২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

১১০ রানে অলআউট বাংলাদেশ

আউট হয়ে ফিরছেন সৌম্যএএফপি

ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচ থেকে শুরু। টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেও বোলিং দিয়ে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করেছে বাংলাদেশ। তিনটি ম্যাচেই টসে জিতে আগে বোলিং করার পর বাংলাদেশের বোলাররা পাওয়ার প্লেতে দারুণ কিছু করেছে। আজ ছিল ব্যাটসম্যানদের পালা।

মাউন্ট মঙ্গানুয়ে বে ওভালে সিরিজের শেষ ম্যাচে ব্যর্থ বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানরা। একের পর এক উইকেট হারিয়ে পুরো ইনিংসেই বাংলাদেশের কোনো জুটি ৩০ রান ছাড়ায়নি। শেষ পর্যন্ত ১৯.২ ওভারে ১১০ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট।

আরও পড়ুন

উইকেট পতনের শুরুটা হয় ইনিংসের প্রথম ওভার থেকে। আর সে ধারা বজায় থাকে ইনিংসের পুরোটা সময়। চোটের কারণে লিটন দাস না থাকায় উদ্বোধনে নামা সৌম্য সরকার এক বাউন্ডারির পরই এলবিডব্লিউ। টিম সাউদির করা ওভারের তৃতীয় বল ভেতরে এসে খুঁজে নেয় সৌম্যর প্যাড। ৪ বলে ১ বাউন্ডারিতে ৪ রানে থামে সৌম্যর ইনিংস।

কিউই বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১১০ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস
এএফপি

তিনে নামা নাজমুল শুরু থেকেই ছিলেন ইতিবাচক। কিউই পেসারদের গতি কাজে লাগিয়ে দ্রুতই ৪টি বাউন্ডারি মারেন তিনি। অ্যাডাম মিলনের করা পঞ্চম ওভারে আরও একটি বাউন্ডারির খোঁজে ক্রিজ ছেড়ে খেলতে গিয়ে পয়েন্টে ক্যাচ তোলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তাতে নাজমুলের ইনিংস থামে ১৫ বলে ১৭ রানে।

বাংলাদেশ উইকেট হারিয়েছে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারেও। ১০ বল খেলে ২ বাউন্ডারিতে ১০ রান করে বেন সিয়ার্সের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে মাঠ ছাড়েন আরেক ওপেনার রনি তালুকদার। যদিও লেগ স্টাম্পের ওপর করা ফুল লেংথের বলটি বেরিয়ে যাচ্ছিল। রিভিউ নিলে আউট হতেন না তিনি। নন স্ট্রাইকে থাকা তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে কথা বলে রিভিউ না নিয়েই মাঠ ছাড়েন রনি। তাতে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের রান দাঁড়ায় ৪৫।

আরও পড়ুন

ম্যাচের পরের অধ্যায়েও ছিল কিউই বোলারদের আধিপত্য। হৃদয়ের সঙ্গে পাঁচে নামা আফিফ হোসেনের জুটিও বড় হতে দেয়নি স্বাগতিকেরা। দুজন মিলে ১৯ বলে ১৮ রান যোগ করতেই মিচেল স্যান্টনারের আঘাত। গতি কমিয়ে ও বাড়িয়ে বল করে আফিফকে ভুল শটের ফাঁদে ফেলেন তিনি। নবম ওভারে এই বাঁহাতি স্পিনারকে ক্রিজ ছেড়ে খেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে শট খেলা থেকে বিরত থাকতে চেয়েও পারেননি। আফিফের (১৩ বলে ১৪ রান) দুর্ভাগ্য, বল ব্যাট-প্যাড হয়ে যায় উইকেটকিপার টিম সাইফার্টের গ্লাভসে।

সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ আফিফ
এএফপি

পরের ওভারে এসে স্যান্টনার আউট করেন হৃদয়কে। বাকিদের মতোই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান তিনিও। স্যান্টনারের অনেক বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন হৃদয়। ১৮ বলে ১৬ রানে থামে তাঁর ইনিংস। বাংলাদেশের রান তখন ৫ উইকেটে ৬৮। স্যান্টনারের মন্থর গতির স্পিন থামিয়েছে শেখ মেহেদী হাসান (৪) ও শামীম হোসেনের (৯) ইনিংসও। ইনিংসের ১৫তম ওভারে নিজের স্পেলের শেষ ওভারটা করতে এসে দুজনকে আউট করেন এই বাঁহাতি।

বাংলাদেশের রান তখন ৭ উইকেটে ৮১। রিশাদ হোসেন (১০) লোয়ার অর্ডারের বাকিদের নিয়ে রানটাকে টেনেটুনে নিয়ে যান এক শ’র ওপারে। অতিরিক্ত ১১ রান বাদ দিলে বাংলাদেশের রানটা তিন অঙ্কও স্পর্শ করত না।

আরও পড়ুন