লিটনের ৩৮ বলে ৩৬ রান নিয়ে তামিম, ‘এটা আমি উপভোগ করিনি’
লক্ষ্য মাত্র ১২৫ রান। টি-টোয়েন্টিতে যা মোটেই বড় নয়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই ১২৫ রান বাংলাদেশ গতকাল তাড়া করেছে ১৯ ওভারে, সেটাও ৮ উইকেট হারিয়ে। প্রথম ম্যাচে জয় পেলেও বাংলাদেশের রান তাড়ার কৌশলটা ঠিক উপভোগ করতে পারেননি তামিম ইকবাল।
জাতীয় দলের বাইরে থাকা বাংলাদেশের বাঁহাতি এই ওপেনারের মতে, লিটন দাসের আরও আক্রমণাত্মক হওয়ার সুযোগ ছিল। তবে তাওহিদ হৃদয়ের আক্রমণাত্মক ইনিংসের প্রশংসা শোনা গেছে তামিমের কণ্ঠে।
লক্ষ্য ছোট হলেও পাওয়ারপ্লেতে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করা টি-টোয়েন্টিতে নতুন কিছু নয়। দ্রুত রান তোলার কৌশলে সফল হলে ম্যাচের ভাগ্য শুরুতেই নিজেদের দিকে টানা যায়। তামিমের মতে, ১২০-১২৫ রান তাড়া করতে গেলে শুরুর তিন ব্যাটসম্যানের মধ্যে যেকোনো একজনের এমন কৌশলেই খেলা উচিত। ইএসপিএন ক্রিকইনফোতে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ বিশ্লেষণ করতে গিয়েই এমনটা বলেছেন তামিম।
সেখানে তামিম বলেছেন, ‘বাংলাদেশ যেভাবে রান তাড়া করেছে, সেটা আমি উপভোগ করিনি। উইকেটের বিষয়ে কথা বলছি না। টি-টোয়েন্টিতে ১২০-১২৫ রান খুবই জটিল একটা স্কোর। এই রান তাড়া করার সবচেয়ে ভালো কৌশল হচ্ছে শীর্ষ তিন থেকে কারও দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করা। প্রথম ৬ ওভারে দ্রুত রান তুলতে পারলে এটি সহজ হয়ে যায়। তাতে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা রান রেটের চাপে পড়বে না।’
গতকাল শুরুতেই ফিরে গেছেন সৌম্য সরকার ও তানজিদ হাসান। তিন নম্বরে উইকেটে আসা লিটন আক্রমণাত্মক না হয়ে উইকেটে টিকে থাকতেই বেশি মনোযোগী ছিলেন। আউট হওয়ার আগে করেছেন ৩৮ বলে ৩৬ রান। লিটনের এমন নিরাপদ কৌশল উপভোগ করেননি তামিম, ‘আমাদের এমন একটা সুযোগ (আক্রমণাত্মক হওয়ার) ছিল। হ্যাঁ, শুরুতেই আমাদের এক-দুইটা উইকেট পড়েছে, এরপরও লিটনের সুযোগ ছিল আরেকটু আক্রমণাত্মক খেলার। ও খুবই নিরাপদে খেলেছে, এটা আমি উপভোগ করিনি। শুধু একজন ব্যাটসম্যানের কথা বলছি না, পুরো দলের কথা বলছি।’
২০ বলে ৪০ রান করা হৃদয়কে নিয়ে তামিম বলেছেন, ‘অনেক কৃতিত্ব তাওহিদ হৃদয়কে দিতে হবে। ওর ২০ বলে ৪০ রানের ইনিংস দেখলে মনে হয় ও-ই (জয়ের) পরিস্থিতি তৈরি করে দিয়েছে।’