অধিনায়ক হিসেবে ‘অবভিয়াস চয়েস’ সাকিবই, বলছেন বিসিবি সভাপতি
আলোচনায় এখন দুটি নাম-সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস। কে হবেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের পরবর্তী অধিনায়ক-বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসানকে আজ সাংবাদিকেরা প্রশ্নটা করেন। উত্তরে তিনি বলেছেন, অধিনায়ক হিসেবে ‘অবভিয়াস চয়েস (স্পষ্ট পছন্দ) ’ সাকিবই।
আজ ধানমন্ডির আবাহনী মাঠে বঙ্গবন্ধু তনয় শেখ কামালের ৭৪ তম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন বোর্ড প্রধান। অধিনায়ক কে হবেন, এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না-এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘না, এখনো আলাপ হয়নি। একটু সময় নিয়ে চিন্তা করতে হবে।’
সামনে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের মতো বড় আসরের কারণেই বোর্ড অধিনায়কের নাম ঘোষণার জন্য সময় নিচ্ছে, ‘আগেও যেটা বলেছি, যদি একটা সিরিজ হতো, তাহলে যে সহ-অধিনায়ক, তাঁকে দিয়ে চালিয়ে দেওয়া যেত। কিন্তু আমাকে এখন লম্বা সময়ের চিন্তা করতে হবে।’
দীর্ঘমেয়াদি চিন্তারও একটি সমস্যা আছে। নাজমুল হাসানের মুখেই শুনুন তা, ‘দুটি সমস্যা, একটা লং টার্ম চিন্তা করতে গেলে এক রকম। আবার আরেকটা সমস্যা হচ্ছে বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের চাপটাও কিন্তু কম নয়। এটা এত সহজ না। আমি একজন নতুন কাউকে বানিয়ে দেব, সে এই চাপটা নিতে পারবে কি না, এটা এক নম্বর। আবার যদি লং টার্ম চিন্তা করেন, তাহলে আমি এখন একজনকে বানাব, দেখা যাবে এক বছর পর সে থাকবে না। তো লং টার্ম হবে কীভাবে? এই জিনিসগুলো নিয়েই আলাপ করতে হবে।’
সবদিক বিবেচনায় সাকিবের নামই স্বাভাবিকভাবে পছন্দের তালিকার শীর্ষে থাকবে। বোর্ড প্রধান সেটাও মানছেন, ‘সাকিবের নাম আসা তো অবভিয়াসই। এটা তো অবভিয়াস চয়েস।’
এখানে একটা পাদটিকাও দিয়েছেন নাজমুল, ‘আপনি কি বলতে পারেন দুই বছর খেলবে সাকিব? জানি না তো? ওর পরিকল্পনা, ওর সঙ্গেও তো বসতে হবে। আমরা একটু জেনে নিই। এটা নিয়ে কথাবার্তা বলতে হবে। বোর্ডের সবার সঙ্গে কথা বলতে হবে। ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তবে এটা ঠিক, সবচেয়ে সহজ হচ্ছে সাকিবকে করে দেওয়া। এটাতে কোনো সমস্যা নেই।’
সাকিবই বা অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নিতে রাজি হবেন কি না, সে প্রশ্নও আছে। ‘এখন পর্যন্ত চয়েস ঠিক করিনি। কারণ ঠিক করার আগে ওদের সঙ্গেও কথা বলতে হবে। অনেক সময় অনেক প্লেয়ারকে বললে, সে নাও রাজি হতে পারে, ’-বলেছেন নাজমুল হাসান।
এ তো গেল সাকিবের কথা। লিটনকে অধিনায়ক করা নিয়ে বোর্ডের ভাবনাটাও কিছুটা পরিষ্কার হয় নাজমুল হাসানের পরের কথায়, ‘আপনি যদি লিটনের কথা চিন্তা করেন, তাহলে এটাও খুব সহজ। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ এক জিনিস, বিশ্বকাপ এক জিনিস। ওইটা আবার ওর ব্যাটিংয়ে না প্রভাব ফেলে ফেলে দেয় বিশ্বকাপের মতো জায়গায়। এত বড় দায়িত্ব। আমরা সবদিক বিবেচনা করেই সিদ্ধান্তটা নিতে চাই। তাড়াহুড়ো করে নিতে চাই না। সবার সঙ্গে কথা বলেই নেব। যেটা ভালো মনে হয় সেটাই করার চেষ্টা করা হবে।’