কালোবাজারে ভারত–ইংল্যান্ড ম্যাচের টিকিটের দাম ৬৬ হাজার টাকা
বিশ্বকাপের আয়োজক ভারত ৪ ম্যাচের সবগুলো জিতে এরই মধ্যে ফেবারিট হিসেবে জানান দিয়েছে। ইংল্যান্ড ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হলেও শুরুটা ভালো হয়নি। ৩ ম্যাচের ২টিতে হেরেছে জস বাটলারের দল।
কিন্তু দলটার নাম ইংল্যান্ড, যারা সাম্প্রতিক সময়ে রোমাঞ্চকর ক্রিকেট খেলে অভ্যস্ত। ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের টিকিটের চাহিদা সে কারণেই সম্ভবত বেশি। ভারতের সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের টিকিট কালোবাজারে ৫০ হাজার রুপিতে (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬৬ হাজার ২১৮ টাকা) বিক্রি হচ্ছে।
ভারতের পুলিশ বিভাগের সূত্রে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবৈধভাবে চড়া দামে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। তবে অপরিচিত কারও কাছে নয়, নিজেদের মধ্যে চেনাজানা আছে, এমন লোকজনই কালোবাজারে টিকিট কেনাবেচা করছেন। ২৯ অক্টোবর লক্ষ্ণৌর একানা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড।
উত্তর প্রদেশের পুলিশের বিশেষ ডিরেক্টর জেনারেল প্রশান্ত কুমার এ নিয়ে বলেছেন, ‘রাজ্যের পুলিশ বিভাগের বিশেষ এজেন্সি ছাড়া লক্ষ্ণৌ পুলিশও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সন্দেহজনক অ্যাকাউন্টে নজর রাখছে। লক্ষ্ণৌর একানা স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোর টিকিট যেন কালোবাজারে বিক্রি করতে না পারে, সে জন্যই এই নজরদারি।’
একানা স্টেডিয়ামের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের গ্যালারির টিকিটের স্বাভাবিক দাম ৪৯৯ রুপি। উত্তর দিকের করপোরেট বক্সের টিকিটের দাম ৪ হাজার রুপি। কিন্তু এ দুটি গ্যালারির টিকিট কালোবাজারে ৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, এত দামে টিকিট কিনতেও কুণ্ঠা করছেন না ক্রিকেটপ্রেমীরা।
কালোবাজারে এই ম্যাচের টিকিট কেনা এক সমর্থক নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছেন, ‘বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণার পর থেকেই আমি সব জায়গায় ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের টিকিটের খোঁজ করেছি। অফিশিয়াল টিকিট বুকিং ওয়েবসাইটে দেখায় “টিকিট দ্রুতই আসবে”। বন্ধুদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আমাকে পাবলিক গ্যালারির টিকিট সাধা হয়েছে, যার দাম ২১ হাজার রুপি। দুটি টিকিট নিয়েছি, আমার এবং আমার স্ত্রীর জন্য।’
বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রির অফিশিয়াল সাইট ঘুরে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের টিকিট দ্রুতই পাওয়া যাবে। সাইটের নির্দেশনাবলিতে বলা হয়েছে, প্রচুর চাহিদার কারণে আপনার সিরিয়াল না আসা পর্যন্ত লাইনে অপেক্ষা করুন। সতর্ক থাকুন, সরে গেলে লাইনে জায়গা হারাবেন। তবে অপেক্ষা করলেই টিকিট বুকিংয়ের নিশ্চয়তা নেই।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদককে আরেক সমর্থক, যিনি আবার ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের বিশেষজ্ঞও—বলেছেন, ‘আমি যেকোনো দামে টিকিট কিনতে চাই। আপনার কাছে থাকলে দয়া করে আমাকে দিন। অনলাইনে টিকিট খোঁজার পাশাপাশি আমি প্রতিদিন সকালে একানা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কাউন্টারে খোঁজ নিই। আমাকে বলা হয়েছে, ম্যাচের কয়েক দিন আগে টিকিট পাওয়া যাবে।’