নাইবের ‘নাটক’ দেখে হাসতে হাসতে চোখে পানি চলে এসেছিল মার্শের

অস্ট্রেলিয়া টি–টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মিচেল মার্শক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া

বাংলাদেশ আফগানিস্তানকে হারালে সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ হতো অস্ট্রেলিয়ার। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচটি নিয়ে প্রবল আগ্রহ ছিল অস্ট্রেলিয়া দলের। হোটেলে বসে দল বেঁধে খেলা দেখেছেন প্যাট কামিন্স, মিচেল মার্শ, স্ট্রাভিস হেডরা। মিচেল মার্শ তো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘কাম অন বাংলাদেশ’ লিখে পোস্টও দিয়েছিলেন। কিন্তু দিনশেষে হতাশায় পুড়েছেন তাঁরা। আফগানিস্তানকে ১১৫ রানে আটকে দিয়েও বাংলাদেশ ম্যাচটা জিততে পারেনি। ৮ রানে হেরে নিজেরা হতাশায় পুড়েছে, অস্ট্রেলিয়াকেও পুড়িয়েছে।

আরও পড়ুন

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিচেল মার্শ সেই হতাশার কথা বলেছেন। তবে ম্যাচে আফগানিস্তান অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইবের হঠাৎ চোটে পড়ার ব্যাপারটিকে মার্শ ক্রিকেটে তাঁর দেখা ‘সবচেয়ে হাস্যকর ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে নাইবের চোটে পড়ার দৃষ্টিকটু অভিনয় প্রশ্নের জন্মও দিয়েছে। ব্যাটিংয়ে থাকা বাংলাদেশ তখন ডিএলএস পদ্ধতিতে ২ রানে পিছিয়ে ছিল। বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় আফগানিস্তানের কোচ জোনাথন ট্রট মাঠের দিকে সময় ক্ষেপণের ইশারা করেন। ওই ইশারা দেখেই স্লিপে ফিল্ডিং করা নাইব হঠাৎই পায়ে টান পড়ার ভান করে শুয়ে পড়েন। এমন একটা ভঙ্গি করেন যেন ভয়ংকর চোটে পড়েছেন তিনি। ফিজিও ও সতীর্থ নাভিন উল হকের কাঁধে ভর করে মাঠ ছাড়া নাইব কিছুক্ষণের মধ্যে মাঠে নেমে বোলিং করেন। জয়ের পর দৌড়ে করেছেন উদ্‌যাপন।

আফগান অলরাউন্ডার গুলবদিন নাইব
এসিবি

নাইবের এই কাণ্ডে বিতর্ক ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তবে মার্শ নাকি এতে বেশ মজাই পেয়েছেন, ‘ক্রিকেট মাঠে আমার দেখা সবচেয়ে হাস্যকর মুহূর্ত। হাসতে হাসতে আমার চোখে পানি এসে গিয়েছিল।’

আরও পড়ুন

মার্শের দৃষ্টিতে বাংলাদেশ–আফগানিস্তান ম্যাচটি ছিল অসাধারণ। তবে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ৮ রানে হেরে অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনাল–যাত্রা বরবাদ করে দেওয়ায় বেজায় হতাশ মার্শ, ‘আমরা সবাই মিলে খেলাটি দেখেছি। ম্যাচটা ছিল অসাধারণ, তা–ই নয় কি? খেলাটি রং বদলেছে বারবার। বাংলাদেশের শেষ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর আমরা সবাই হতাশ হয়ে পড়ি। আমরা টুর্নামেন্ট চালিয়ে যেতে মরিয়া ছিলাম। কিন্তু এটা বলতেই হয় আফগানিস্তান যোগ্যতর দল হিসেবেই সেমিতে গেছে। তারা অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে, বাংলাদেশকে হারিয়েছে, তারাই সেমিতে যাওয়ার যোগ্য দল।’

লিটন জেতাতে পারেননি বাংলাদেশকে
এএফপি

সেমিফাইনালে যেতে পারত বাংলাদেশও। রানরেটের মারপ্যাঁচে সুপার এইটে টানা দুই ম্যাচ হেরেও বাংলাদেশের সামনে সুযোগ এসেছিল। আফগানিস্তানের ১১৫ রান ১২.১ ওভারে টপকে যেতে পারলে সেমিতে যেতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু সেই চেষ্টাই বাংলাদেশ করেনি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটাও জেতা হয়নি।

অস্ট্রেলিয়া সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ডিএলএস নিয়মে ২৮ রানে হারিয়েছিল। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে হেরে যায় তারা। হেরে যায় ভারতের বিপক্ষেও। তারপরও বাংলাদেশের দিকে চেয়ে ছিল ২০২১ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা। বাংলাদেশও তাদের হতাশ করেছে।