স্টোকসদের কথা এক সেকেন্ডের জন্যও বিশ্বাস করেননি পন্টিং
নিজের মতো করে খেল, ফল আসবে ফলের মতো করে। অথবা এমন ভাবে খেল, যেখানে হার বা ব্যর্থতার ভয় থাকবে না। মানে ম্যাচের ফলাফল নিয়ে তেমন চিন্তা করা হবে না। বেন স্টোকস ও ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ইংল্যান্ড নিজেদের খেলার ধরন নিয়ে বলে আসছে এমনই। তবে ইংল্যান্ড ‘ম্যাচের ফল নিয়ে ভাবে না’, সে কথা এক সেকেন্ডের জন্যও বিশ্বাস করেন না সাবেক অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক রিকি পন্টিং। ম্যাচ শেষে স্টোকসের বলা কথার সঙ্গে আগের কথারও মিল নেই বলে মনে করেন তিনি।
এজবাস্টনে ২ উইকেটে হেরে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাদের খেলার ধরন নিয়েও সমালোচনা হচ্ছে। আইসিসির রিভিউ পডকাস্টে পন্টিংও ইংল্যান্ডকে ছেড়ে কথা বলেননি, ‘তারা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোন স্টাইলে খেলে, সেটি দেখার আগ্রহ ছিল। তারা পাকিস্তানের বিপক্ষে ফ্ল্যাট উইকেটে খেলেছে। যে ১১টি ম্যাচ জিতেছে, তার ছয়টিই (৫) নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ফলে এবার কী হবে, এ নিয়ে আগ্রহ ছিল আমার।’
তবে খুব কাছে গিয়ে হারের পর স্টোকসের বলা কথার সঙ্গে আগের কথার মিল খুঁজে পাচ্ছেন না অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক, ‘আমি তাদের বলতে শুনেছি, তারা ম্যাচের ফলাফল নিয়ে ভাবে না। তবে এক সেকেন্ডের জন্যও আমি এটি বিশ্বাস করি না। এটি অ্যাশেজ সিরিজ, বেন স্টোকসের ক্যারিয়ারে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এটি। আমি (তাদের কথা) মানতে পারছি না। মানে, তারা যদি ফলাফল নিয়ে না-ই ভাবে, তাহলে তো হারার পর হতাশ হওয়ার কথা নয়। তবে আমার কাছে মনে হয়েছে, সে বলেছে, ম্যাচ শেষে সবাই বিধ্বস্ত। এ কথার অর্থ আমার কাছে এমন, তারা হার নিয়ে চিন্তিত এবং সেটিই হওয়া উচিৎ।’
পন্টিং এরপর মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘টেস্ট ম্যাচ জেতা সহজ নয়, অ্যাশেজ টেস্ট জেতা সহজ নয়। যখন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ আপনার কাছে, তখন ভালো কোনো দলকে ম্যাচে ফেরার সুযোগ দিতে চাইবেন না আপনি। প্রথম দিনের শেষে ইংল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণেই ছিল ম্যাচটি। তবে ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়াকে সুযোগ দিয়েছে, অস্ট্রেলিয়াও সেটি কাজে লাগিয়েছে দারুণভাবে।’
খেলার ধরন যেমনই হোক, দিন শেষে ম্যাচ জয়ই মুখ্য পন্টিংয়ের কাছে, ‘ধারাভাষ্যেও বলেছি, প্রথম দিনের পর থেকেই সবাই বলছিল অস্ট্রেলিয়া নেতিবাচক খেলেছে। অস্ট্রেলিয়ার সামনে অনেক প্রশ্ন ছিল, ইংল্যান্ডের এই খেলার ধরনের জবাব তারা কীভাবে দেবে, সেটি দেখার বিষয় ছিল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া তো ম্যাচটি জিতেছে।’
লর্ডসে দ্বিতীয় টেস্টের আগে ইংল্যান্ডের চিন্তা-ভাবনার অনেক সুযোগ আছে বলেও মনে করেন পন্টিং, ‘আমি যা বুঝি, অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ইংল্যান্ডের সামনে বেশি প্রশ্ন এখন। শুধু তাদের খেলার ধরন নয়, দল নির্বাচন নিয়েও কিছু ব্যাপার ভাবার আছে। মঈনের (আলী) আঙুলের যা অবস্থা, তা নিয়ে সে পরের ম্যাচ খেলতে পারবে না। জনি বেয়ারস্টো উইকেটের পেছনে খুবই গড়পড়তা একটা ম্যাচ কাটিয়েছে। চারটির মতো সুযোগ মিস করেছে। তারা ফ্ল্যাট উইকেট চায়, ফ্ল্যাট উইকেটে উইকেটকিপারের সুযোগ মিস করার বিলাসিতা নেই।’
এজবাস্টনে হারের পর ইংল্যান্ডের চাপ অনেক বেড়ে গেছে, পন্টিং বলছেন সেটিও, ‘আমার মনে হয়, বেশ কঠিন পরীক্ষা হতে যাচ্ছে ইংল্যান্ডের। তাদের খেলার ধরনেরও কঠিন পরীক্ষা হবে। তাদের নেতৃত্ব, কোচিংয়ের পরীক্ষা হবে।’