বিরাট কোহলির শেষ সেঞ্চুরির পরে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তাঁর গড় ৪৯.৬১। গড়ের চেয়েও টি- টোয়েন্টি ক্রিকেটে যেটা গুরুত্বপূর্ণ, সেই স্ট্রাইকরেটও চোখে পড়ার মতো—১৪২.৬৫। বোঝাই যাচ্ছে, সেঞ্চুরি না পাওয়ার প্রভাব ক্রিকেটের ছোট সংস্করণে পড়েনি। তবে চলতি বছরে রান পাচ্ছেন না কোহলি। এ বছর খেলা পাঁচ টি-টোয়েন্টিতে তাঁর ব্যাটিং গড় ২৩.২০। আর স্ট্রাইকরেটও কমেছে (১১৯.৫৮)।
বাজে ফর্মে থাকা কোহলির ওপর চাপ বিস্তার করেছেন দীপক হুদা, শ্রেয়াস আইয়ারের মতো ক্রিকেটাররা। চাপ? মানে ভারত জাতীয় দলে জায়গা ধরে রাখার চাপ। দীপক হুদা ভারতের হয়ে ৯টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন প্রায় ৫৫ গড় আর ১৬১.১৭ স্ট্রাইকরেট নিয়ে। তবু ভারত জাতীয় দলে নিয়মিত হতে পারেননি। আইয়ার চলতি বছর টি-টোয়েন্টিতে ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেও এশিয়া কাপের দলে জায়গা পাননি।
তাই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতীয় দলে এ মুহূর্তে কোহলির জায়গা নেই, এমন কথাও বলছেন কেউ কেউ। ভারতের সাবেক ক্রিকেটার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার এই মতের পক্ষে না থাকলেও কোহলি জাতীয় দলে এখন আর অপরিহার্য নয় বলে মনে করেন। কোহলি নিজেও নাকি বিষয়টি জানেন বলে তাঁর দাবি।
মাঞ্জরেকারের এমন মন্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার স্কট স্টাইরিস। তাঁর মত মাঞ্জরেকারের একেবারেই বিপরীত। স্টাইরিসের মতে, ভারতীয় দলে এখনো কোহলির বিকল্প নেই।
স্টার স্পোর্টসে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচ–পূর্ববর্তী আলোচনায় কোহলির দলে জায়গা নিয়ে মাঞ্জরেকার বলেন, ‘পুরো বিষয়টিকে দুইভাবে দেখা যায়। কোহলি এরই মধ্যে ভারতের নতুন কৌশল রপ্ত করার চেষ্টা করছে। তবে সে কৌশলের সঙ্গে কোহলির সহজাত খেলার একটু পার্থক্য আছে। কোহলি সাধারণত ইনিংসের শুরুতে একটু সময় নেয়, নতুন কৌশল ওকে সে সুযোগ দেবে না। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, কোহলির হারাবার কিছু নেই, তাই সে দলের পরিকল্পনা অনুযায়ীই খেলছে। তবে এভাবে খেলে হংকংয়ের বিপক্ষে ও পরের রাউন্ডে পাকিস্তানের মুখোমুখি হলে সে কত রান করতে পারবে?’
প্রায় এক মাসের বিরতি শেষে মাঠে ফিরে কোহলি পাকিস্তানের বিপক্ষে খুব বেশি ভালো করতে পারেননি। কোহলি বিশ্রামে থাকতে হুদা, আইয়ারদের মতো তরুণেরা ভালো পারফর্ম করেন। যে কারণে কোহলি কিছুটা চাপে আছে বলেও মনে করেন মাঞ্জরেকার, ‘আরেকটা বিষয় আছে, যা কোহলির পথটা আরও কঠিন করবে। কোহলি জানে, তরুণ ক্রিকেটাররা কতটা ভালো ফর্মে রয়েছে, একাদশে জায়গা পেতে লড়ে যাচ্ছে। হুদা সেঞ্চুরি পেয়েছে, শ্রেয়াস আইয়ার, ইষান কিষান আছে। কোহলি জানে, কাজটা সহজ হবে না।’
তবে স্টাইরিসের মতে, যত নতুন ক্রিকেটারই আসুক না কেন, কোহলির জায়গা নিয়ে প্রশ্ন তোলা উচিত নয়, ‘আমি বিশ্বাস করতে পারছি না, কোহলির জায়গা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে! হুদা–কিষানের মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটাররা সামনের বছরগুলোতে দলে আসতে পারবে।’