‘নেওয়াজ ক্লাব পর্যায়েরও না, ইনজামামকে পদত্যাগ করতে হবে’
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপটা দারুণভাবে শুরু করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু পরের চার ম্যাচে টানা হেরে এখন বিদায়ের পথে তারা। সর্বশেষ তারা ১ উইকেটে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে। এমন পারফরম্যান্সের কারণে এখন ব্যাপক সমালোচনার মুখে আছে দলটি। যদিও শেষ ম্যাচের লড়াকু পারফরম্যান্সের কারণে কিছুটা প্রশংসাও মিলছে; তবে সামগ্রিকভাবে পাকিস্তানের এমন ব্যর্থতার দায় গোটা দলকে নিতে হবে বলে মনে করছেন সাবেক অধিনায়ক আমির সোহেল।
বিশেষ করে প্রধান নির্বাচক ইনজামাম-উল-হকের বড় দায় দেখছেন আমির। এমনকি অবিলম্বে ইনজামামকে পদত্যাগও করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক এই ওপেনার। শুধু ইনজামামেরই নয়, আমির সমালোচনা করেছেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নেওয়াজেরও। বলেছেন, নেওয়াজ ক্লাব পর্যায়ের ক্রিকেটারও না। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হারের পর ক্রিকেট পাকিস্তানের ইউটিউব চ্যানেলে এসব কথা বলেছেন আমির সোহেল।
সমালোচনা করার আগে অবশ্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দলের লড়াকু পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন আমির, ‘এই ম্যাচ দেখে ক্রিকেটের মজা পাওয়া গেছে। দুর্ভাগা ছিল পাকিস্তান, শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি। শরীরী ভাষা দারুণ ছিল। ক্রিকেটে সবাইকে দায়িত্ব নিতে হয়। এটা দলীয় খেলা। এখানে একক ব্যক্তির কোনো দায় নেই। দলগতভাবে আপনি ভুল করেন, যে কারণে আপনি ম্যাচ হারেন। আজও দলগত ভুল হয়েছে। যে কারণে আপনি হেরেছেন। আজ সব খেলোয়াড়কে মনোযোগী মনে হয়েছে। প্রত্যেকের কোনো না কোনো অবদান ছিল। আগের ম্যাচগুলোয় এর অভাব ছিল। একেবারেই দেখা যায়নি।’
প্রশংসাবাক্যের শেষে নেওয়াজের সমালোচনা করে আমির বলেছেন, ‘নেওয়াজকে নিয়ে যখনই কথা হয়েছে, আমি কখনোই তার পক্ষে ছিলাম না। আজকের ম্যাচের আগেও অনেকগুলো বল বাকি ছিল, তখন ও ব্যাট করতে এসে শট খেলে আউট হয়ে গিয়েছিল। ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের পর আজও একই রকম হয়েছে। আজ ৪৬তম ওভারে সে আউট হয়েছে। ২৪ বল বাকি ছিল। এই বলগুলোয় যদি ১৫ রানও করতে পারত, তবে সেটা অনেক বড় পার্থক্য তৈরি করত। এরপর তাঁর বোলিং দেখুন, সে ক্লাব পর্যায়ের ক্রিকেটারও না। আর আপনারা তাকে পাকিস্তান দলে খেলাচ্ছেন।’
এরপরই সাবেক সতীর্থ ইনজামামকে প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে সরে যেতে বলেন আমির, ‘এখন সবকিছুর আগে যা করতে হবে, তা হলো ইনজামামের পদত্যাগ করতে হবে।’ এ সময় উপস্থাপক জানতে চান, ইনজামাম পদত্যাগ করবে কি না। জবাবে আমির সোহেল বলেন, ‘না করলে তাকে বরখাস্ত করতে হবে। আর কত পরীক্ষা–নিরীক্ষা করবেন? ২০০৭ বিশ্বকাপ (ইনজামামের নেতৃত্বে খেলেছিল) আপনারা দেখেছেন, ২০১৯ (সেবার ইনজামাম প্রধান নির্বাচক ছিলেন) এবং এবারও দেখলেন। এটা কোনো দল হলো?’
এ সময় ইফতিখার আহমেদকে আগে ব্যাট করতে পাঠানোর প্রসঙ্গ টেনে কোচিং স্টাফদেরও বিদায় দাবি করেছেন আমির, ‘ইফতিখারকে আপনি ব্যবহার করেন ফিনিশার হিসেবে। কারণ, তার সিঙ্গেল নেওয়ার সামর্থ্য নেই। তাকে কেন আগে পাঠানো হলো? ইনজির কথা তো বলেছি। আর আপনাদের যে সাপোর্টিং স্টাফ আছে, তাদের স্যালুট দিয়ে বিদায় করতে হবে। দেখুন, আপনি প্রতিদিন পরীক্ষা–নিরীক্ষা করছেন। আপনার ব্যাটিং ঠিকঠাকই ছিল। কোনো প্রয়োজন ছিল না এই নিরীক্ষার।’