হাসারাঙ্গা অবসর ভেঙে ফিরলেন, এরপর আবার নিষিদ্ধ হলেন
অসদাচরণের দায়ে আবার নিষিদ্ধ হয়েছেন শ্রীলঙ্কা স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে আম্পায়ারিং নিয়ে কটাক্ষ করার পর এ শাস্তি পেলেন তিনি। ফলে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুটি টেস্টে খেলা হবে না এই লেগ স্পিনারের।
এর আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে আম্পায়ারিং নিয়ে সমালোচনা করায় বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে নিষিদ্ধ ছিলেন হাসারাঙ্গা। আম্পায়ারদের অবমাননা করে শাস্তি পেয়েছেন অধিনায়ক কুশল মেন্ডিসও।
গতকাল ঘোষিত শ্রীলঙ্কার টেস্ট দলে ফিরেছিলেন ২০২৩ সালের আগস্টে এ সংস্করণ থেকে অবসরে যাওয়া হাসারাঙ্গা। টেস্ট দলে থাকার কারণে আইপিএলের শুরুর দিকে তিনি খেলতে পারবেন না, এমন জানা গিয়েছিল। তবে গতকালের ম্যাচেই অসদাচরণের শাস্তি পেলেন তিনি। আইসিসি জানিয়েছে, আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টের ২.৮ নম্বর ধারা ভেঙেছেন হাসারাঙ্গা, যেটি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ জানানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
বাংলাদেশের ইনিংসের ৩৭তম ওভারে রিশাদ হোসেনের বিপক্ষে এলবিডব্লুর আবেদন করেছিল শ্রীলঙ্কা। বল ট্র্যাকিং দেখায় আম্পায়ার্স কল, ফলে বেঁচে যান রিশাদ। সে ওভারের পর আম্পায়ারের হাত থেকে নিজের ক্যাপ ছিনিয়ে নেন হাসারাঙ্গা। ম্যাচে আম্পায়ারিং নিয়ে কটাক্ষও করেন। ১৮ বলে ৪৮ রানের ঝোড়ো ইনিংসে বাংলাদেশকে জেতান রিশাদ। এ ঝড়ের ঝাপটা সবচেয়ে বেশি লাগে হাসারাঙ্গার ওপরই, তাঁর ১১ বলে রিশাদ তোলেন ৪০ রান। ৪ উইকেটে জিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ।
এ ঘটনায় হাসারাঙ্গার ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানার পাশাপাশি তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে ২৪ মাসের ব্যাপ্তিতে আটটি ডিমেরিট পয়েন্ট হলো তাঁর। নিয়ম অনুযায়ী, আটটি ডিমেরিট পয়েন্ট চারটি নিষেধাজ্ঞা পয়েন্টে রূপ নেবে। ফলে তিনি দুই টেস্ট বা চার ওয়ানডে কিংবা চারটি টি-টোয়েন্টিতে নিষিদ্ধ হবেন (যে সংস্করণের খেলা আগে)। হাসারাঙ্গাকে টেস্ট দলে রাখা হয়েছে বলে তাঁর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে এ সিরিজেই।
একই ম্যাচে মেন্ডিসের শাস্তিও এসেছে আম্পায়ারের সঙ্গে অসদাচরণের দায়ে। ম্যাচের পর হাত মেলাতে গিয়ে আম্পায়ারদের অবমাননা করেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক। এ ক্ষেত্রে কোড অব কন্ডাক্টের ২.১৩ ধারা ভেঙে ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানার পাশাপাশি তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন মেন্ডিস। তাঁর ক্ষেত্রে অবশ্য দুই বছরের ব্যাপ্তিতে এটিই প্রথম অপরাধ।
মেন্ডিস ও হাসারাঙ্গা দুজনই নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন বলে আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন পড়েনি। এ ম্যাচে অন ফিল্ড আম্পায়ার ছিলেন রিচার্ড কেটেলবোরো ও শরফুদ্দৌলা। যদিও অসুস্থ হয়ে পড়ায় কেটেলবোরো দ্বিতীয় ইনিংসে নামেননি, তাঁর জায়গায় দায়িত্ব পালন করেন চতুর্থ আম্পায়ার তানভীর আহমেদ। তানভীরের সিদ্ধান্তেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন হাসারাঙ্গা।