নাজমুলের পর জাকিরের ফিফটি, ভারতকে এক সেশন হতাশা ‘উপহার’
গতকাল বিকেলে ইতিবাচক ছিলেন দুজন, তবে আজ কতক্ষণ থাকতে পারবেন, সে প্রশ্নটা ছিলই। চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনটা নিজেদের করে নিলেন নাজমুল হোসেন ও অভিষিক্ত জাকির হাসান।
দুজনই পেয়েছেন ফিফটির দেখা, ওপেনিংয়ে বাংলাদেশ পেয়েছে শত রানের জুটি। চতুর্থ ইনিংসে ওপেনিংয়ে বাংলাদেশের মাত্র দ্বিতীয় শত রানের জুটি এটি। মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে যাওয়ার আগে নাজমুল ও জাকিরের জুটি অবিচ্ছিন্ন ছিল ১১৯ রানে।
বিনা উইকেটে ৪২ রানে দিন শুরু করা বাংলাদেশ আজ সকালে যোগ করেছে ৭৭ রান। পাঁচজন বোলারকেই এনেছেন ভারত অধিনায়ক লোকেশ রাহুল, তবে উইকেটের দেখা পাননি কেউ। নাজমুল অপরাজিত ৬৪ রানে, জাকির ব্যাটিং করছিলেন ৫৫ রানে। সেশনে বাংলাদেশ চার মেরেছে ৯টি। এ টেস্ট চতুর্থ দিনে এসে দেখল প্রথম উইকেটশূন্য সেশন।
গতকাল শেষ বেলার মতো আজ দিনের প্রথম ঘণ্টাও নিরাপদেই পার করেন দুই ওপেনার। রক্ষণ দৃঢ় ছিল, তবে শট খেলার সুযোগ পেলে ছাড়েননি। কুলদীপ যাদবকে দিয়ে এক প্রান্তে শুরু করালেও ১ ওভার পরই রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে আনেন লোকেশ রাহুল। প্রথম ঘণ্টায় আসা পাঁচ বাউন্ডারির তিনটিই মারেন নাজমুল, এর মধ্যে দুটি আসে মোহাম্মদ সিরাজের পরপর দুই বলে-স্ট্রেট ড্রাইভের পর ফ্লিকে।
অশ্বিন ঝুলিয়ে দিয়ে ড্রাইভে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করে গেছেন। মোহাম্মদ সিরাজকে সরিয়ে আরেক প্রান্তে আনা হয় উমেশ যাদবকে, যিনি বল করে গেছেন অফ স্টাম্পের বাইরের লাইন ধরে। তাঁকে কাট করে মারার পর অশ্বিনকে কাভার ড্রাইভে আরেকটি চার মারেন জাকির।
পানি-পানের বিরতির পর উমেশের জায়গায় ফেরানো হয় সিরাজকে। অন্য প্রান্তে অবশ্য থাকেন অশ্বিন। তাঁর বলেই সিঙ্গেল নিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেন নাজমুল। ১৫ ইনিংস পর প্রথম ফিফটির দেখা পেলেন নাজমুল, সর্বশেষ পেয়েছিলেন এ বছরের শুরুতে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে। ৩৬তম ওভারে সিরাজকে পুল করে নাজমুলের মারা চারে আসে শতরানের জুটি। এ বছর ওপেনিংয়ে বাংলাদেশের মাত্র দ্বিতীয় ১০০ রানের জুটি এটি, চতুর্থ ইনিংসেও বাংলাদেশের ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয়। সর্বশেষ ২০০৫ সালে সেটি করেছিলেন নাফীস ইকবাল ও জাভেদ ওমর।
এরপরের মাইলফলক জাকিরের। অক্ষর প্যাটেলকে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে মারা চারে ৪৯ রানে গিয়েছিলেন, ১ বল পর সিঙ্গেল নিয়ে ফিফটি পান অভিষিক্ত এ ব্যাটসম্যান। টেস্টে অভিষেকে ফিফটি করা ১৯তম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হলেন তিনি, তবে অভিষেক ম্যাচে চতুর্থ ইনিংসে ফিফটি পাওয়া দ্বিতীয় ব্যক্তি তিনি।
অশ্বিনের জায়গায় পরে কুলদীপকে ফেরানো হয়, আনা হয় অক্ষর প্যাটেলকেও। তবে স্পিনের বিপক্ষে দুই ব্যাটসম্যানই সুইপ করেন ভালভাবে। মাঝে তো অশ্বিনকে রিভার্স সুইপের চেষ্টাও করেন নাজমুল।
বিরতির ঠিক আগে রান নিতে গিয়ে চেতেশ্বর পূজারার থ্রোয়ে পায়ে আঘাত পান জাকির, কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে খেলা। তবে বাংলাদেশ বিরতিতে যায় উইকেটশূন্য এক সেশনের তৃপ্তি নিয়েই