‘আমি নাহিদ রানা, নাহিদ রানাই হতে চাই’
শোয়েব আখতার নাকি ব্রেট লি—নাহিদ রানা কার মতো হতে চান? এই দুজনের সঙ্গে নাহিদের প্রসঙ্গ টানা হয়েছে গতির কারণে। পাকিস্তান সিরিজে ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করা নাহিদ রানাও হয়তো ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা দুই গতিতারকার মতো হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। এমন ধারণা করাটা দোষের কিছু নয়, তবে নাহিদের বেলাতে এমন কিছু আন্দাজ করা ভুল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিসিবির পোস্ট করা ভিডিওতে নাহিদ সোজাসাপটা বলেই দিয়েছেন—‘আমি কারও মতো হতে চাই না।’
বিসিবি প্রকাশিত ভিডিওতে নাহিদ বলেছেন, ‘আমি কারও মতো নই, আমি নাহিদ রানা, নাহিদ রানাই হতে চাই। সত্যি কথা, ওভাবে কাউকে ফলো করি না। তবে আমার বাংলাদেশের সব পেসারদের ভালো লাগে। কারণ, তাদের খেলা টিভিতে দেখে বড় হয়েছি।’
বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান জয়ে আলাদাভাবে নজর কেড়েছে দুই টেস্টেই নাহিদের গতির ঝড় তোলা। দুই দল মিলিয়েই সবচেয়ে গতিময় বোলার ছিলেন বাংলাদেশের ফাস্ট বোলার। যেটি ক্রিকেট-বিশ্বকেই চমকে দিয়েছে। নাহিদের দাবি অবশ্য ভিন্ন। জোরে বোলিং করা তাঁর লক্ষ্য ছিল না, ‘১৫২ বা এর চেয়ে বেশি জোরে করতে হবে, এমনটা কখনো মনে করিনি। একটা জিনিসই মাথায় নিয়ে বোলিং করেছি, দল আমাকে যে পরিকল্পনা দিয়েছে, সেই পরিকল্পনায় বোলিং করেছি। আমার নিজের যে পরিকল্পনা ছিল, তা অনুযায়ী বোলিং করেছি।’
পাকিস্তানে দুই টেস্টে নাহিদ উইকেট নেন ছয়টি। সংখ্যার হিসাবে খুব বেশি নয়। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৪ উইকেট। আউট করেন শান মাসুদ, সৌদ শাকিল ও বাবর আজমকে। ভাগ্য সহায় হলে উইকেট পেতে পারতেন আরও।
তারপরও সব মিলিয়ে দারুণ একটি সিরিজ কেটেছে নাহিদের। নিজের পারফরম্যান্সে নাহিদ তাই খুশি, ‘আমি যেটা আশা করেছিলাম, দল যেটা আমার কাছে আশা করেছিল, তা করতে পেরেছি। দেশ ছাড়ার আগে বলেছিলাম দেশের জন্য কিছু করতে চাই, তা করতে পেরেছি, আলহামদুলিল্লাহ।’
বাংলাদেশ দল দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলতে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ভারতের বিমান ধরবে। সেই সিরিজেও স্বাভাবিকভাবে সেরাটা দিতে চান নাহিদ, ‘প্রস্তুতি নিচ্ছি। যত ভালো প্রস্তুতি নেওয়া যায়, ম্যাচে তত ভালো হবে। ভারত ভালো দল। তবে ক্রিকেটে যারা ভালো খেলবে, তারাই জিতবে। ম্যাচে দেখা যাবে। দলকে সেরাটাও দেওয়া এখনো বাকি। ইনশাআল্লাহ দেব।’