২২ ছক্কা মারা সেই জিশানের ব্যাটে বিপিএলে দুটি শূন্য
তাঁর থেকে প্রত্যাশা বোধ হয় একটু বেশিই। ব্যাটিংয়ে ওপেন করেন, আবার নতুন বলে বোলিংও করতে পারেন। জিশান আলম দুর্বার রাজশাহীর হয়ে বিপিএলে ২ ম্যাচেই তো ইনিংসের প্রথম ওভার করেছেন। খুব একটা মন্দও করেননি।
দুই ম্যাচ মিলিয়ে ৪ ওভার বোলিং করে রান দিয়েছেন ২৪, উইকেট ১টি। তবে তাঁর আসল কাজটা তো বোলিং নয়, ব্যাটিং। সেই ব্যাটিংয়ে বিপিএলে নিজের প্রথম দুই ম্যাচে আউট হলেন শূন্যতে। কোনোভাবেই যেন প্রথম রানটাই আসছে না তাঁর!
প্রথম ম্যাচে বরিশালের বিপক্ষে সময় নিতে চাইলেন না। নিজের খেলা দ্বিতীয় বলে কাইল মায়ার্সকে মিডউইকেট দিয়ে বড় শট খেলতে চাইলেন। ভেতরে ঢোকা বলে ব্যাট লাগেনি, স্টাম্প ছত্রখান!
কাল দ্বিতীয় ম্যাচে বল খেললেন ৮টি। প্রথম রানটা যে খুব করে চেয়েছেন, সেটা ব্যাটিং দেখেই বোঝা গেছে। তবে শেষ পর্যন্ত মুকিদুল ইসলামের বাউন্সারে তাড়াহুড়া করতে গিয়ে মিড অনে ক্যাচ দেন থিসারা পেরেরার হাতে।
অথচ বিপিএলে দারুণ ছন্দ নিয়ে এসেছিলেন জিশান। এনসিএলে ২০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার ছক্কা মেরেছিলেন ২২টি। সেটাও মাত্র ৭ ম্যাচ খেলে। ৮ বলের মধ্যে ৭ ছক্কা, ৫২ বলে সেঞ্চুরি—জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টির উদ্বোধনী ম্যাচেই ঝড় তুলেছিলেন।
এরপর সিলেটের হয়ে টুর্নামেন্টে ফিফটি করেন আরও দুই ম্যাচে। রান করেন ২৮১, তবে এর চেয়ে বেশি আলোচনায় ছিল তাঁর ১৫৮.৭৫ স্ট্রাইক রেট। সেই টুর্নামেন্টে আর কোনো ব্যাটসম্যান ১৭টির বেশি ছক্কা মারতে পারেননি।
অবশ্য টুর্নামেন্ট মাত্র শুরু হয়েছে। রাজশাহী খেলেছে মাত্র ২ ম্যাচ। আর যেভাবে জিশান খেলতে চান তাতে ঝুঁকিও থাকে বেশি। লিস্ট এ ক্রিকেটে ২৩ ম্যাচে ১২৮ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং সেটারই প্রমাণ। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২ ম্যাচ খেলে রান করেছেন ৯৫ স্ট্রাইক রেটে।
আর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে খেলেছেন ১২ ম্যাচ। রান করেছেন ১৪৪ স্ট্রাইক রেটে। বোঝাই যাচ্ছে, ব্যাটিংটা সাহস নিয়েই করেন তিনি। আর সাহসীরা যেদিন খেলেন সেদিন ম্যাচের ফল পক্ষে নিয়েই আসবেন! অপেক্ষা করতে হবে সেই দিনটার জন্য। আজ দুপুরে চিটাগং কিংসের বিপক্ষে খেলবে রাজশাহী। আজই কি সেই দিন?