আইপিএলে প্লে–অফ খেলার কোন দলের কী সমীকরণ
শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে আইপিএল। প্রথম পর্বে আরও ১৬টি ম্যাচ বাকি। এখন পর্যন্ত কোনো দলই প্লে-অফ নিশ্চিত করতে পারেনি। প্লে-অফ খেলার সম্ভাবনাও শেষ হয়ে যায়নি কোনো দলের। তবে কোনো কোনো দলের জন্য সমীকরণটা খুবই সহজ, আর কিছু দলের জন্য প্রায় অসম্ভবই।
কলকাতা নাইট রাইডার্স
১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট
আর একটি জয় প্লে-অফ নিশ্চিত করে দেবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের। দলটির হাতে থাকা তিন ম্যাচে প্রতিপক্ষ মুম্বাই ইন্ডিয়ানস (১১ মে), গুজরাট টাইটানস (১৩ মে) ও রাজস্থান রয়্যালস (১৯ মে)।
রাজস্থান রয়্যালস
১০ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট
আজ রাতে দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারালেই সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করবে রাজস্থান রয়্যালস। আজকের ম্যাচসহ চারটি ম্যাচ হাতে আছে রাজস্থানের। দিল্লির বিপক্ষে খেলার পর ১২ মে চেন্নাই সুপার কিংস, ১৫ মে পাঞ্জাব কিংস ও ১৯ মে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষ খেলবে রাজস্থান।
চেন্নাই সুপার কিংস
১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট
শেষ তিন ম্যাচের অন্তত দুটিতে না জিতলে অনেক যদি-কিন্তুর মধ্যে পড়ে যেতে পারে চেন্নাই। দলটির ম্যাচ বাকি গুজরাট টাইটানস (১০ মে), রাজস্থান রয়্যালস (১২ মে) ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (১৮ মে) বিপক্ষে।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ
১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট
আগামীকাল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হায়দরাবাদের। ওই ম্যাচ জিতলে প্লে-অফের লড়াইয়ের লক্ষ্ণৌর চেয়ে এগিয়ে যাবে হায়দরাবাদ। এরপর দলটির হাতে থাকবে গুজরাট টাইটানস (১৬ মে) ও পাঞ্জাব কিংসের (১৯ মে) বিপক্ষে ম্যাচ। শেষ তিন ম্যাচের অন্তত দুটি জিতলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে হায়দরাবাদের প্লে-অফ।
লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস
১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট
হায়দরাবাদের মতো একই সমীকরণ লক্ষ্ণৌরও। শেষ তিন ম্যাচের দুটিতে না জিতলে জটিল হিসাব-নিকাশের মধ্যে পড়তে হবে। হায়দরাবাদ ম্যাচের পর ১৪ মে দিল্লি ক্যাপিটালস ও ১৭ মে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে খেলবে লক্ষ্ণৌ।
দিল্লি ক্যাপিটালস
১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট
আজ রাজস্থানের কাছে হেরে গেলে প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে দিল্লির প্লে-অফ খেলা। এই ম্যাচের পর ১২ মে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও ১৪ মে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে খেলবে দিল্লি। তিনটি ম্যাচই জিতে গেলে শেষ চারে উঠে যাবে দলটি।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু
১১ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট
শেষ তিনটি ম্যাচ জিতলেও বেঙ্গালুরুকে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলগুলোর ফলের ওপর। কোহলিদের ম্যাচ বাকি পাঞ্জাব কিংস (৯ মে), দিল্লি ক্যাপিটালস (১২ মে) ও চেন্নাই সুপার কিংসের (১৮ মে) বিপক্ষে।
পাঞ্জাব কিংস
১১ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট
শেষ তিনটি ম্যাচ জিতলেও পাঞ্জাবকে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলগুলোর ফলের ওপর। দলটির ম্যাচ বাকি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (৯ মে), রাজস্থান রয়্যালস (১৫ মে) ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের (১৯ মে) বিপক্ষে।
মুম্বাই ইন্ডিয়ানস
১২ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট
মাত্র দুটি ম্যাচ হাতে আছে মুম্বাইয়ের। সেই দুই ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্স (১১ মে) ও লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের (১৭ মে) বিপক্ষে জিতলেও প্লে-অফের টিকিট না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি মুম্বাইয়ের।
গুজরাট টাইটানস
১১ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট
তিন ম্যাচ জিতলে গুজরাট প্লে-অফের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলতে পারে। একটিতে হেরে গেলেই শেষ হয়ে যেতে পারে দলটির পথচলা। গুজরাটের ম্যাচ আছে চেন্নাই সুপার কিংস (১০ মে), কলকাতা নাইট রাইডার্স (১৩ মে) ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের (১৬ মে) বিপক্ষে।