২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

জীবনের সবচেয়ে মন্থর ‘৫০’–ই টেন্ডুলকারের সবচেয়ে প্রিয়

জন্মদিনের কেক কাটছেন শচীন টেন্ডুলকারছবি: মুম্বাই ইন্ডিয়ানস

ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ‘৫০’–এর দেখা কম পাননি শচীন টেন্ডুলকার। তবে ‘৫০’ ছোঁয়ার আগেই সেটি উদ্‌যাপন কখনোই করেননি ভারতীয় ক্রিকেট কিংবদন্তি। কোন খেলোয়াড়ই বা সেটি করেন!

সেই টেন্ডুলকারই এবার একটু আগেভাগে উদ্‌যাপন করে ফেললেন ‘৫০’। আগামীকাল ২৪ এপ্রিল শচীন রমেশ টেন্ডুলকারের ৫০তম জন্মদিন। ৩৪ বছর আগে মাত্র ১৬ বছর বয়সে ভারত দলে অভিষিক্ত টেন্ডুলকার ‘৫০’ ছোঁয়ার দুদিন আগেই গতকাল শনিবার পালন করে ফেললেন জন্মদিন। আইপিএল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ও পাঞ্জাব কিংসের ম্যাচ চলার সময়েই ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে কেক কেটে জন্মদিনের আগাম উৎসব করেছেন টেন্ডুলকার।

আমার জীবনের সবচেয়ে মন্থর ফিফটি এটি, তবে এটিই সবচেয়ে পরিপূর্ণ ও সবচেয়ে কৌতূহলোদ্দীপক ফিফটিও।
শচীন টেন্ডুলকার

সে সময় সাবেক সতীর্থ রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন টেন্ডুলকার। ১০০টি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরির মালিক বলেছেন, তাঁর জীবনের সবচেয়ে পরিপূর্ণ ফিফটি এটিই, ‘আমার জীবনের সবচেয়ে মন্থর ফিফটি এটি, তবে এটিই সবচেয়ে পরিপূর্ণ ও সবচেয়ে কৌতূহলোদ্দীপক ফিফটিও।’

১৯৮৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত টানা ২৪ বছর ভারতের হয়ে খেলা টেন্ডুলকার জীবনের ইনিংসটাকে পরিপূর্ণভাবে উপভোগের কথাও বললেন, ‘এটা (৫০) উত্থান–পতনে ভরপুর একটি প্যাকেজ। এই ফিফটিটা আমি পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করেছি। এটা কত কিছু শিখিয়েছে আমাকে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, এটি আমাকে ২৪ বছর ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার সম্মান দিয়েছে।’

আরও পড়ুন
টেন্ডুলকারের মুখোশ হাতে মুম্বাইয়ে ইন্ডিয়ানসের সমর্থকেরা
ছবি: এএফপি

এক জীবনে কয়জন মানুষ টেন্ডুলকারের মতো সবকিছু পেতে পারেন! টেন্ডুলকারও জানেন সেটি। আর তাই জানিয়ে দিলেন অন্য যেকোনো কিছুর বিনিময়ে ক্রিকেটময় জীবনটাকে বদলাতেন না তিনি, ‘কেউ যদি আমাকে অন্য ক্যারিয়ার বেছে নেওয়ার সুযোগ দিত, আমি সেই সুযোগ নিতাম না। আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ঘটনাই তো এটি (ক্রিকেট), জীবনে যা কিছু চেয়েছি, সবই তো পেয়েছি। স্বপ্ন দেখা শুরু করি ১৯৮০ সালে, এরপর সেই স্বপ্নের পেছনে ছুটতে শুরু করি। এখনো সেই স্বপ্নের জগতেই বাস করছি। কী সুন্দর এই পথচলা।’

উপলক্ষটা উদ্‌যাপন করতে আগে থেকেই পরিকল্পনা সাজিয়েছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। ৩০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামের প্রতিটি আসনে টেন্ডুলকারের মুখোশ রেখেছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

আরও পড়ুন