার ও অধিনায়ক রানা ৪৬ রানের জুটি গড়েছিলেন। রানা করেন ১৭ বলে ২৪ রান। মূলত আন্দ্রে রাসেল ক্রিজে আসার পরই প্রথমবার কলকাতা ১৯২ রান তাড়া করতে পারবে বলে মনে হয়েছিল। ১৯ বলে ৩৫ রান করে স্যাম কারেনের বলে রাসেল আউট হওয়ার পরও চেষ্টাটা চালিয়ে গিয়েছিলেন আইয়ার-শার্দুলরা।
মোহালিতে এদিন খেলা শুরুর আগেও হয়েছিল বৃষ্টি। যে কারণে টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নিতীশ রানা। অধিনায়কের সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমাণে যদিও ব্যর্থ হয়েছে কলকাতার বোলারা। অভিজ্ঞ টিম সাউদি ও উমেশ যাদবকে শুরু থেকেই আক্রমণ করেন ভারতের তরুণ ব্যাটসম্যান প্রভসিমরান সিং। ইনিংসের প্রথম দুই ওভারের প্রতিটি বলই খেলেন এই ওপেনার, করেন ২৩ রান।
প্রভসিমরানের আউটের পর ক্রিজে আসেন ভানুকা রাজাপক্ষে। অধিনায়ক ধাওয়ানকে নিয়ে এই লঙ্কান গড়েন ৮৬ রানের জুটি। বরুণ চক্রবর্তীর বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে ৪০ রান করেন ধাওয়ান। উমেশের বলে আউট হওয়ার আগে ভানুকা করেন ৩২ বলে ৫০। মিডল অর্ডার ও লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা বড় ইনিংস না খেললেও সবার কার্যকরী ইনিংসে পাঞ্জাব স্কোরবোর্ডে তোলে ১৯১ রান। ৪ ওভারে ৫৪ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়েছেন সাউদি।