- বিশ্বকাপ ফাইনালে স্বাগত
- ভোট দিন
- জন(নীল)সমুদ্র এবং কয়েকজন অস্ট্রেলিয়ান সমর্থক
- বিশ্বকাপ ফাইনালের জন্য প্রস্তুত
- টস, অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত
- একাদশ
- আক্রমণাত্মক রোহিত
- আগ্রাসী রোহিত
- গিল আউট
- আহা, কোহলি
- হেডের দুর্দান্ত ক্যাচে থামলেন রোহিত
- এবার কামিন্সের আঘাত, ২ ওভারে ২ উইকেট হারাল ভারত
- সতর্ক কোহলি ও রাহুল
- কোহলি-রাহুল জুটি এবং দলকে টেনে নেওয়ার দায়িত্ব
- লাগাম
- কোহলির ফিফটি
- অবশেষে বাউন্ডারি
- কামিন্সের বলে বোল্ড কোহলি, স্তব্ধ আহমেদাবাদ
- ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার নিয়ন্ত্রণ
- সঠিক সিদ্ধান্ত?
- রাহুলের ফিফটি
- রিভিউ ব্যর্থ, এরপর কট বিহাইন্ড জাদেজা
- (অবশেষে) পান্ডিয়ার অভাব বোধ করছে ভারত?
- অবশেষে আরেকটি বাউন্ডারি
- শেষ ১০ ওভারে…
- দুর্দান্ত স্টার্কে শেষ রাহুলের ইনিংস
- এমন পরিস্থিতিতে (খুব একটা) পড়েনি ভারত
- স্টার্কের শিকার শামি
- সাফল্যের কাতারে জাম্পাও
- শেষ করলেন স্টার্ক
- ধীরগতির শর্ট বলে শেষ সূর্যকুমার
- এখনো স্টার্কদের সঙ্গে হিউজ
- ২৪০ রানে শেষ ভারত
- ভোট দিন/ কার হাতে শিরোপা?
- বুমরার প্রথম ওভারে ১৫
- এবং শামির উইকেট
- ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস
- মার্শের ছক্কা
- বুমরার আঘাত, ফিরলেন মার্শ
- বুমরার শিকার স্মিথও
- বুম বুম বুমরা, অস্ট্রেলিয়ার ৫০
- ১০ ওভারে ৬০/৩
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইনাল
- অতিরিক্ত খাত
- এবার স্পিন-পরীক্ষা
- আক্রমণে সিরাজ
- ৫০ রানের জুটি
- হেডের ৫০
- ফিরলেন শামি, হেড মারলেন চার
- ২৫ ওভারশেষে…
- ১০০ রানের জুটি
- বুমরার ওভারে ৩ চার, ১ ব্যর্থ রিভিউ
- বাড়ছে ভারতের হতাশা...
- ট্রাভিস হেড, রিমেম্বার দ্য নেম!
- ডি সিলভাকেও ছাড়িয়ে হেড
- জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার দরকার ২২ রান
- লাবুশেনের ফিফটি
- বাকি শুধু আনুষ্ঠানিকতা
- থামলেন হেড
- ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা অস্ট্রেলিয়ার
- ম্যান অব দ্য ম্যাচ
- ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট
বিশ্বকাপ ফাইনালে স্বাগত
৫ অক্টোবর আহমেদাবাদে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও রানার্সআপ নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছিল বিশ্বকাপ। এক মাস ১৪ দিন পর সে মাঠে বিশ্বকাপের ৪৭তম ও শেষ ম্যাচ আজ। ফাইনালে সেই একই মাঠে এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল ও অপ্রতিরোধ্য ভারতের সামনে বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দল অস্ট্রেলিয়া। প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার দর্শক মাঠে বসেই দেখবেন ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আয়োজনের সমাপণী এ ম্যাচ। এখন থেকে ঘণ্টা দশেকের মধ্যে জানা যাবে কার হাতে উঠবে বিশ্বকাপ ট্রফি—তৃতীয়বারের মতো ভারতের হাতে নাকি অস্ট্রেলিয়ার হাতে ষষ্ঠবারের মতো।
বিশ্বকাপ ফাইনালে প্রথম আলো লাইভে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি সাইফুল্লাহ্ বিন আনোয়ার।
ভোট দিন
জন(নীল)সমুদ্র এবং কয়েকজন অস্ট্রেলিয়ান সমর্থক
বিশ্বকাপ ফাইনালের জন্য প্রস্তুত
টস, অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত
টসে জিতেছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। আগে বোলিং করবেন তাঁরা। অবশ্য ভারত অধিনায়ক বলেছেন, তিনি জিতলে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্তই নিতেন।
একাদশ
সেমিফাইনালের একাদশ অপরিবর্তিত রেখেছে দুই দলই।
ভারত
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুবমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, লোকেশ রাহুল (উইকেটকিপার), সূর্যকুমার যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, যশপ্রীত বুমরা, কুলদীপ যাদব, মোহাম্মদ শামি ও মোহাম্মদ সিরাজ।
অস্ট্রেলিয়া
ডেভিড ওয়ার্নার, ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শ, স্টিভেন স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মারনাস লাবুশেন, জশ ইংলিস, প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), অ্যাডাম জ্যাম্পা, মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউড।
আক্রমণাত্মক রোহিত
বোলার জশ হ্যাজলউড। রোহিত শর্মা ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এলেন। কাভারের ওপর দিয়ে মারলেন ইনিংসের প্রথম চার। মিচেল স্টার্কের করা ফাইনালের প্রথম ওভারে ৩ রান আসার পর হ্যাজলউডের ওপর চড়াও হয়ে রোহিত বার্তা দিলেন, ফাইনালেও খেলার ধরন বদলাবেন না তিনি। পরের বলে লেগ সাইড দিয়ে মেরেছেন আরেকটি চার, যদিও সেটিতে ঠিক তেমন নিয়ন্ত্রণ ছিল না ভারত অধিনায়কের। ২ ওভারে ১৩/০।
আগ্রাসী রোহিত
স্টার্কের বলে স্লিপে উঠেছিল ক্যাচ, কিন্তু এ উইকেটে গতি আর বাউন্স তেমন নেই। ক্যাচ যায়নি স্লিপ পর্যন্ত। পরের ওভারে হ্যাজলউড বোলিং শুরু করেছেন স্লিপ ছাড়াই। ধারাভাষ্যে রিকি পন্টিং বলছিলেন, শর্ট বলের কথা। সেটিই করেছেন হ্যাজলউড, রোহিত পুল করতে গিয়ে ক্যাচও তুলেছিলেন। তবে ডিপে থাকা ট্রাভিস হেড অনেকটা ছুটে এসে ডাইভ দিয়েও নাগাল পাননি সেটির। এরপর শর্ট অব আ লেংথের বলে তুলে মেরেছেন রোহিত, ক্রস সিমের বলে টাইমিং ছিল দুর্দান্ত, মিডউইকেটের ওপর দিয়ে হয়েছে ছক্কা। শেষ বলে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে মিড অনকে ভেদ করে রোহিত মেরেছেন চার। রোহিতের বিমান টেক অফ করেছে, বলাই যায়!
৪ ওভারে ৩০/০
গিল আউট
রোহিত খেলেন, আর আমি দেখি—কদিন আগে গিল বলেছিলেন এমন। শুরুতে তাঁর ভূমিকা নিয়ে বলেছিলেন ভারত ওপেনার। আজ প্রথম ২৫ বলে গিল খেলেছিলেন মাত্র ৬টি। স্টার্কের শর্ট লেংথের বলে এরপর চড়াও হলেন, তবে যেভাবে চেয়েছিলেন খেলতে পারেননি সেভাবে, লেংথও ঠিক সে শট খেলার পক্ষে ছিল না। গিলের পুলে সরাসরি ক্যাচ গেছে মিড অনে থাকা অ্যাডাম জাম্পার হাতে। ‘কাম অন, কাম অন’—সতীর্থদের উজ্জীবিত করতে দেখা গেল স্টার্ককে।
৪.২ ওভারে ৩০/১।
আহা, কোহলি
মিড অনের পাশ দিয়ে হওয়ার প্রথম চারে ঠিক তেমন যুতসই টাইমিং ছিল না কোহলির। কিন্তু পরের দুটি শটে ছিল শুধু টাইমিং, সঙ্গে দুর্দান্ত প্লেসমেন্ট। শর্ট লেংথের বলে পাঞ্চ করে পয়েন্টের গ্যাপ দিয়ে মারার পর কাভার দিয়ে কোহলি মেরেছেন স্টার্ককে ওভারের তৃতীয় চার। শেষ ৩ বলে উঠেছে ২ রান, সপ্তম ওভারেই ৫০ ছুঁয়ে ফেলেছে ভারত।
৭ ওভারে ৫০/১।
হেডের দুর্দান্ত ক্যাচে থামলেন রোহিত
অষ্টম ওভারে প্রথমবারের মতো দেখা গেছে স্পিন, এসেছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। পরের ওভারে এসেছেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে ম্যাক্সওয়েলের ওপর চড়াও হয়েছেন রোহিত, ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে লং অনের ওপর দিয়ে মেরেছেন ছক্কা। পরের বলে রোহিত ব্যাকফুটে ছিলেন, যেন জানতেন কী আসতে চলেছে। কাট করে মেরেছেন চার। এরপর আবার ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে তুলে মেরেছিলেন, এবার যেদিকে খেলতে চেয়েছিলেন রোহিত, সেটি করতে পারেননি। ক্যাচ উঠেছিল কাভারে। অন্য যে কোনো দিন হয়ত বেঁচেই যেতেন। কিন্তু আজ নয়। পেছন দিকে ছুটে ট্রাভিস হেড নিয়েছেন দুর্দান্ত ক্যাচ। যে ক্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে ম্যাচ, ঘুরিয়ে দিতে পারে ফাইনাল!
রোহিত থেমেছেন ৩১ বলে ৪৭ রান করে। ১০ ওভারে ভারত ২ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৮২ রান।
এবার কামিন্সের আঘাত, ২ ওভারে ২ উইকেট হারাল ভারত
আহমেদাবাদকে স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিলেন প্যাট কামিন্স। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক করলেন সেটিই। সিম ঘুরিয়ে দেওয়া বলটি ধরে রেখেছিল লাইন। শ্রেয়াস আইয়ার খোঁচা দিয়েছেন তাতে। পরপর ২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়েছে ভারত।
সতর্ক কোহলি ও রাহুল
৯.৩ ওভারে ৭৬/১
১৬ ওভারে ১০১/৩
রোহিত ও শ্রেয়াসের পরপর ২ ওভারে ফেরার প্রভাব স্পষ্টই। ভারত ১০০ পেরিয়েছে, তবে দশম ওভারের পর আসেনি কোনো বাউন্ডারি। কোহলি ও রাহুল আপাতত ইনিংস পুনর্গঠনে ব্যস্ত, ৩৪ বল খেলে দুজন তুলেছেন ২০ রান। এমন পরিস্থিতিতে আরেকটি উইকেট অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে দিতে পারে অনেকখানি, সেটি বলাই যায়।
কোহলি-রাহুল জুটি এবং দলকে টেনে নেওয়ার দায়িত্ব
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে ২ রানে ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর দুজন দলকে টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন জেতা পর্যন্ত। ফাইনালে দুজনের জুটি শুরু হয়েছে ৮১ রানে ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর। আপাতত সতর্ক ব্যাটিং করে যাচ্ছেন তাঁরা। এমন উইকেটে অস্ট্রেলিয়ান পেসাররা স্বাভাবিকভাবেই অনেক কাটার করবেন, আসবে শর্ট বলও। তবে শর্ট বলে জোরের ওপর পুল এখানে ডেকে আনতে পারে বিপদ, এখন পর্যন্ত কোহলি ও রাহুল দুজনই সতর্ক থেকেছেন সেটিতেও। সর্বশেষ হ্যাজলউডের শর্ট বলে মিড অনে ঠেলে সিঙ্গেল নিলেন কোহলি। ৫৪ বল আগে এসেছে সর্বশেষ বাউন্ডারি।
লাগাম
১-১০ ওভার, ৮০ রান, ২ উইকেট।
১১-২০ ওভার, ৩৫ রান, ১ উইকেট।
শেষ ১০ ওভারে আসেনি কোনো বাউন্ডারিও। কামিন্স এনেছেন মিচেল মার্শকেও।
কোহলির ফিফটি
১১ ম্যাচে নবমবারের মতো ৫০ পেরোলেন কোহলি। ভারতের রান মেশিন আছেন দুর্দান্ত ফর্মে, ফাইনালেও বয়ে আনলেন সেটি। অন্য প্রান্তে রাহুল ভুগছেন, তবে কোহলি খেলে চলেছেন বেশ ভালো একটা স্ট্রাইক রেট ধরে রেখেই। তবে ফাইনালে ভারতের ভাগ্যের অনেকটাই নির্ভর করছে কোহলি কতক্ষণ থাকেন, সেটির ওপর। রাহুলের সঙ্গে তাঁর জুটি ৫০ পেরিয়েছে আরও আগেই।
অবশেষে বাউন্ডারি
৯৭ বল পর আগে এসেছিল সর্বশেষ বাউন্ডারি। অবশেষে দেখা গেল আরেকটি। ম্যাক্সওয়েলকে স্কুপের মতো করে সেটি মেরেছন রাহুল। ২৭ ওভারে ভারত ১৪২/৩।
কামিন্সের বলে বোল্ড কোহলি, স্তব্ধ আহমেদাবাদ
আহমেদাবাদের প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার দর্শক স্তব্ধ। গ্যালারিতে আনুশকা শর্মার চোখেমুখে স্পষ্ট বিষাদের ছাপ। ডাগআউটে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মাথায় হাত। বিরাট কোহলি বোল্ড!
কামিন্সের শর্ট লেংথের বল আলতো করে খেলতে চেয়েছিলেন কোহলি। তবে বল এতটা উঠবে, ভাবতে পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে বল গিয়ে ভেঙেছে স্টাম্প। ফাইনালের মহাগুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক। কোহলি থেমেছেন ৬৩ বলে ৫৪ রান করে। রাহুলের সঙ্গে তাঁর জুটি ভেঙেছে ৬৭ রানে।
ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার নিয়ন্ত্রণ
১-১০ ওভার, ৮০ রান, ২ উইকেট (গিল, রোহিত)
১১-২০ ওভার, ৩৫ রান, ১ উইকেট (শ্রেয়াস)
২১-৩০ ওভার, ৩৭ রান, ১ উইকেট (কোহলি)
৩০ ওভারশেষে ১৫২/৪। সূর্যকুমার যাদবের আগে এসেছেন রবীন্দ্র জাদেজা।
সঠিক সিদ্ধান্ত?
সূর্যকুমারকে আরেকটু স্বাধীনতা দিতেই হয়ত জাদেজাকে আগে পাঠিয়েছে ভারত। তবে স্ট্রাইক বদলে ঠিক স্বচ্ছন্দ্য নন এখন পর্যন্ত জাদেজা। প্রথম ১৬ বলে এ বাঁহাতি করেছেন ৭ রান।
রাহুলের ফিফটি
৮৬ বলে ৫০ রাহুলের। দ্রুত ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর নেমেছিলেন, রাহুল এরপর সময় নিয়েছেন ইনিংস গড়তে। কোহলি ফেরার পর তাঁর কাঁধে এখন আরও বড় দায়িত্ব।
রিভিউ ব্যর্থ, এরপর কট বিহাইন্ড জাদেজা
ঠিক আগের বলেই জাদেজার বিপক্ষে কট বিহাইন্ডের রিভিউ নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। যদিও তাদেরকেই ঠিক আত্মবিশ্বাসী মনে হয়নি। তবে পরের বলে আর রিভিউ দরকার পড়েনি। হ্যাজলউডের অফ স্টাম্পের বাইরের লাইন ধরে রাখা বলে খোঁচা দিয়ে ফিরে গেছেন জাদেজা। ২২ বল খেলে এ বাঁহাতি করতে পেরেছেন ৯ রান। সূর্যকুমারের আগে তাঁকে পাঠানো ঠিক কাজে দিল না ভারতের। শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান সূর্যকুমারকে ক্রিজে আসতে হয়েছে ৩৬তম ওভারেই।
৩৬ ওভারে ১৭৮/৫।
(অবশেষে) পান্ডিয়ার অভাব বোধ করছে ভারত?
হার্দিক পান্ডিয়া চোটে পড়ে ছিটকে যাওয়াতে একাদশে এসেছিলেন মোহাম্মদ শামি, ফলে পান্ডিয়ার চোটকে বলা হচ্ছিল শাপেবর। এরপর থেকে ৬ ব্যাটসম্যান, সঙ্গে জাদেজা এবং ৫ বোলারের কম্বিনেশন নিয়েই প্রতিপক্ষকে দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছে ভারত। তবে আহমেদাবাদের এ উইকেটে রোহিত দারুণ শুরু এনে দিলেও মাঝে দ্রুত উইকেট হারানোয় একজন বাড়তি ব্যাটসম্যানের অভাব বোধ করারই কথা ভারতের। সূর্যকুমারকে ইনিংসের শেষ ভাগে আনতে তাঁর আগে পাঠানো হয়েছিল জাদেজাকে, কিন্তু সেটি ঠিক কার্যকরী হয়নি।
৩৭ ওভারে ১৭৯/৫।
অবশেষে আরেকটি বাউন্ডারি
দশম ওভারের শেষ বল।
এরপর বাউন্ডারি খরা।
২৭তম ওভারের দ্বিতীয় বল।
আবার বাউন্ডারি খরা।
অবশেষে সে খরা কাটল জাম্পার বলে মারা সূর্যকুমারের চারে। কাট করে সেটি মেরেছেন তিনি।
৩৯ ওভারে ভারত ১৯৩/৫।
শেষ ১০ ওভারে…
৪০ ওভারে ১৯৭/৫।
ফাইনালে ভারত খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থানে নেই, সেটি বলাই যায়। রিভার্স সুইং পাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ান পেসাররা।
টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত আগে ব্যাটিং করে শেষ ১০ ওভারে সর্বোচ্চ ১২৬ রান তুলেছিল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে, ধর্মশালায়। সেমিফাইনালে মুম্বাইয়ে তারা তুলেছিল ১১০ রান। সর্বনিম্ন ৪৯ রান এসেছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, লক্ষ্ণৌয়ে।
দুর্দান্ত স্টার্কে শেষ রাহুলের ইনিংস
স্ক্র্যাম্বলড সিম। সিমে পড়ে মুভমেন্ট। লোকেশ রাহুলের জন্য মিচেল স্টার্কের এ ডেলিভারি যথেষ্টর চেয়েও বেশি কিছু হয়ে গেল। কোহলির পর রাহুলও থামলেন ৫০ পেরিয়ে ৭০-এর আগেই। শুরু থেকে সতর্ক খেলছিলেন, ৪০ ওভার পেরিয়ে যাওয়ার পর এসে রাহুল আউট হলেন রক্ষণাত্মক শট খেলতে গিয়েই। ভারতের ব্যাটিংয়ের ‘টেল’ উন্মুক্ত আহমেদাবাদে।
এমন পরিস্থিতিতে (খুব একটা) পড়েনি ভারত
এবারের বিশ্বকাপে ভারতের ব্যাটিং ছিল দুর্দান্ত, প্রতিপক্ষকে দুমড়ে মুচড়ে দেওয়ার মতো। তবে আহমেদাবাদে ভিন্ন এক পরিস্থিতিতেই পড়তে হয়েছে তাদের। এখন পর্যন্ত এবারের বিশ্বকাপে ভারত ৬ উইকেট হারিয়েছে আজকের মাত্র ৩ বার। এর মধ্যে দুবার তাদের বোর্ডে ছিল ৩৩৩ ও ২৬৯ রান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লক্ষ্ণৌয়ে ফাইনালের আগে ব্যাটিংয়ে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জে পড়েছিল তারা সে হিসাবে, সেবার ১৮২ রানে পড়েছিল ৬ উইকেট, ইনিংসের ৪১তম ওভারে। এবার সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে মোহাম্মদ শামি ক্রিজে এসেছেন ৪২তম ওভারে।
স্টার্কের শিকার শামি
লোকেশ রাহুল পারেননি। শামি খেলতে গেলেন বড় শট। তবে স্টার্কের বিপক্ষে সেটি কার্যকরী হতে গেলে সবকিছুই পক্ষে আসতে হবে আপনার। কোনো কিছুই আসেনি শামির। বোলিংয়ে দুর্দান্ত শামি ব্যাটিংয়ে থামলেন ১০ বলে ৬ রান করে, রাহুলের মতো তিনিও ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটকিপার ইংলিসের হাতে। ফাইনালে ভারত হড়কে গেল আরেকটু। স্টার্ককে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত দারুণভাবে কাজে দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার।
৪৪ ওভারে ২১৩/৭।
সাফল্যের কাতারে জাম্পাও
লাইন মিস করে এলবিডব্লু যশপ্রীত বুমরা। রিভিউ করারও প্রয়োজন বোধ করেননি তিনি। অ্যাডাম জাম্পা পেয়েছেন প্রথম উইকেট, ভারত হারিয়েছে তাদের অষ্টম। ইনিংসে ৩৩ বল বাকি ভারতের, তবে আছে ২ উইকেট।
জাম্পার এটিই ছিল শেষ ওভার। ১০ ওভারে ৪৪ রান দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধান স্পিনার।
শেষ করলেন স্টার্ক
টপ অর্ডারে শুবমান গিল। এরপর পুরোনো বলের মাস্টারক্লাসে লোকেশ রাহুল ও মোহাম্মদ শামির উইকেট। ২০১৫ সালের ফাইনালে ২০ রানে স্টার্ক নিয়েছিলেন ২ উইকেট, এবার ৫৫ রান দিয়ে নিলেন ৩টি।
ধীরগতির শর্ট বলে শেষ সূর্যকুমার
হ্যাজলউড শর্ট বলে অস্বস্তিতে ফেলছিলেন সূর্যকুমারকে, পিচের ধীরগতি ভারত ব্যাটসম্যানের জীবন করে তুলেছিল আরও কঠিন। কুলদীপের সঙ্গে জুটিতে প্রথম ১৩ বলে তিনি খেলেছিলেন মাত্র ২টি বল, এবার দায়িত্বটা নিজের কাছে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সফল হলেন না। শর্ট বলে আগেভাগে শট খেলে ফেলেছিলেন তিনি, বল গ্লাভসে লেগে উঠেছে ক্যাচ, যেটি সহজেই নিয়েছেন উইকেটকিপার ইংলিস। ভারতের বাকি ১ উইকেট, রান ২২৬, বল বাকি ১৫টি।
এখনো স্টার্কদের সঙ্গে হিউজ
নয় বছর আগে ক্রিকেট মাঠে মর্মান্তিক এক দূর্ঘটনায় জীবন হারিয়েছিলেন ফিলিপ হিউজ। তাঁর সতীর্থ বন্ধুদের সঙ্গে এখনো আছেন তিনি। ফাইনালে মিচেল স্টার্ক, স্টিভেন স্মিথদের হাতে দেখা গেছে কালো আর্মব্যান্ড। যার ওপরে আছে হিউজের নামের আদ্যক্ষর—পিএইচ।
২৪০ রানে শেষ ভারত
শেষ ওভারে এসে মোহাম্মদ সিরাজ মেরেছেন আরেকটি চার। অবিশ্বাস্য শোনালেও সত্যি, দশম ওভারের পর ভারতের ইনিংসে এটি মাত্র চতুর্থ বাউন্ডারি। শেষ বলে কুলদীপ যাদব হয়েছেন রানআউট। ভারত তাই ৫০ ওভারে অলআউট ২৪০ রানে।
ভারতের ইনিংসেও দুটি ভাগ। প্রথম ১০ ওভারে রোহিত শর্মার আক্রমণাত্মক ইনিংসে তারা তুলেছিল ৮০ রান। পরপর ২ ওভারে রোহিত ও শ্রেয়াস ফেরার পর খোলসবন্দী হয়ে যায় ভারত। মাঝে কোহলি ও রাহুল জুটি গড়েছেন, ফিফটিও পেরিয়েছেন দুজনই। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি কেউ। শেষে এসেও কোনো ঝড় ওঠেনি।
আহমেদাবাদের ধীরগতির উইকেটে অস্ট্রেলিয়ান বোলাররা ছিলেন দুর্দান্ত। স্লোয়ার, কাটার—গতির বৈচিত্র, বাউন্সের বৈচিত্রর সঙ্গে রিভার্স সুইংয়ে ভারতের শক্তিশালি ব্যাটিং লাইনআপকে মোটেও গতি পেতে দেননি তাঁরা।
ভোট দিন/ কার হাতে শিরোপা?
বুমরার প্রথম ওভারে ১৫
প্রথম বলেই সুযোগ! অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়েছিলেন ওয়ার্নার, স্লিপে উঠেছিল ক্যাচ। ক্যারিও করেছিল। প্রথম ও দ্বিতীয় স্লিপে থাকা কোহলি ও শুবমান গিল—দুজনই জায়গা করে দিয়েছেন, ভেবেছেন অন্যজন হয়ত চেষ্টা করবেন। রাহুলও চেয়ে চেয়ে দেখেছেন সেটি, দুই স্লিপের মাঝ দিয়ে ওয়ার্নার পেয়েছেন চার। দ্বিতীয় বলে অবশ্য কাভার দিয়ে খেলে নিয়েছেন ৩ রান। হেড এরপর জায়গা থেকেই কাভার দিয়ে মেরেছেন চার। শেষ বলে কাভার দিয়ে মেরেছেন নিজের দ্বিতীয় ও ইনিংসে তৃতীয় চার। ঘটনাবহুল ওভার, তবে অস্ট্রেলিয়ানদের মানসিকতা স্পষ্ট।
এবং শামির উইকেট
বুমরার বলে বেঁচেছিলেন। শামির বলে আর বাঁচলেন না ডেভিড ওয়ার্নার। অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন ওয়ার্নার, প্রথম স্লিপে ভুল করেননি কোহলি। উইকেট লাগবে বলে শামিকে আনা হয়েছে দ্বিতীয় ওভারেই, সফলও হলেন স্বপ্নের মতো বিশ্বকাপ কাটানো এ পেসার।সপ্তম বলে প্রথম আঘাত ভারতের, ফাইনাল জীবন্ত হয়ে উঠেছে আহমেদাবাদে।
১৭/১ অস্ট্রেলিয়া।
ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস
উইকেট পড়েছে, লেগ সাইডে ওয়াইডে হয়েছে চার, এরপর কাভার পয়েন্ট দিয়ে চার মেরেছেন মার্শ। ফাইনালের রান তাড়ায় প্রথম দুই ওভার ছিল উত্তেজনায় ঠাসা, এখন স্কোরকার্ড পড়ছে এমন—২৮ রান, ১ উইকেট। লড়াইয়ে টিকে থাকতে ভারতের দরকার দ্রুত উইকেট, প্রথম পাওয়ারপ্লেতে অস্ট্রেলিয়ার চাওয়া দ্রুত রান তোলা।
মার্শের ছক্কা
বল আকাশে ওঠার পরই নিস্তব্ধতা আহমেদাবাদে। সবাই জানেন, সেটির গন্তব্য কই। আগের ওভারে বুমরা দিয়েছিলেন মাত্র ১ রান, একাধিকবার খেলতে গিয়ে মিস করেছিলেন মার্শও। এবার শামিকে তুলে মিড অফের ওপর দিয়ে ছক্কা মারলেন মার্শ। শেষ বলে লং অফে ফিল্ডার নেওয়া হয়েছিল, অনুমিতভাবেই ছিল ফুললেংথের বল। সেটি অবশ্য মাটিতেই খেলে সিঙ্গেল নিয়েছেন মার্শ।
৪ ওভারে ৪১/১।
বুমরার আঘাত, ফিরলেন মার্শ
আবার অফ স্টাম্পের বাইরের বল। বুমরার সেই বল তাড়া করতে গেলেন মিচেল মার্শ, ব্যাট ছুড়ে দিয়েছিলেন বলা যায়। কিন্তু ব্যাটের নিচের অংশে লেগে তিনিও হয়েছেন কট বিহাইন্ড। প্রথম দুটি বল ডট যাওয়ার পর পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা ব্যর্থ তাঁর। পঞ্চম ওভারে দ্বিতীয় উইকেট হারাল অস্ট্রেলিয়া।
৫ ওভারে ৪১/২।
বুমরার শিকার স্মিথও
প্রথম ৪ ওভারে উঠেছিল ৪১ রান। পরের ১৫ বলে ২ রান। এরপর স্ট্রাইট ড্রাইভে মিড অন দিয়ে বুমরাকে চার স্মিথের। ওয়ার্নার ও মার্শ—দুজনই ছিল আক্রমণাত্মক। তবে স্মিথ খেলবেন দেখেশুনে। স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে আউট করতে ভিন্ন কৌশলে এগোতে হবে ভারতকে। এবং ফুললেংথে স্লোয়ার বুমরার! স্মিথ মিস করে এলবিডব্লু। রিভিউও করেননি তিনি। আহমেদাবাদে এবার এগিয়ে ভারত। প্রথম ১০ ওভারের চ্যালেঞ্জে পেছনে পড়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া।
৭ ওভারে ৪৭/৩!
বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে, রিভিউ করলে বেঁচে যেতেন স্মিথ। ইমপ্যাক্ট ছিল বাইরে!
বুম বুম বুমরা, অস্ট্রেলিয়ার ৫০
এ বিশ্বকাপে প্রথম পাওয়ারপ্লেতে বুমরার ইকোনমি রেট ৩.৩। আজ প্রথম ওভারে দিয়েছিলেন ১৫ রান। কিন্তু পরের ৪ ওভার দিলেন মাত্র ৬ রান। বুমরা বিশেষ একজন, আরেকবার প্রমাণ করছেন! যদিও তাঁর পঞ্চম ওভারে বাই থেকে এসেছে চার, লোকেশ রাহুল মিস করে গেছেন যে বলটি ছেড়ে দিয়েছিলেন লাবুশেন। তাতেই ৫০ পেরিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া।
১০ ওভারে ৬০/৩
ভারত ১০ ওভারে তুলেছিল ৮০ রান। তবে এরপর বদলে গেছে ইনিংসের চিত্র। অস্ট্রেলিয়া ৬০ রান তুলতে হারিয়েছে ৩ উইকেট।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইনাল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ফাইনাল দেখছেন দর্শকেরা
(ছবি-রয়টার্স)
অতিরিক্ত খাত
অস্ট্রেলিয়া তাদের পুরো ইনিংসে দিয়েছে ১২টি অতিরিক্ত রান। ভারত প্রথম ১০ ওভারেই দিয়েছে ১৫টি।
এবার স্পিন-পরীক্ষা
পাওয়ারপ্লে শেষেই দুই প্রান্তে জাদেজা ও কুলদীপকে এনেছেন রোহিত। টার্নের দেখা পাচ্ছেন দুজনই। এখন পর্যন্ত তাঁদের বিপক্ষে সতর্ক হেড ও লাবুশেন। দুজনের প্রথম ৫ ওভারে এসেছে ১৮ রান। অস্ট্রেলিয়া ১৫ ওভারে ৭৮/১।
আক্রমণে সিরাজ
কুলদীপকে স্লটে পেয়ে স্লগ সুইপে ছক্কা মেরেছেন হেড, অবশেষে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন এ বাঁহাতি। ১৭তম ওভারে এরপর প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে এসেছেন সিরাজ, সেমিফাইনালে যিনি ৯ ওভারে দিয়েছেন ৭৮ রান। প্রথম বলেই জোরের ওপর ড্রাইভ করেছিলেন হেড, তবে এক্সট্রা কাভারের কোহলির আগেই পড়েছে সেটি। চতুর্থ বলে কাট করে চার মেরেছেন হেড, ধারাভাষ্যে রিকি পন্টিং বলছেন, শিশিরের প্রভাব টের পাওয়া যাচ্ছে। সিরাজের প্রথম ওভারে এসেছে ৬ রান, ১৭ ওভারে ৯৩/৩।
৫০ রানের জুটি
দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর পর অস্ট্রেলিয়াকে ধাতস্থ করে আনছেন হেড ও লাবুশেন। লাবুশেন উইকেট ধরে রাখার দিকেই মনযোগী, ৫০ রানের জুটিতে তাঁর অবদান ১২। তবে হেড এখনো ইতিবাচক। ১৬ ওভারে অস্ট্রেলিয়া ৯৯/৩।
হেডের ৫০
সেমিফাইনালে ফিফটি। এবার ফাইনালেও ফিফটি। হাতের চোটে বিশ্বকাপের প্রথম ভাগে না থাকা হেড ভূমিকা রাখছেন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে। ৫৮ বলে ফিফটি পূর্ণ করে ফেলেছেন তিনি। আজ শুরুতে কিছুটা ব্যাকসিটেই ছিলেন, তবে এখন দায়িত্বটা তুলে নিয়েছেন নিজের ব্যাটে। ২২ ওভারে অস্ট্রেলিয়া ১১৭/৩।
ফিরলেন শামি, হেড মারলেন চার
এ মুহূর্তে ভারতের দরকার উইকেট। বাধ্য হয়েই তাই রোহিতের ভিড়তে হয়েছে শামির কাছে। তবে প্রথম বলেই তাঁর মাথার ওপর দিয়ে চার মেরেছেন ট্রাভিস হেড। ২৪ ওভারে ১২৭/৩।
২৫ ওভারশেষে…
ভারত ১৩১/৩
অস্ট্রেলিয়া ১৩৫/৩
এ মুহূর্তে দুই দলের ইনিংসের গতিপথে তেমন পার্থক্য নেই, তবে অস্ট্রেলিয়া ব্যাটিং করছে দ্বিতীয় ইনিংসে, যেটিই আসলে গড়ে দিতে পারে সব পার্থক্য।
তবে জাদেজার করা ২৫তম ওভারে ৮ রানের পর শামির করা ২৬তম ওভারে এসেছে ৯ রান। প্রথম বলে লাবুশেনের পর শেষ বলে শামিকে চার মেরেছেন হেড।
অস্ট্রেলিয়ার জয়ের জন্য এখন দরকার ১০০ রানের কম, নির্দিষ্ট করে বললে, ৯৭ রান।
১০০ রানের জুটি
মাঝের ওভারগুলোতে অস্ট্রেলিয়ার নিয়ন্ত্রণ এনে দিয়েছেন দুজন। হেড ও লাবুশেনের জুটি পেরোল ১০০ রানের মাইলফলক। জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার দরকার ৯৩ রান, বাকি ২৩ ওভার ও ৭ উইকেট।
বুমরার ওভারে ৩ চার, ১ ব্যর্থ রিভিউ
শামি ফিরেছিলেন। প্রথম বলে চার মেরেছিলেন হেড। বুমরা ফিরলেন। প্রথম বল করলেন স্লোয়ার, অনেকখানি ব্যাট বাড়িয়ে ফ্লিক করে তাঁকেও চার মারলেন হেড। এক বল পর আরেকটি চার মেরে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটাও দিয়েছেন তিনি। পঞ্চম বলে লাবুশেনের বিপক্ষে রোহিত নেন রিভিউ, তবে উইকেটে লেগ স্টাম্পে হয়েছে আম্পায়ার্স কল। এবং শেষ বলে হেড মেরেছেন ওভারের তৃতীয় চার!
২৮ ওভারে ১৬২/৩।
বাড়ছে ভারতের হতাশা...
ট্রাভিস হেড, রিমেম্বার দ্য নেম!
পায়ের ব্যবহার করে চার, এরপর মিড অনের একটু ওপর দিয়ে আরেকটি চার। হেড ভাগ্যকে পাশে পেয়েছেন, সুযোগও কাজে লাগিয়েছেন দারুণভাবে। কুলদীপের বলে এরপর ডাবলস নিয়ে যান ৯৯ রানে। এরপর চুরি করেছেন সিঙ্গেল, জাদেজার থ্রো সরাসরি লাগলে হয়ত আউট হতে পারতেন। তবে তাতে কিছু যায় আসে না। হেড পেয়ে গেছেন সেঞ্চুরি! ২০১১ সালে মাহেলা জয়াবর্ধনের পর বিশ্বকাপ ফাইনালে প্রথম, অরবিন্দ ডি সিলভার পর মাত্র দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্বকাপ ফাইনালে সেঞ্চুরি করলেন তিনি।
এ দলে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটিই আরেকবার প্রমাণ করলেন তিনি। চোটে পড়ে বিশ্বকাপের প্রথম অংশে ছিলেন না, অস্ট্রেলিয়া কার্যত ভারত এসেছিল ১৪ জন খেলোয়াড় নিয়েই। তাঁর জন্য অপেক্ষা করে ছিল অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপে নেমে প্রথম ম্যাচেই করেছিলেন সেঞ্চুরি। এরপর সেমিফাইনালে হেড হয়েছেন ম্যাচসেরা। ফাইনালে নিয়েছেন রোহিত শর্মার দুর্দান্ত ক্যাচ। এবার ম্যাচজয়ী ইনিংসই খেলছেন এ বাঁহাতি ওপেনার।
চোট নিয়ে কদিন আগে তিনি বলেছিলেন, ‘সে (জেরাল্ড কোয়েৎজি, দক্ষিণ আফ্রিকান পেসারের বলে চোট পেয়েছিলেন) আমার উপকারই করেছে, চার সপ্তাহ পরিবারের সঙ্গে ঘরে থাকতে পেরেছি, ফলে তরতাজা হয়ে আসতে পেরেছি। আশা করি আমি টুর্নামেন্টের শেষ দিকে পারফর্ম করতে পারব। এটি শাপেবরই হতে পারে।’
টুর্নামেন্টের শেষ দিকে কী পারফর্মই না করলেন হেড!
ডি সিলভাকেও ছাড়িয়ে হেড
আহমেদাবাদে স্টেডিয়াম ছেড়ে যাওয়া শুরু করেছেন ভারতীয় সমর্থকেরা। ষষ্ঠ শিরোপার জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ৩৭ রান।
জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার দরকার ২২ রান
লাবুশেনের ফিফটি
বিশ্বকাপটা সে অর্থে সুবিধার যায়নি তাঁর। শুরুতে তো দলেই ছিলেন না। কিন্তু ফাইনালে তাঁর ওপর ভরসা রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। লাবুশেন সে আস্থার প্রতিদান দিলেন ফিফটি করে। দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে ছিল অস্ট্রেলিয়া, চাপ শুষে নেওয়ার কাজটি করেছেন লাবুশেন। হেডের সঙ্গে জুটিতে অস্ট্রেলিয়াকে শিরোপা এনেই দিয়েছেন প্রায়।
বাকি শুধু আনুষ্ঠানিকতা
বাউন্ডারির বাইরে মিচেল মার্শকে জড়িয়ে ধরেছেন প্যাট কামিন্স। হাত মেলানোও চলছে। গ্যালারিতে পরিবারদের উদ্যাপনও শুরু হয়ে গেছে। অস্ট্রেলিয়ার শিরোপা জয়ে এখন বাকি আনুষ্ঠানিকতা….
থামলেন হেড
ট্রাভিস হেড…. আউট! সিরাজের শর্ট বলে ডিপ মিডউইকেটে শুবমান গিলের হাতে ধরা পড়েছেন তিনি। ১২০ বলে ১৩৭ রান, বিশ্বকাপের ফাইনালে! ফেরার পথে পেয়েছেন ভারতের অভিনন্দন। তাঁর ইনিংস ছিল অমনই। অস্ট্রেলিয়ার দরকার ২ রান…
ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা অস্ট্রেলিয়ার
সিরাজের বলে পুল করে ডাবলস গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। বিশ্বকাপের ষষ্ঠ শিরোপা অস্ট্রেলিয়ার!
অস্ট্রেলিয়ানরা ছুটে ঢুকেছেন মাঠে। হতাশায় নুয়ে পড়েছেন লোকেশ রাহুলরা।
ভারত জিতে এসেছিল টানা ১০ ম্যাচ, টুর্নামেন্টে অপরাজিত ছিল তারা, যে জয়ের ধারা শুরু হয়েছিল ৮ অক্টোবর চেন্নাইয়ে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েই। ভারতের পর দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে পয়েন্ট তালিকার তলানীতে চলে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ভারতের জয়রথ ছুটেছে, অস্ট্রেলিয়া খাদের কিনার থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে পেরিয়ে এসেছে একের পর এক বাধা। সর্বশেষ সেমিফাইনালেও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে কঠিন লড়াই করে আসতে হয়েছে তাদের।
কিন্তু তারা অস্ট্রেলিয়া—বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দল। সেই অস্ট্রেলিয়ার কাছে থমকে গেল ভারত। এবারের বিশ্বকাপে ১১তম ম্যাচে এসে প্রথম হারের স্বাদ পেল রোহিত শর্মার ভারত। সেটিও ঘরের মাঠে ১ লাখ ৩০ হাজার সমর্থকের সামনে।
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারতকে যেন বার্তা দিয়েছিলেন কামিন্স। এমন ব্যাটিং লাইনআপকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। রোহিত শর্মা শুরুটা আক্রমণাত্মক করেছিলেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া ফিরে এসেছে। এরপর ফ্লাডলাইটে নতুন বলে বুমরা ও শামি আঘাত করেছেন তিন বার। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া দমেনি। হেড ও লাবুশেন গড়েছেন দুর্দান্ত এক জুটি। হেড করেছেন দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। লাবুশেন পেয়েছেন ফিফটি।
অস্ট্রেলিয়া পেয়েছে বিশ্বকাপ!
ম্যান অব দ্য ম্যাচ
ট্রাভিস হেড, আর কে!
ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট
৭৬৫ রান, ৯৫.৬২ গড়। দিনটি বিরাট কোহলির না হলেও টুর্নামেন্টসেরা তিনিই।