বিপিএল ফাইনালে মিরপুরের গ্যালারিতে লাল সমুদ্র
খেলা শুরুর অনেক আগেই গ্যালারি প্রায় কানায় কানায় পূর্ণ। বিপিএলের ফাইনাল বলে কথা! তার ওপর আবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। তবে যাঁরা টিকিট পেয়েছেন, তাঁদের ভাগ্যবানই বলতে হবে। দুই দিন ধরেই ‘সোনার হরিণ’ বিপিএল ফাইনালের টিকিটের জন্য দর্শকদের হাহাকার শোনা গেছে।
আজ বিকেলে মাঠে ঢোকার সময় বরিশালের জার্সি গায়ে এক দর্শক বলছিলেন, ‘কপাল ভালো বলতে হবে। টিকিট পেয়েছি অবশেষে। আমার বন্ধুরা অনেক চেষ্টা করেও পায়নি। মনে হচ্ছিল বাংলাদেশে সবচেয়ে দুর্লভ জিনিস হচ্ছে বিপিএল ফাইনালের টিকিট।’
আসলেই তাই। টিকিট কাউন্টারে মারামারি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের লাঠি চার্জ—মিরপুরে সবই হয়েছে গতকাল ফাইনালের আগের দিন। আজও টিকিট কাউন্টারে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় লেগে গেছে সমর্থকদের।
অনলাইনের টিকিট আরও আগেই শেষ। কাউন্টারের টিকিটও শেষ হয়ে গেছে আগেই। টিকিটপ্রত্যাশীদের ভিড় সামলাতে না পেরে বিসিবির নির্ধারিত দুটি টিকিট কাউন্টারের একটি কালই বন্ধ করে দেওয়া হয়। মিরপুরের ইনডোর স্টেডিয়ামের যে কাউন্টার খোলা ছিল, সেখানেও লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে পাওয়া যায়নি টিকিট।
গতকাল রাত তিনটা থেকে কাউন্টারের লাইনে দাঁড়িয়েও টিকিট পাননি অনেকে। বাধ্য হয়ে কালোবাজারিদের দ্বারস্থ হয়েছেন কেউ কেউ। নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে তিন-চার গুণ বেশি টাকায় কিনতে হয়েছে টিকিট। এ নিয়ে কালোবাজারির সঙ্গে দর্শকদের মারামারির ঘটনাও ঘটেছে।
ফাইনালে আজ চারবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের মুখোমুখি হচ্ছে এখনো শিরোপার স্বাদ না পাওয়া ফরচুন বরিশাল। তবে ভিন্ন ভিন্ন নামে এর আগেও তিনবার ফাইনাল খেলেছে বরিশাল।
ফাইনালের দুই দলই দেশি–বিদেশি ক্রিকেটারের শক্তিমত্তায় প্রায় সমান। এমনকি গ্যালারির সমর্থনেও কেউ কারও চেয়ে পিছিয়ে নেই। কুমিল্লা, বরিশালের মিল আছে আরও একটা জায়গায়। দুই দলের জার্সির রংই লাল এবং সে কারণে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারিতেও লাল সমুদ্র। কোন দলের দর্শক যে বেশি, সেটা অন্তত দূর থেকে গ্যালারি দেখে বোঝার উপায় নেই।