খালেদ–নাহিদদের বোলিংয়ের প্রশংসা করা নতুন বোলিং কোচের সমস্যা ‘ভাষা’
দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন আন্দ্রে অ্যাডামস। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠের সিরিজ দিয়েই তাসকিন-শরীফুলদের সঙ্গে কাজ শুরু করেছেন নিউজিল্যান্ডের এই সাবেক পেসার।
নতুন দায়িত্বে এসে অ্যাডামস পাচ্ছেন একঝাঁক সম্ভাবনাময় পেসারের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ। কিন্তু বাংলাদেশে এসে অ্যাডামসকে সামলাতে হচ্ছে ভাষাগত সমস্যার চ্যালেঞ্জ।
বিসিবির চাকরি পাওয়ার পর আজ প্রথম সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এ কথা জানান অ্যাডামস। আজ সিলেট টেস্টের প্রথম দিন শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন তিনি।
সেখানে তাঁর কাছে বাংলাদেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে বলেছেন, ‘আমার কাজের একটা দায়িত্ব হচ্ছে পেসারদের গড়ে তোলা। চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, ওরা সব সময় খেলার মধ্যেই থাকছে। সুতরাং আপনাকে খেলার মধ্যেই উন্নতি করতে হবে। ভাষাগত সমস্যাও সামলাতে হচ্ছে। আমি কী দেখছি, ছেলেরা কী বুঝছে, তা সব সময় এক হচ্ছে না।’
অ্যাডামস অবশ্য দোভাষী হিসেবে জাতীয় দলের ম্যানেজার নাফিস ইকবালকে পাচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলন কক্ষে অ্যাডামসের পাশেই বসা জাতীয় দলের সাবেক এই ক্রিকেটারের দিকে তাকিয়ে তিনি যোগ করেন, ‘নাফিস আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করছে। আমি ওদের বেশি বেশি তথ্য দিয়ে চাপে রাখতে চাই না। ওরা এই জায়গায় ভালো করেই এসেছে। আমি ওদের সেটাই ধরে রাখতে বলছি। এভাবেই আমি ওদের বোঝার চেষ্টা করছি।’
বাংলাদেশের পেস বোলিং প্রসঙ্গে অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলছিলেন, ‘আমি রোমাঞ্চিত এখানে কাজ করতে পেরে। খালেদ, সাকিবের (তানজিদ হাসান) মতো পেসার আছে, ওরা শেখার জন্য মুখিয়ে আছে। যারা আছে, তাদের নিয়ে আমি যথেষ্ট খুশি।’
পেস বোলিং বিভাগের আলোচনায় নাহিদ রানার নামটাও আসছে। আজ টেস্ট অভিষেকে গতিময় বোলিংয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন। ২১ বছর বয়সী এই ফাস্ট বোলারের বোলিং অ্যাকশন নাকি মুগ্ধ করেছে অ্যাডামসকে, ‘সে প্রতিভাবান ও গতিময়। আজ প্রায় সব বলই দেখলাম ১৪৫ কিলোমিটারে করেছে। দারুণ বোলিং অ্যাকশন। সে একেবারেই তরুণ এবং তার অনেক কিছুই শেখার আছে।’
৩ উইকেট নিয়েছেন আরেক পেসার খালেদও। তাঁর বোলিংয়ের নিশানা পছন্দ হয়েছে নতুন বোলিং কোচের, ‘তার বোলিংয়ের নিয়ন্ত্রণ ভালো। এই বোলিং আক্রমণটা বেশ নতুন। শরীফুল আজ কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভালো করেছে। রানা ও খালেদ আজ জুটি বেঁধে ভালো বোলিং করেছে, যা দেখে ভালো লেগেছে।’
তবে পেসারদের ভালো বোলিংয়ে তৈরি হওয়া সুযোগ লুফে নিতে পারেননি ফিল্ডাররা। যে কারণে সিলেট টেস্টে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে শ্রীলঙ্কা, ‘আমরা দুটি সুযোগ নিতে পারিনি। যদি পারতাম, তাহলে ম্যাচটা একেবারেই ঘুরে যেত। প্রথম দিনের মধ্যাহ্নবিরতির মধ্যে যদি ৭ উইকেট নিয়ে নেওয়া যায়, তাহলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হাতে চলে আসে।’
৫৭ রানে শ্রীলঙ্কার ৫ উইকেট শিকারের পর তা হতে দেননি কামিন্দু মেন্ডিস ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। ফিল্ডারদের সুযোগ হাতছাড়া তো আছেই, বোলারদের অনভিজ্ঞতাও এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। অ্যাডামস বলছিলেন, ‘ওরা অনেক চেষ্টা করেছে। ওদের চেষ্টা করতে দেখে আমি খুশি। আমাদের এখন শিখতে হবে যে আরও ভালোভাবে এ ধরনের পরিস্থিতি কীভাবে সামলানো যায়।’