সুপার এইটে যাওয়ার লড়াই ভারতের, যুক্তরাষ্ট্রেরও

ভারতের সামনে আজ প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রএএফপি

প্রকৌশলী–ক্রিকেটার সৌরভ নেত্রভালকারের গল্পটা জেনে গেছেন অনেকেই। ক্রিকেট ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিলেন, পড়া শেষে সেখানে চাকরিও করেন বড় একটি কোম্পানিতে প্রকৌশলী হিসেবে। পাকিস্তানের বিপক্ষে সুপার ওভারে বোলিং করে সেই সৌরভই হয়ে গেছেন যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটের অন্যতম নায়ক।

আরও পড়ুন

তবে আজ স্থানীয় সময় সকালে (বাংলাদেশ সময় রাত ৮-৩০ মিনিটে) যখন নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নেত্রভালকার নামবেন, অদ্ভুত এক অনুভূতিই হবে তাঁর। একে তো জন্মভূমির বিপক্ষে ম্যাচ, যে দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা একসময় ছিলেন তাঁর দলের সিনিয়র, বিরাট কোহলি ছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রতিপক্ষ। তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ঘরের মাঠ হলেও নিউইয়র্কে নিশ্চিতভাবেই সমর্থকসংখ্যায় ভারতের অনেকটাই এগিয়ে থাকার কথা। কিন্তু সৌরভ যদি কিছু করেন, তাতে হয়তো করতালি মিলবে অন্যদিক থেকেও!

অনুশীলনে যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট দল। সুপার এইটে কি উঠতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র
ইউএসএ ক্রিকেট

টুর্নামেন্ট শুরুর আগেও এ ম্যাচকে হয়তো তেমন রোমাঞ্চকর কোনো তকমা দেননি কেউ, কিন্তু আজকের লড়াই হয়ে উঠতে পারে মুখরোচক। সেটির একটি কারণ অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের এখন পর্যন্ত পারফরম্যান্স। কানাডাকে প্রায় ২০০ রান তাড়া করে হারানোর পর পাকিস্তানকে টলিয়ে দেওয়া স্বাগতিকদের সুপার এইটের স্বপ্ন অনেকটাই জীবন্ত এখন। সে জন্য তাদের প্রয়োজন বাকি দুই ম্যাচে একটি জয়। সেটি যদি ভারতের বিপক্ষে আসে, যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চয়ই আপত্তি করবে না!

তার ওপর খেলা যখন নিউইয়র্কের মাঠে। ড্রপ ইন পিচ আলোচনায় আছে শুরু থেকেই, এখানে ১২০ রানই হয়ে উঠছে জয়ের জন্য যথেষ্ট। এখানকার সর্বশেষ দুই ম্যাচে হেরেছে পরে ব্যাটিং করা দল, যাদের জয় একসময় মনে হচ্ছিল বেশ নিশ্চিত। দুবারই লক্ষ্য ছিল ১২০ বা এর কম রান। পাকিস্তানের পর বাংলাদেশ আটকে গেছে তার আগেই, পিচের অনিশ্চিত আচরণও আরেকবার প্রকট হয়েছে।

আরও পড়ুন

পাকিস্তানের বিপক্ষে অমন জয়ের পর আজ আরও উজ্জীবিত থাকবে ফেবারিট ভারত। দলটার সুপার এইটে যাওয়া নিয়ে তেমন কোনো প্রশ্ন ওঠেনি এখনো, আজকের জয় সেটিও নিশ্চিত করে দেবে। অবশ্য পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের পর দলটির ব্যাটসম্যানরা একটু হলেও চাপে আছেন। অলরাউন্ডার শিবম দুবে প্রথম দুই ম্যাচে তেমন কিছু করতে পারেননি। এ ম্যাচের একাদশে তিনি থাকেন কি না, দেখার বিষয় সেটিই।

আজকের ম্যাচটিই বিশ্বকাপে নিউইয়র্কের আলোচিত এ মাঠের শেষ। ‘অস্থায়ী’ স্টেডিয়ামটি এরপর সরিয়ে ফেলা হবে, তার আগে কি রেখে যাবে শেষ কোনো রোমাঞ্চ?