স্টয়নিসের ১৭ বলের ফিফটিতে উড়ে গেল শ্রীলঙ্কা
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামার আগেই ধাক্কা খায় অস্ট্রেলিয়া। করোনার পজিটিভ হওয়ায় এ ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়েন লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা। আর শ্রীলঙ্কা ধাক্কা খায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের শুরুতে। পাঁচ বল করার পরই চোট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে দলটির পেসার বিনুরা ফার্নান্ডোকে। অস্ট্রেলিয়া ধাক্কাটা সামলে উঠেছে বাঁহাতি স্পিনার অ্যাস্টন অ্যাগারকে দিয়ে। কিন্তু শ্রীলঙ্কা আর বিনুরাকে হারানোর ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি। মার্কাস স্টয়নিসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার কাছে উড়ে গেছে শ্রীলঙ্কা।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ২১ বল হাতে রেখে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। দলকে ৭ উইকেটের জয় এনে দিতে ১৮ বলে চারটি চার ও ছয় ছয়ে অপরাজিত ৫৯ রান করেছেন স্টয়নিস।
জয়ের জন্য ১৫৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা মোটেই টি-টোয়েন্টি সুলভ ছিল না। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলেই মারকুটে ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারকে হারানো অস্ট্রেলিয়া পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে তুলতে পারে মাত্র ৩৩ রান। ৮.৩ ওভারে তারা যখন মিচেল মার্শকে হারায়, স্কোরবোর্ডে রান ২ উইকেটে ৬০। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ও ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ব্যাটিং করছিলেন শম্বুক গতিতে। সব মিলিয়ে অনেকেই হয়তো ধারণা করছিলেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হারতেও পারে!
কিন্তু চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল চেষ্টা করেন দ্রুত রান তুলতে। সেটা তিনি করছিলেনও। কিন্তু চামিকা করুনারত্নের বলে সীমানায় বদলি ফিল্ডার আশেন বান্দারার দুর্দান্ত এক ক্যাচ হয়ে ফেরেন তিনি। ম্যাক্সওয়েল আউট হতে পারতেন আগের বলেই। তাঁর সহজ ক্যাচ ফেলেন বান্দারাই। আউট হওয়ার আগে ফিঞ্চের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ২৩ বলে ২৯ রান তোলেন ম্যাক্সওয়েল। এর মধ্যে ২৩ রানই করেছেন তিনি। ১২ বলে ২৩ রানের ইনিংসটিতে দুটি করে ছক্কা ও চার মারেন ম্যাক্সওয়েল।
অস্ট্রেলিয়া যখন ১২.২ ওভারে ৩ উইকেটে ৮৯ রান, উইকেটে আসেন স্টয়নিস। এসেই যেন ঝড় তোলেন অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার। প্রথম বাউন্ডারি মারেন মুখোমুখি হওয়া তৃতীয় বলে, করুনারত্নের বলে। পরের ওভারের শেষ দুই বলে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে টানা দুটি চার মারেন। ইনিংসের ১৫তম ওভারে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার ওপর আরও বেশি চড়াও হন স্টয়নিস। সেই ওভার থেকে ১৯ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। দুটি ছয় ও একটি চারে স্টয়নিস একাই করেন ১৮ রান।
মহীশ তিকসানার করা পরের ওভারে মারেন তিনটি ছক্কা। এরপর ১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে লাহিরু কুমারাকে আরেকটি ছক্কা মারেন স্টয়নিস। বিধ্বংসী এই ইনিংস খেলার পথে ১৭ বলে ফিফটি করেন তিনি। অস্ট্রেলিয়া যখন জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে, এক ছয়ে ৪২ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত ছিলেন ফিঞ্চ।
এর আগে শ্রীলঙ্কার শুরুটাও ছল শ্লথ। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৩৬ রান তোলে তারা। ১০ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার রান ছিল ৬৩, উইকেট ওই একটিই হারিয়েছে। এরপরও শ্রীলঙ্কা যে ২০ ওভার শেষে ১৫৭ রান তুলতে পেরেছে তা শেষ দিকে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার ২৩ বলে ২৬ ও চারিত আসালাঙ্কার ২৫ বলে অপরাজিত ৩৮ রানের ইনিংসে ভর করে।