৪০ বছরে ক্রিকেট ছাড়লেন ব্রাভো
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) এবারের মৌসুম শেষ করে অবসর নিতে চেয়েছিলেন ডোয়াইন ব্রাভো। কিন্তু গত মঙ্গলবার সিপিএলে সেন্ট লুসিয়া কিংসের বিপক্ষে ম্যাচে কুঁচকিতে চোট পান ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের এই অলরাউন্ডার। এতে সিপিএলের বাকি মৌসুম থেকে ছিটকে পড়া নিশ্চিত হওয়ার পর সব ধরনের ক্রিকেট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দুবার টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা ব্রাভো।
আগামী মাসেই ৪১ বছরে পা রাখতে যাওয়া ব্রাভো স্বীকৃত টি–টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক। ৫৮২ ম্যাচের ৫৪৬ ইনিংসে বোলিং করে নিয়েছেন ৬১৩ উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সিতে ২৯৫ ম্যাচের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন অবশ্য ২০২১ সালেই। আর আইপিএল ছেড়েছেন গত বছর। এরই মধ্যে কোচিংয়ে ঝুঁকেছেন। গত এক বছরের মধ্যে কাজ করেছেন আইপিএলের চেন্নাই সুপার কিংস ও আফগানিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে।
ইনস্টাগ্রামে অবসর ঘোষণায় ব্রাভো লিখেছেন, ‘হৃদয় চালিয়ে যেতে চায়, কিন্তু শরীর ব্যথা ও ধকল আর সহ্য করতে পারছে না। আমি নিজেকে এমন অবস্থানে ঠেলে দিতে পারব না, যেখানে সতীর্থ, ভক্ত কিংবা যে দলের প্রতিনিধিত্ব করছি, তারা আমার জন্য হতাশ হবে। তাই ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়েই বলছি, আমি আনুষ্ঠানিকভাবে খেলাটি থেকে আমার অবসর ঘোষণা করছি। আজ চ্যাম্পিয়ন বিদায় জানাচ্ছে।’
১৮ বছরের ক্যারিয়ারে টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটের গতিপথে বিশেষ ভূমিকা আছে ২০০৪ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিজয়ী ব্রাভোর। আইপিএল, পিএসএল ও বিগ ব্যাশে শিরোপা জিতেছেন। স্বীকৃত টি–টোয়েন্টিতে তাঁর চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন শুধু কাইরন পোলার্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় দলে ব্রাভোর একসময়ের সতীর্থ পোলার্ড ৬৮৪ ম্যাচ খেলেছেন।
হৃদয় চালিয়ে যেতে চায়, কিন্তু শরীর ব্যথা ও ধকল আর সহ্য করতে পারছে না। আমি নিজেকে এমন অবস্থানে ঠেলে দিতে পারব না, যেখানে সতীর্থ, ভক্ত কিংবা যে দলের প্রতিনিধিত্ব করছি, তারা আমার জন্য হতাশ হবে। তাই ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়েই বলছি, আমি আনুষ্ঠানিকভাবে খেলাটি থেকে আমার অবসর ঘোষণা করছি। আজ চ্যাম্পিয়ন বিদায় জানাচ্ছে।ডোয়াইন ব্রাভো, অবসর নেওয়ার ব্যাপারে ইনস্টাগ্রাম পোস্ট
সিপিএল শুরুর আগে ব্রাভো জানিয়েছিলেন, ক্যারিয়ারে এটাই হবে তাঁর শেষ সিপিএল। আরব আমিরাতে আইএলটি–টোয়েন্টি লিগের তৃতীয় মৌসুমেও খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু চোট পাওয়ার পর সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন ব্রাভো। সিপিএলের ইতিহাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক এ অধিনায়কই সবচেয়ে সফল খেলোয়াড়। পাঁচবার শিরোপা জিতেছেন।