টানা দুই ম্যাচে ৪ উইকেট। সব মিলিয়ে পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচেই পাকিস্তান পেসার হারিস রউফ উইকেট নিয়েছেন ১০টি। যার প্রভাব পড়েছে আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়েও। পাকিস্তানের এই পেসার এগিয়েছেন পাঁচ ধাপ।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে সেঞ্চুরি করেও অবশ্য র্যাঙ্কিংয়ে এগোতে পারেননি পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। অন্যদিকে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে ১০ উইকেট নিয়ে টেস্টে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে ১১ ধাপ এগিয়েছেন শ্রীলঙ্কার বাঁহাতি স্পিনার প্রবাত জয়াসুরিয়া।
ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে আছে পাকিস্তান। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন হারিস, ছাপ রাখেন পরের দুই ম্যাচেও। তাতে পাঁচ ধাপ এগিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ১১ নম্বরে উঠে এসেছেন এই পেসার। যেভাবে এগোচ্ছেন, তাতে সিরিজ শেষে শীর্ষে দশে ঢুকে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে ভালোভাবেই।
হারিস এগোলেও তাঁর অধিনায়কের উন্নতি হয়নি। অথচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করেছিলেন বাবর। খেলেছিলেন ৫৮ বলে ১০১ রানের ইনিংস। অবশ্য র্যাঙ্কিংয়ে এগোতে না পারলেও ১২ রেটিং পয়েন্টে বেড়েছে পাকিস্তান অধিনায়কের।
পাকিস্তানের আরেক পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদিও এগিয়েছেন চার ধাপ, আছেন ১৫ নম্বরে। লেগ স্পিনার শাদাব খান আছেন ১৩ নম্বরে। কিউই লেগ স্পিনার ইশ সোধিও চার ধাপ এগিয়ে আছেন ১৬ নম্বরে।
টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের কোনো বোলার শীর্ষ ২০-এ নেই। সবার আগে মোস্তাফিজুর রহমান, তাঁর অবস্থান ২১ নম্বরে। এরপর সাকিব আল হাসান আছেন ২৪ নম্বরে। টি-টোয়েন্টি বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে আফগানিস্তানের রশিদ খান।
অন্যদিকে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে শ্রীলঙ্কা জিতেছে রেকর্ড ইনিংস ও ২৮০ রানের ব্যবধানে। সেই টেস্টে বাঁহাতি স্পিনার জয়াসুরিয়া নিয়েছেন ১০ উইকেট। শুধু এই টেস্টে নয়, ক্যারিয়ারের প্রথম ৬ ম্যাচেই এই স্পিনার নিয়েছেন ৪৩ উইকেট।
র্যাঙ্কিংয়েও বড়সড় লাফ দিয়েছেন, ১৩ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ১৯ নম্বরে। টেস্টে বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে সবার আগে তাইজুল ইসলাম, এ বাঁহাতি স্পিনার আছেন ২১ নম্বরে।
টেস্টে ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ এগিয়ে ৯ নম্বরে এসেছেন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭৯ রানের ইনিংস খেলা শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে।