ক্যারি সেঞ্চুরির কাছে, জানতেনই না কামিন্স
অস্ট্রেলিয়ার স্কোর তখন ৭ উইকেটে ২৭২। জয়ের জন্য দরকার আর ৭ রান। স্ট্রাইকে থাকা অ্যালেক্স ক্যারি ৯৩ রানে অপরাজিত। ৬৫তম ওভারে বেন সিয়ার্সের প্রথম বলে চার মেরে সেঞ্চুরির সম্ভাবনাও জাগিয়ে তুলেছিলেন ক্যারি। পরের বলে নিলেন সিঙ্গেল। ক্যারির রান দাঁড়াল ৯৮। এরপর স্ট্রাইক পাওয়া অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্স তিনটি বল ‘ডট’ দেন। ওভারটির শেষ বলে চার মেরে ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট জয় নিশ্চিত করেন। ফলে দারুণ এক ইনিংস খেললেও ক্যারির সেঞ্চুরি আর হয়নি।
৮০ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর ক্রিজে এসেছিলেন ক্যারি। সেখান থেকে দলকে নিয়ে গেছেন জয়ের বন্দর পর্যন্ত। কিন্তু তিনি সেঞ্চুরি না পাওয়ায়—অন্যভাবে বললে বেরসিক কামিন্স চার মেরে সেঞ্চুরিটা হতে দেননি—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্যারিকে নিয়ে আক্ষেপটা হচ্ছে। কেউ কেউ কামিন্সের সমালোচনাও করেছেন।
হ্যাগলি ওভালে চতুর্থ দিনে দ্বিতীয় সেশনে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। অর্থাৎ হাতে অবারিত সময় ছিল। কামিন্স তখন চার না মেরে পরের ওভারে ক্যারিকে স্ট্রাইক দিলেই সম্ভবত তিন অঙ্কে পৌঁছাতে পারতেন অস্ট্রেলিয়ার এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। তবে সেটি না হওয়ায় যে মহাভারত অশুদ্ধ হয়েছে, তা–ও বলা যায় না।
কিন্তু কামিন্সের দাবিটা ভিন্ন। জয়ের পর অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক বলেছেন, অন্য প্রান্তে তাঁর সতীর্থ যে ৯৮ রানে অপরাজিত, সেটি তিনি জানতেন না। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কামিন্স বলেন, ‘আমি জানতামই না যে তার রান তখন ৯৮! (সেঞ্চুরির পর) সে যদি উদ্যাপন করত এবং আমি খেয়াল করলাম না—সেটি বেশ বিব্রতকর হতো।’
তিন সংস্করণ মিলিয়ে সর্বশেষ ১৫ ইনিংসের মধ্যে এটি ক্যারির তৃতীয় ফিফটি। আজকের আগে সর্বশেষ ফিফটি গত জানুয়ারিতে ব্রিসবেনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। মাঝে চারটি ইনিংসে সেভাবে রান পাননি। তার আগে থেকেই নিজের ফর্ম নিয়ে চাপেই ছিলেন ক্যারি। কিন্তু ক্রাইস্টচার্চে অস্ট্রেলিয়ার জয়ে তাঁর অবদান অসামান্য।
উইকেটের পেছনে ১০টি ক্যাচ নিয়েছেন। এরপর দলের বিপদের সময় ক্রিজে নেমে খেলেছেন ম্যাচ জেতানো ইনিংস। ১৫ চারে ১২৩ বলে ৯৮ রানের এই ইনিংসে দুবার রিভিউয়ের জন্য বেঁচেও যান ম্যাচসেরা ক্যারি।
অবশ্য ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ক্যারি জানিয়েছেন, সেঞ্চুরি না পাওয়া নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই তাঁর। দলের জয়ই তাঁর কাছে সবার আগে—সেটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি, ‘আমি এটা নিয়েই সন্তুষ্ট। আবারও স্ট্রাইকে যেতে চাইনি।’