বিসিবির গঠনতন্ত্রে সংশোধন চান ফারুক

বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদশামসুল হক

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন ফারুক আহমেদ। দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পর আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনকক্ষে প্রায় ১০ মিনিট দীর্ঘ বক্তব্য দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক এই অধিনায়ক। সেখানে তিনি প্রথমেই ক্রিকেট বোর্ডকে নতুন করে গড়ে তোলার কথা বলেছেন।

বিসিবি সভাপতির বক্তব্য, ‘আমরা সবাই জানি, বাংলাদেশের মতো একটা সম্ভাবনাময় দেশে আমাদের যতটুকু করার দরকার ছিল, ততটুকু করতে পারিনি। এটা বলার শেষে যেটা বলতে চাচ্ছি আমি, আমাদের সাফল্য একদম কম নয়। হয়তো কিছু পার্টিকুলার সেক্টরে আমরা আরও উন্নতি করার কথা ছিল, যেগুলো করতে পারিনি। এখন আমাদের দায়িত্ব এই সিস্টেমকে রিবিল্ড করা।’

আরও পড়ুন

পরে যোগ ফারুক আহমেদ করেন, ‘অনেক সময় অনেক কাজ করা যায় না। অনেক ধরনের আউটসাইড প্রেশার থাকে। এবার আমি সভাপতি থাকা অবস্থায় যতটুকু সম্ভব সুন্দর সিস্টেম দাঁড় করাতে চাই। এটা পুরোনো কথা, একটা সিস্টেমের বিরুদ্ধে লড়াই করে আমি পদত্যাগ করেছিলাম। এটা আমার সবচেয়ে বেশি প্রায়োরিটি থাকবে, সিস্টেমটা আমি তৈরি করতে চাই।’

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ
প্রথম আলো

বিসিবির বর্তমান গঠনতন্ত্র সংশোধনের কথাও বলেছেন ফারুক আহমেদ। সেটাও আগামী বছরের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিসিবি নির্বাচনের আগে, ‘এই গঠনতন্ত্রের ব্যাপারে আমাদের চিন্তা করতে হবে, ভালো কী হয়। সামনের বছর আরেকটা নির্বাচন আছে, সম্ভবত তার আগে গঠনতন্ত্রে একটু হাত দিতে হবে। সত্যি সত্যি যারা ক্রিকেট ভালোবাসে, ক্রিকেটের জন্য কিছু করতে চায়, তাদের আসলে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।’

আরও পড়ুন

ক্রিকেটের সার্বিক উন্নতির বিষয়টিও তুলে ধরেছেন ফারুক আহমেদ, ‘১৮ কোটি মানুষের দেশ। আমাদের দেশে আপনারা, আমরা খেলোয়াড়েরা, আমাদের দর্শক যাঁরা আছেন, তাঁরা ক্রিকেট–পাগল। এখানে অনেক এলিমেন্ট ঢুকে যায়। আমাদের ক্রিকেট বোর্ড খুব বেশি গ্ল্যামারাস হয়ে যাওয়ায় সবাই এটার অংশ পেতে চায়। আমি চাইব, যাদের প্রয়োজন, তারাই যেন আসে। এখানে আসার প্রথম ক্রাইটেরিয়া হবে ক্রিকেটের উন্নতি।’

আরও পড়ুন

ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ ভুলে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ দলের কথা চিন্তা করার কথাও বলেছেন ফারুক আহমেদ। তাঁর পরিষ্কার বার্তা, ‘আমি সবাইকে এই বার্তা পরিষ্কারভাবে দিতে চাই, আমি যদি দেশ ও দলের কথা চিন্তা করি, তখন কিন্তু অন্য জায়গাগুলো গৌণ হয়ে যাবে, পছন্দ-অপছন্দ কমে যাবে।’

জাতীয় দল নির্বাচনে ক্রিকেট বোর্ডের প্রভাব খাটানোর অভিযোগটা পুরোনো। নতুন সভাপতি দল নির্বাচনে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ যেন না হয়, তা নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন, ‘আমি বোর্ডপ্রধান হিসেবে নির্বাচকদের সর্বোচ্চ স্বাধীনতা দেব।’