‘ভারত যা করছে, পাকিস্তান তা কল্পনাও করতে পারে না’
জিম্বাবুয়ে সফরে লোকেশ রাহুলকে অধিনায়ক করে পাঠাচ্ছে ভারত। শুধু অধিনায়কই নয়, সফরে ভিভিএস লক্ষ্মণের নেতৃত্বে সম্পূর্ণ নতুন কোচিং স্টাফই থাকবে ভারতের। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, যশপ্রীত বুমরাদের পাশাপাশি বিশ্রাম দেওয়া হচ্ছে প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে। দুই বছর ধরেই ভারতের বেঞ্চের শক্তি নিয়ে বিস্মিত ক্রিকেট–দুনিয়া। প্রতি সিরিজেই নতুন নতুন খেলোয়াড়দের সুযোগ দিচ্ছে তারা কোনো না কোনো সিনিয়র ক্রিকেটারকে বিশ্রাম দিয়ে। ইদানীং কোচিং স্টাফকেও বিশ্রাম দেওয়ার ব্যাপারটি দেখা যাচ্ছে, এতে করে ঠাসা আন্তর্জাতিক সূচির মধ্যে তৈরি করা প্রচুর খেলোয়াড় পাচ্ছে তারা। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক সালমান বাট মনে করেন, এমন কিছু পাকিস্তান কোনো দিন কল্পনাও করতে পারবে না।
রোটেশন নীতিতে গত আট মাসে সাত অধিনায়ক পেয়েছে ভারত। এটা নিয়ে কিছুটা হলেও কথাবার্তা উঠেছে। তারই ধারাবাহিকতায় জিম্বাবুয়েতে অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। সালমান বাট অবশ্য এতে খারাপ কিছু দেখেন না। এতে করে ‘বেঞ্চ শক্তি’ কিংবা ‘বিকল্প’ দুই-ই বাড়ছে বলে মনে করেন বাট। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘লোকেশ রাহুল তো আগেও ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আইপিএলেও অধিনায়কত্ব করেন। অসুবিধা হওয়ার কোনো কারণ নেই। বরং এটা ভালো লক্ষ্মণ। এই রোটেশন নীতি ভারতীয় ক্রিকেটের উপকার করছে। তাদের বেঞ্চের শক্তি বাড়াচ্ছে। ভারত ধারাবাহিকভাবেই এমন করে নতুনদের সুযোগ করে দেয়। পরে তো দেখা যায় এত বিকল্প, কাকে রেখে কাকে নেবে, সেটি ঠিক করাই মুশকিল হয়ে পড়ে।’
জিম্বাবুয়ে সফরে কোচ হিসেবে ভারতীয় দলের সঙ্গে যাচ্ছেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। তিনি মূলত ভারতের জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির (এনসিএ) কোচ। রাহুল দ্রাবিড়কে বিশ্রাম দিয়ে নতুন একজন কোচকে জাতীয় দলের জন্য গড়ে তোলা হচ্ছে—এ ব্যাপারটিই সালমান বাটের কাছে দারুণ ব্যাপার মনে হচ্ছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেছেন, ভারত ইদানীং যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে এগুলো পাকিস্তানে নাকি কল্পনাই করা যায় না, ‘দেখুন জিম্বাবুয়েতে রাহুল দ্রাবিড়কে বিশ্রাম দিয়ে ভিভিএস লক্ষ্মণকে কোচ হিসেবে পাঠাচ্ছে। ভারত ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পর্কিত মানবসম্পদ বাড়িয়ে চলেছে। এতে করে আখেরে তাদের ক্রিকেটেরই উপকার হচ্ছে। কিন্তু পাকিস্তান তো এসব কল্পনাই করতে পারে না। তারা ক্রিকেটের মানবসম্পদ সংকুচিত করে ফেলছে। পাকিস্তানে ব্যাপারটা এমন কাউকে বিশ্রাম দিয়ে অন্য কাউকে নেওয়া হয়, তাহলে আগের জন বাদ পড়ে যান। পাকিস্তান কোনো দিন জাতীয় দলের কোচকে বিশ্রাম দিয়ে অন্য কাউকে সুযোগ দেবে না।’