লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছেন তামিম
লন্ডন থেকে আজ বিকেলে দেশে ফিরেছেন তামিম ইকবাল। বিমানবন্দরে যথারীতি ছিল সংবাদকর্মীদের ভিড়। তবে ভিআইপি পার্কিং থেকেই গাড়িতে উঠে চলে যাওয়ায় তাঁর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়নি কারও।
চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের পর হঠাৎ করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তামিম ইকবাল। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেও চলে যান ছুটিতে। পরিবার নিয়ে কয়েক দিন দুবাই ঘুরে লন্ডনে যান কোমরের চিকিৎসা করাতে।
তামিম দীর্ঘদিন ধরেই কোমরের সমস্যায় ভুগছেন। লন্ডনে তাঁর চিকিৎসা করেছেন মেরুদণ্ড বিশেষজ্ঞ টনি হ্যামন্ড। তামিমের সমস্যা মেরুদণ্ডের কোমরের দিকের অংশে, চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় যে অংশটিকে বলা হয় L-4 ও L-5।
অস্ত্রোপচার করালে তামিমকে তিন-চার মাসের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হতো। এরপরও তাঁর পুরোপুরি চোটমুক্ত হওয়ার নিশ্চয়তা ছিল না। আর তাঁর সমস্যাটি এমনও নয় যে অস্ত্রোপচার করাতেই হবে। এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের আগে তামিমও অস্ত্রোপচারের পথে যাননি। তিনি দেশে ফিরছেন লন্ডনে দুই দফায় চারটি ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে।
আগামী সপ্তাহখানেক বিশ্রামে থাকবেন তামিম। পরের এক সপ্তাহ একটু একটু করে ফিটনেস এবং পুনর্বাসনের কাজ করবেন। সেটি শুরু হয়ে যেতে পারে ৫ বা ৬ আগস্ট থেকেই। এই কাজটা কি প্রক্রিয়ায় হবে, হ্যামন্ডের পরামর্শমতো সেটি ঠিক করে দেবেন বিসিবির চিকিৎসক ও ফিজিও-ট্রেনাররা। তবে বিশ্রামের মধ্যেই বিসিবির সঙ্গে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনায় বসতে পারেন তিনি।
বিশ্রাম এবং বিশ্রাম-পরবর্তী কয়েক দিন ব্যথামুক্ত থেকে পার করতে পারলে আশা করা যায়, এখন থেকে ১২–১৪ দিন পর তামিম পুরোপুরি অনুশীলনে ফিরতে পারবেন। তবে ব্যথানাশক ইনজেকশন কত দিন তাঁকে ব্যথামুক্ত রাখতে পারবে, সেই নিশ্চয়তা নেই। তবে সাধারণত এই ইনজেকশন নিলে এক থেকে তিন মাস পর্যন্ত ব্যথামুক্ত থাকা যায়।
তবে তার আগেই যদি তিনি আবার কোমরে সমস্যা অনুভব করেন, সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ করে দিতে হবে অনুশীলন। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজন হতে পারে আরেকটি ইনজেকশনের। অবশ্য ইনজেকশন নেওয়ার পর এখন পর্যন্ত তিনি ভালো বোধ করছেন বলেই জানা গেছে।