আশুতোষ–ঝড়ে লক্ষ্ণৌ না দিল্লি

দুর্দান্ত কিছু শট খেলেন আশুতোষবিসিসিআই

লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের ৮ উইকেটে ২০৯ রান তাড়া করতে নেমে ৬.৪ ওভারেই ৬৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। ম্যাচটা এখান থেকে দিল্লি জিতবে, তা বোধ হয় এই ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটির পাঁড় ভক্তও ভাবেননি। কিন্তু আশুতোষ শর্মা ভেবে রেখেছিলেন অন্য কিছু। সেই অন্য কিছুটা আসলে স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে এগিয়ে চলার ‘ম্যাজিক।’

আরও পড়ুন

এক প্রান্তে তাঁর খুনে মেজাজের ব্যাটিংয়ে শেষ ওভারে জয়ের জন্য দিল্লি শেষ উইকেট জুটিতে ৬ বলে ৬ রানের সমীকরণের সামনে এসে দাঁড়ায়। দ্বিতীয় বলে ১ রান নিয়ে মোহিত শর্মা প্রান্ত বদলের পর তৃতীয় বলেই ছক্কা মেরে দিল্লিকে অবিশ্বাস্য জয় এনে দেন আশুতোষ। পাঞ্জাব কিংসের হয়ে গত মৌসুমে দারুণ সব স্ট্রোক খেলা এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার এবার দিল্লির হয়ে নিজের প্রথম ম্যাচেই বিশাখাপট্টনমে রাজাশেখরা রেড্ডি স্টেডিয়ামে আলো জ্বাললেন। দ্রুত উইকেট পড়ায় শুরুতে ১৯ বলে ১৯ রান করা আশুতোষ দলকে জিতিয়ে অপরাজিত ছিলেন ৩১ বলে ৬৬ রানে। ইনিংসটিতে রয়েছে ৫ ছক্কা ও ৫ চারের মার।

দিল্লির ১ উইকেটের এই জয়ে শুরুটা ছিল একদমই অন্য রকম। লক্ষ্ণৌ পেসার শার্দূল ঠাকুরের করা প্রথম ওভারেই ফেরেন ওপেনার জ্যাক ফ্রেজার–ম্যাকগার্ক ও তিনে নামা অভিষেক পোড়েল। দ্বিতীয় ওভারে সামির রিজভি এবং তারপর ষষ্ঠ ওভারে অক্ষর প্যাটেলও ফিরে গেলে ভাবা হয়েছিল, দিল্লির হার স্রেফ সময়ের ব্যাপার। ১৮ বলে ২৯ রান করা ফাফ ডু প্লেসিও বিপদ বাড়িয়ে আউট হন পরের ওভারে। আশুতোষ ঠিক এরপরই পাল্টা লড়াই শুরু করেন।

আরও পড়ুন

ক্রিস্তান স্টাবসকে সঙ্গে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে গড়েন ৩৫ বলে ৪৮ রানের জুটি। ২২ বলে ৩৪ রান করা স্টাবস আউট হওয়ার পর সপ্তম উইকেটে ভিপরাজ নিগমকে নিয়ে গড়েন ২২ বলে ৫৫ রানের জুটি। ১৭তম ওভারে ভিপরাজ আউট হওয়ার পর শুধু আশুতোষই ছিলেন দিল্লির জয়ের আশায় একমাত্র ভরসা। সেখান থেকে বলতে গেলে একাই লড়েছেন এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার। ৬.৪ ওভারে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসেবে নেমে সমীকরণ যখন ১৭ বলে ৩৯ রানের, হাতে মাত্র ২ উইকেট; আশুতোষ এখান থেকে ১৮তম ওভারের শেষ তিন বলে চার–ছক্কায় তোলেন ১৬ রান। পরের ওভারে ওঠা ১৬ রানের মধ্যে ১২ রানই আশুতোষের।

পুরান ও মার্শের জুটিতে বড় সংগ্রহ পায় লক্ষ্ণৌ
বিসিসিআই

টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা লক্ষ্ণৌর হয়ে বড় সংগ্রহ এনে দেন মিচেল মার্শ ও নিকোলাস পুরান। ৬ ছক্কা ও ৬ চারে ৩৬ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার মার্শ। ‘জীবন’ পাওয়া পুরান ছিলেন আরও আক্রমণাত্মক। ৭ ছক্কা ও ৬ চারে খেলেন ৩০ বলে ৭৫ রানের ইনিংস। স্টাবসের করা ১৩তম ওভারে মারেন টানা চার ছক্কা। ১৯ বলে ২৭ রানে অপরাজিত থাকা ডেভিড মিলারের ব্যাটে দুইশোর্ধ্ব সংগ্রহ পায় লক্ষ্ণৌ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস: ২০ ওভারে ২০৯/৮ (পুরান ৭৫, মার্শ ৭২, মিলার ২৭*; স্টার্ক ৩/৪২, কুলদীপ ২/২০, মুকেশ ১/২২)।

দিল্লি ক্যাপিটালস: ১৯.৩ ওভারে ২১১/৯ (আশুতোষ ৬৬*, ভিপরাজ ৩৯, স্টাবস ৩৪; শার্দূল ২/১৯, মনিমরন ২/৩৯, দিগভেশ ২/৩১)।

ফল: দিল্লি ১ উইকেটে জয়ী।

ম্যাচসেরা: আশুতোষ শর্মা (দিল্লি)